বুধবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৪

সবুজ বাংলা- ৪ (ঘুরে আসুন ধরাভাঙ্গা বিল)

আমাদের বাড়ির পাশে মস্ত বড় এক বিল। বিলের এক পাশে আমাদের গ্রাম ধরাভাঙ্গা আর অন্যপাশে আছে মুক্তারামপুর গ্রাম। দুই গ্রামের মাঝখানে এই বিলের অবস্থান। সেই বিলে বর্ষাকালে এক সময় মাছ চাষ করা হতো। আর শীতকালে যখন সেই বিল শুকিয়ে যেত তখন সেখানে বোরো ও এনাম ধান লাগাতো কৃষকরা। কিছুদিন আগে রোযার ঈদ করার জন্য গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। বাড়িতে গিয়ে দেখি সেই বিলের চেহারা অন্যরকম হয়ে গেছে। এমন চেহারা আমি আর কোন দিন দেখিনি। হঠা‍ৎ করে বিলের দিকে নজর দিতেই দেখলাম সমস্ত বিল কচুরী পানায় ভরে গেছে। মনে হয় যেন কচুরী পানার চাষ করা হচ্ছে। মাঝে মাঝে আবার দুয়েকটি কচুরী পানায় ফুল ফুটেছে। এ এক অন্যরকম দৃশ্য। আর কদিন পর যখন সবগুলো কচুরী পানায় ফুল ফুটবে তখন আরো সুন্দর দেখাবে। তাই সেই ছবিগুলো ক্যামেরা বন্দি করার লোভ সামলাতে পারলাম না। এই অসাধারণ দৃশ্যগুলো আপনাদের মাঝে এখন ‍উপস্থাপন করছি।

১। বিলের শেষ প্রান্তে আছে ব্রিজ। সেই ব্রিজে দাঁড়িয়ে পুরো বিলের ছবিটি উঠানো। এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে ঐ দূরে যেখানে বিলের অপর প্রান্ত দেখা যায় সেখানে এখনও কিছু অংশ খালি আছে। হয়তো কয়েকদিনের মধ্যে সেই অংশটুকুও কচুরী পানায় ভরে যাবে। প্রকাশ থাকে যে বিলটি প্রায় ১ কিলোমিটার লম্বা।
01 
২। বিলের খালি অংশ। অপর পাশে মুক্তারামপুর গ্রাম দেখা যাচ্ছে।
02
৩। বিলের ধরাভাঙ্গা অংশের পাশ দিয়ে রাস্তা চলে গেছে সলিমগঞ্জ বাজারে। এই পাশে দাঁড়িয়ে এই ছবিটি তোলা।
03 
৪। এই ছবিটি আরো একটু দূরে গিয়ে ছোট খালভার্টের উপর দাঁড়িয়ে তোলা।
04 
৫। দুয়েকটি কচুরী পানায় ফুটেছে ফুল। কি অপরূপ দৃশ্য! বিছুদিন পর হয়তো আরো ফুল ফুটবে। তখন অন্যরকম দৃশ্য হবে নিশ্চয়।
05 
৬। রাস্তার শেষ মাথায় দাঁড়িয়ে তুলেছি এই ছবিটি।
06 
৭। এই সেই ধরাভাঙ্গা গ্রামের ভাঙ্গাচোরা রাস্তা। যেই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন আমাদেরকে সলিমগঞ্জ বাজারে যেতে হয়। সেই রাস্তার পাশেই রয়েছে এই ঐতিহাসিক বিলটি। রাস্তার দুপাশে সারি সারি কড়ই গাছ।
07 
৮। আমাদের গ্রামের অংশের মাথায় গ্রামের লোকজনের জন্য গোসলখানা তৈরি করা হয়েছে। এখানেই এখন গ্রামের দুষ্টু ছেলের দল পানিতে লাফালাফি করছে। 
08 
৯। এমন দৃশ্য দূরন্ত শৈশবকে মনে করিয়ে দেয়।
09 
১০। কড়ই গাছে বসে অপেক্ষায় আছে কয়েকটি কাক। কখন সন্ধ্যা হবে আর কখন তাদের নীড়ে ফিরে যাবে।
10 
১১। সন্ধ্যা গনিয়ে এলো। কড়ই গাছে এখনও একটি ফিঙে বসে আছে। হয়তো কিছুক্ষণের মধ্যে সেও তার আপন ঠিকানায় ফিরে যাবে।
11

কোন মন্তব্য নেই: