শনিবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০১৫

হাসির বাক্স-৯



কৌতুক-৪১
এক ফকির আরেক ফকিরকে বলছে…
আজকে রাস্তায় ১০০ টাকা কুড়াইয়া পাইছিলাম!
১০০ টাকা দিয়া কি করলি?
ফালাইয়া দিছি!
কেন?
কথনো কি ১০০ টাকার নোটে তিনটা শুন্য দেখছশ?


কৌতুক-৪২
দুই বন্ধুর মধ্যে কথোপকথন:
প্রথম বন্ধু: জানিস, এক রাখাল বালক কয়েকটি গরু নিয়ে মাঠে যায়। একা একা গরু চরাচ্ছে। এ সময়ে তার মাথায় এলো এক বুদ্ধি। সে চিৎকার করা শুরু করে, বাঘ এসেছে, বাঘ এসেছে বলে। তার চিৎকার শুনে লোকজন ছুটে আসে এবং দেখে বাঘ নেই। এভাবে পরপর তিনদিন ঐ রাখাল বালক একই কাজ করে। লোকজনও ছুটে আসে এবং দেখে বাঘ নেই। কিন্তু চতুর্থ দিনে ‍বাঘ সত্যি সত্যি এসে উস্থিত হয়। রাখাল বালক চিৎকার করল কিন্তু কেউ এগিয়ে এলো না। বাঘ অবশেষে রাখাল বালককে ধরে নিয়ে যায়।
দ্বিতীয় বন্ধু: এতো পুরানো গল্প।
প্রথম বন্ধু: হ্যাঁ, পুরানো গল্প। কিন্তু এ থেকে এটাই প্রমাণিত হয় যে মিথ্যা কথা বললে এই সমাজে কাজ হয়। সত্য কথার কোনো দাম নেই।

কৌতুক-৪৩
একটা বাচ্চা সারাক্ষণ বুড়ো আঙুল চোষে। তার মা বললেন, ‘তুমি যদি বুড়ো আঙুল চোষো, তোমার পেট ফুলে যাবে।’
তার বাড়িতে আসা পাশের বাড়ির সন্তানসম্ভবা মহিলা বেড়াতে এলে বাচ্চা বলল, ‘তোমার পেট কেন ফোলা? তুমি কী করেছ, আমি জানি।’

কৌতুক-৪৪
নতুন শহরে বেড়াতে গিয়ে এক লোকের নজর পড়ল একটি হোটেলের সাইনবোর্ডের দিকে, যেখানে লেখা আছে-
খেয়ে যান, বিল আপনার নাতি দেবে।
লোকটা হোটেলে ঢুকে পেট ভরে খেয়ে নিল। খাওয়া শেষে বেয়ারা বিলের কাগজ বাড়িয়ে দিল লোকটির হাতে।
লোকটা তখন অবাক হয়ে বলল, বিল কেন? বিল না আমার নাতি দেবার কথা।
বেয়ারা মৃদু হেসে বলল, ঠিকই আছে এই বিল আপনার নাতিই দেবে, কিন্তু আপনার দাদা যে খেয়ে গেছেন সেই বিলটা আপনি দিয়ে যান।

কৌতুক-৪৫
দুই বন্ধুর মধ্যে কথা হচ্ছে-
প্রথম বন্ধু: তুই প্লেনে চড়িস না কেন রে?
দ্বিতীয় বন্ধু: অ্যাক্সিডেন্টের ভয়ে।
প্রথম বন্ধু: সেকি! মউত এল তবেই তো মানুষ মরে আগে তো নয়।
দ্বিতীয় বন্ধু: জানি, কিন্তু ধর আমার মউত এলো না, এলো পাইলটের তখন…?

কোন মন্তব্য নেই: