সোমবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

হাসির বাক্স-১০


কৌতুক-৪৬
বিখ্যাত এক শহর। সেই শহরের বিশাল এক দোকানে অনেক মূল্য হ্রাস ঘোষনা করলো। যে দিন সকাল থেকে মূল্যহ্রাস শুরু। তার আগের দিন রাত থেকেই দোকানের গেটে প্রচুর লোক লাইন ধরলো। সকাল ৮টার দিকে বিশাল দেহী এক লোক শিষ দিতে দিতে ভীড় ঠেলে দোকানের গেটের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলো। কিন্তু রাত থেকে লাইন দেওয়া লোকজন তার বিশাল দেহের তোয়াক্কা না করে সবাই মিলে ধাক্কা দিয়ে তাকে পেছনের দিকে ঠেলে
দিল। লোকটি কিছুটা অবাক হলো, জীবনে কেউ কোনদিন এভাবে ধাক্কা দেয়নি তাকে। যাই হোক, সে আবার ভিড় ঠেলে গেটের দিকে যাবার চেষ্টা করলো। এবারে সবাই মিলে তাকে চ্যাংদোলা করে দূরে লাইনের শেষে নিয়ে গিয়ে ফেলে দিল। সে এবার উঠে দাড়িয়ে জামার হাত গুটিয়ে বললো  দেখুন আমাকে সামনে যেতে দিন তা না হলে ভালো হবে না বলে দিচ্ছি, বলেই সে আবার সামনের দিকে যেতে চেষ্টা করতেই লোকজন তাকে ধরে চ্যাং দোলা করে আবার পেছনে ফেলে দিল। এবার সে এক লাফে উঠে দাড়িয়ে বললো  ঈশ্বরের কছম, এবার যদি কেউ আমাকে ছোয় তবে বলে দিলাম আজকে আমি আর দোকানই খুলবো না

কৌতুক-৪৭
ডাক্তার ও রোগীর মধ্যে কথোপকথন:
ডাক্তার: আমি দু:থিত, আপনার বাঁ কানটা কেটে বাদ দিতে হবে।
রোগী: তাহলে যে আমি দেখতে পাব না ডাক্তার সাহেব।
ডাক্তার: সে কি, আমি তো আপনার চোখ অপারেশন করছি না।
রোগী: তাহলে আমি চশমার ডাটি দুটি কোথায় আটকাবো?

কৌতুক-৪৮
এক পাগল পাগলাগারদের পুকুরে গোসল করতে গিয়ে প্রায় ডুবে যাবার উপক্রম হলে অন্য আর একটা পাগল সঙ্গে সঙ্গে ঝাঁপ দিয়ে পড়ে তাকে উদ্ধার করলো। এই খবর শুনে গারদ-কর্তৃপক্ষ উদ্ধারকারী পাগলটাকে ডেকে পাঠালো এবং এ মহ কাজ করার জন্য তাকে অনেক বাহবা দিল। তাকে এও বলা হলো যে, যেহেতু সে মৃত্যুর হাত থেকে একটা মানুষকে বাচানোর বুদ্ধি রাখে ও কৌশল জানে, তাকে আর এ গারদে থাকার প্রয়োজন নাই। যখন খুশি সে চলে যেতে পারে এবং একজন স্বাভাবীক নাগরীকের জীবন জাপন করতে পারে। ঠিক সেই সময়ই এক আর্দালী দৌড়াতে দৌড়াতে এসে খবর দিল- যে লোকটাকে ডুবা থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল সে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। শুনে কর্তৃপক্ষ মর্মাহত হলেন এবং উদ্ধারকারীকে বললেন  এটা খুবই দুঃখের কথা। তুমি লোকটাকে বাঁচালে আর সে কিনা আত্মহত্যা করলো। যাই হোক দুঃখ করোনা, তোমার কাজ তুমি করেছ এবং ভাল কাজই করেছো। উদ্ধারকারী পাগল এ সব শুনে মাথা ঝাকিয়ে বললো   না স্যার, ও আত্মহত্যা করেনি, খুব ভিজে গিয়েছিল তাই আমি ওর গলায় দড়ি বেঁধে টেনে নিয়ে গিয়ে শুকাতে দিয়েছি

কৌতুক-৪৯
দুই ছাত্রের মধ্যে কথোপকথন:
প্রথম ছাত্র: এই তোর বাড়ি কোথায় রে?
দ্বিতীয় ছাত্র: শুনবি নাকি আমার গ্রামের নাম?
প্রথম ছাত্র: হ্যাঁ শুনব।
দ্বিতীয় ছাত্র: আয় দেখিয়ে দেয়।
প্রথম ছাত্র: এখান থেকেই দেখাবি?
দ্বিতীয় ছাত্র: হ এখান থেকেই দেখাব।
প্রথম ছাত্র: আচ্ছা দেখাতো দেখি তোদের গ্রাম।
এ কথা বলার সাথে সাথে দ্বিতীয় ছাত্র প্রথম ছাত্রকে সজোরে ধাক্কা দিল। ধাক্কা খেয়ে প্রথম ছাত্র মাটিতে পড়ে গেল। তখন তার একটি দাঁত ভেঙ্গে গেল।
প্রথম ছাত্র: কি! তোর এত বড় স্পর্ধা! চল তোকে স্যারে কাছে নিয়ে যাই।
দ্বিতীয় ছাত্র: চল স্যারের কাছে যাই।
প্রথম ছাত্র তখন কাঁদতে কাঁদতে স্যারের কাছে গিয়ে দ্বিতীয় ছাত্রের নামে নালিশ করল। স্যার প্রথম ছাত্রের অভিযোগ শোনার পর দ্বিতীয় ছাত্রকে স্যারের রুমে ঢেকে আনলেন। দ্বিতীয় ছাত্রটি আসামীর মতো হেডস্যারের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
শিক্ষক: এই ছেলে তুমি ওকে ধাক্কা দিয়েছ কেন?
দ্বিতীয় ছাত্র: স্যার ও আমাদের গ্রাম দেখতে চেয়েছিল, তাই।
শিক্ষক: তাই বলে কি ধাক্কা মারতে হবে?
দ্বিতীয় ছাত্র: স্যার আমাদের গ্রামের নাম ধাক্কামারা। সে আমাদের গ্রাম দেখতে চেয়েছে তাই ধাক্কা দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছি!

কৌতুক-৫০
এক ভদ্রমহিলা বারবার সন্তানের জন্ম দেন। তাঁর ধাত্রীও নির্দিষ্ট। কিন্তু সন্তান জন্ম দেওয়ার সময় তিনি ব্যথা সহ্য করতে পারেন না। খুব কাঁদেন। ধাত্রীর হাত ধরে প্রতিজ্ঞা করেন, ‘এবারই শেষ। আর কোনো দিন আমি মা হব না।
কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই তিনি আবার ধাত্রীর দ্বারস্থ হন। আবার কাতরাতে থাকেন।
ধাত্রী বলে, ‘কী, আবারও!মহিলা বলেন, ‘এই যে কানে ধরেছি, এবারই শেষ।
কিন্তু পরের বছর তিনি আবারও ধাত্রীর কাছে আসেন পেটে সন্তান নিয়ে।
ধাত্রী বলে, ‘আপনার ঘটনা কী?
মহিলা বলেন, ‘আমার বাচ্চাদের বাবা এত মধুর মধুর কথা বলে যে আমি প্রত্যেকবার পটে যাই...এই যন্ত্রণার কথা আমার মনেই থাকে না।

কোন মন্তব্য নেই: