বৃহস্পতিবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০১৫

স্বাধীনতার স্মৃতি বিজড়িত জাতীয় স্মৃতিসৌধে একদিন

1024px-JSS 
[ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করা।]
মানুষের বিচিত্র রকমের শখ থাকে। কেউ বই পড়তে ভালোবাসে, কেউ খেলাধূলা করে সারাদিন কাটিয়ে দিতে ভালোবাসে আবার কেউ ঘুরে বেড়াতে ভালোবাসে। এতে তারা এক মূহূর্তের জন্য আনন্দ পায়। ভ্রমণ পিয়াসীরা  মুহূর্তের জন্য ঘরে বসে থাকতে চায় না। সময় সুযোগ পেলেই বেড়িয়ে পড়ে প্রকৃতিকে কাছ থেকে দেখার জন্য। সঙ্গে কিছু খাবার আর রাত কাটানোর জন্য তাবু হলেই হয়ে যায় ভ্রমণ। আমার সখ ভ্রমণ করা। ভ্রমণের দিনক্ষণ ঠিক হয়ে গেলেই আমার মন আনচান করতে থাকে কখন যাব সেখানে।

আমরা নরসিংদী সরকারি কলেজের রোভার স্কাউট ও গাল-ইন-রোভার এর তিনটি ইউনিট মিলে জাতীয় স্মৃতিসৌধ এ শিক্ষাসফর করার জন্য সিদ্ধান্ত নিলাম। রোভার সদস্য ৪৫ জন ও আর.এস.এল মাহবুব স্যার, মোস্তফা স্যার ও মাহমুদা ম্যাডাম আমাদের সাথে যাবেন। দিন তারিখ ঠিক হল। ১৫ অক্টোবর ২০০৪ রোজ শুক্রবার। ঢাকার অদূরে সাভার নবীনগরে অবস্থিত জাতীয় স্মৃতিসৌধ দেখতে যাওয়ার সকল প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হলো।
আমাদের সবাইকে সময় দেয়া হলো সকাল সাতটায় কলেজে উপস্থিত থাকার জন্য। আমি ঠিক সাতটা বাজার ৫মিনিট পূর্বেই কলেজে এসে উপস্থিত হলাম। কিন্তু আমি এসে দেখি সবাই এখনও উপস্থিত হয়নি। আটটার মধ্যে সবাই এসে উপস্থি হয়ে গেল। রোভার ডেনে আমাদেরকে সকালের নাস্তা দেয়া হলো। একটি পাউরুটি, একটি কলা ও একটি ডিম। তাড়াতাড়ি তা খেয়ে গাড়িতে উঠে পড়লাম। যার যার আসন নিয়ে আমরা গাড়িতে বসলাম।
ঘড়িতে তখন বাজে ৮:৩৫ মিনিট। গাড়ি স্টার্ট করলো। ধীরে ধীরে গাড়ি এগিয়ে চললো। গাড়ি যখন নরসিংদী শহর ছাড়িয়ে সাহেপ্রতাবে এসে পৌঁছল তখন থেকে শুরু হলো আমাদের মুক্ত আনন্দ উল্লাস। গাড়ির ঝাঁকুনির তালে তালে আমরা নাচ ও গানে মেতে উঠলাম। আজ কোন ভেদাভেদ নেই। ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক মিলে সবাই যেন আজ একাকার হয়ে গেছি। চটপটে ছেলে মামুন আর লোকমান ভাইয়ের গানের তালে তালে কখন যে গাড়ি ঘোড়াশাল চলে আসল তা আমরা কেউ টের পেলাম না। ঘোড়াশাল এসে ফেরিপারাপারের জন্য যখন গাড়ি থামল তখন বুঝতে পারলাম যে, আমরা ঘোড়াশাল চলে আসছি। তখন বাজে ৯:৩০ মিনিট। এই ফাঁকে মোস্তফা স্যার, মামুন, হাসান লটারীর পুরস্কার কিনে নিল। ফেরি পারাপার হতে আমাদের সময় নিল প্রায় ৩০ মিনিট।
ফেরিপার হয়েই দ্রুত গতিতে গাড়ি নিমতলী রেলগেইট চলে আসল। এমন সময় রেলক্রসিং করছিল। তাই আমাদের গাড়িটি আটকা পড়ে গেল। আর এখানের রাস্তার আশে পাশেই ছিল ঢাকা শহরের সকল আবর্জনার স্তুপ। কি যে দুর্গন্ধ তা লিখে শেষ করা যাবে না। দুর্গন্ধ সহ্য করতে না পেরে কেউ নাকে রুমাল চেপে ধরছে আবার কেউ বা দু’হাত চেপে নাকে ধরছে। অনেকে ইতোমধ্যে দুর্গন্ধ সহ্য করতে না পেরে ভমি পর্যন্ত করে ফেলছে। দরজা, জানালা বন্ধ করেও দুর্গন্ধ দূর করা যাচ্ছে না। ভনভন করে মশা মাছি ভিতরে প্রবেশ করল। আমরা সবাই এই আজাব থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য দোয়া করতে লাগলাম। কিছুক্ষণ পর ট্রেন চলে যাওয়াতে আমরা মুক্তি পেলাম।
আবার গাড়ি এগিয়ে চললো। টঙ্গী এসে পৌঁছলাম বেলা ১১:৩০ মিনিটে। এখানে মাহবুব স্যার আমাদের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন। ওনাকে নিয়ে গাড়ী আবার রওয়ানা হলো। ১২:০০টায় আশুলিয়ায় এসে পৌঁছলাম। ঘড়ির কাটা যখন ১২:৪০ মিনিট আমরা তখন স্বাধীনতার স্মৃতি বিজরিত স্মৃতিসৌধে এসে পৌঁছলাম।
Amir (25) 
[জাতীয় স্মৃতিসৌধে শিক্ষক/শিক্ষার্থীর একাংশ]
স্মৃতিসৌধকে স্বচক্ষে দেখতে পেরে আমাদের আনন্দ উল্লাস আরো বেড়ে গেল। একে একে আমরা সবাই গাড়ি থেকে নেমে স্মৃতিসৌধ বাউন্ডারির ভেতরে প্রবেশ করলাম। আমার মনে হয় বাংলাদেশের যতগুলো আকর্ষণীয় স্থান আছে তার মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর ও মনোরম স্থান হচ্ছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ। স্মৃতিসৌধ এলাকায় একটি গাছের পাতাও পড়তে দেয়া হয় না। সাথে সাথে তা পরিস্কার করে ফেলা হয়।
আমরা সামনের দিকে এগুতেই চকচকে রোদ এসে ছড়িয়ে পড়ল। নীলাকাশে সবুজ বনানী যে কি অপরুপ তা বর্ণনা করা যায় না। আমি এর আগেও একবার এখানে এসেছি কিন্তু আজকের মতো এতো আনন্দ লাগেনি। কারণ সেদিন আমি এসেছিলাম একা। আর আজ এসেছি অর্ধশতাধিক তরুণ-তরুণীর সাথে। স্মৃতিসৌধকে সামনে নিয়ে আমরা সবাই গ্রুপ ছবি তুললাম। ১০/১২টা ক্যামেরায় ক্যামেরাবন্দি করা হলো জাতীয় স্মৃতিসৌধকে।
Amir (26) 
[জাতীয় স্মৃতিসৌধে শিক্ষক/শিক্ষার্থীর একাংশ]
তারপর আমরা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন জায়গায় চলে গেলাম। আমার সাথে ছিল, আলী হোসেন, আজাদ, স্বপন, হাসান, মামুন, আলামিন, লোকমনা ভাই ও ডালিয়া আপা। আমরা প্রথমে মূল স্মৃতিস্তম্ভের দিকে অগ্রসর হলাম। পরে আমরা মূল স্মৃতিস্তম্ভের সামনে চলে আসলাম। এখানে সাইনবোর্ডে ছোট করে লেখা আছে জুতা হাতে করে ভেতরে প্রবেশ করুন। কিন্তু কে মানছে তাদের এই আদেশ। সবাই জুতা পড়ে এর ভেতরে ঘুরে ঘুরে দেখছে। কিন্তু আমি এবং আমার সাথে যারা আছে সবাই জুতা খুলেই প্রবেশ করলাম।
Amir (28) 
[আমরা চার বন্ধু]
জাতীয় স্মৃতিসৌধ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে নিবেদিত একটি স্থারক স্থাপনা। ঢাকা শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে নবীনগরের সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধ অবস্থিত। ১৯৭২ সালের বিজয় দিবসে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্মৃতিসৌধটি নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন এবং নকশা আহ্বান করা হয়। ১৯৭৮-এর জুন মাসে প্রাপ্ত ৫৭টি নকশার মধ্যে সৈয়দ মাইনুল হোসেন প্রণীত নকশাটি গৃহীত হয়। ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে মূল স্মৃতিসৌধের নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং ১৯৮২ খ্রিস্টাব্দে বিজয় দিবসের অল্প পূর্বে সমাপ্ত হয়। আর এটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় ১৯৮২ সালের ১৬ ডিসেম্বর।
স্মৃতিসৌধের মিনার ব্যতিত প্রকল্পটির মহা পরিকল্পনা ও নৈসর্গিক পরিকল্পনাসহ অন্য সকল নির্মাণ কাজের স্থাপত্য নকশা প্রণয়ন করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থাপত্য অধিদপ্তর। নির্মাণ কাজের গোড়া পত্তন হয় ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে এবং শেষ হয় ১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দের মাসে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়াধীন গণপূর্ত অধিদপ্তর সমগ্র নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে। বর্তমানে স্মৃতিসৌধটির নির্মাণ কাজ তিন পর্যায়ে মোট ১৩.০০ কোটি টাকা ব্যয়ে সম্পন্ন হয়।
এক সাগর রক্তের বিনিময়ে এই বাংলাদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধারা জীবন দিয়ে ছিনিয়ে এনেছেন স্বাধীনতা। ১৯৭১ এর সেই সব আত্মত্যাগকারী বীর শহীদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে নির্মিত হয় আমাদের জাতীয় স্মৃতিসৌধ। ১৯৭১ এর ২৬শে মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়। একই বছর ১৬ই ডিসেম্বর বিজয়ের মাধ্যমে এর পরিসমাপ্তি ঘটে। এই যুদ্ধে প্রায় ত্রিশ লক্ষ মানুষের প্রাণহানি হয়। এই সৃতিসৌধ বাংলাদেশের জনসাধারণের বীরত্বপূর্ণ লড়াইয়ের স্মরণে নিবেদিত এবং মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি জাতির শ্রদ্ধার উজ্জ্বল নিদর্শন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। এই সৃতিসৌধ সকল দেশ প্রেমিক নাগরিক এবং মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয় ও সাফল্যের যুগলবন্দি রচনা করেছে। সাতটি ত্রিভুজ আকৃতি মিনারের শিখর দেশের মাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের সাতটি পর্যায়ের প্রতিটি এক ভাবব্যঞ্জনাতে প্রবাহিত হচ্ছে। এই সাতটি পর্যায়ের প্রতিটি সূচিত হয় বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে। পরবর্তীতে চুয়ান্ন, আটান্ন, বাষট্টি, ছেষট্টি ও ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে অগ্রসর হয়ে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা সংগ্রামের চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়।
800px-Sriti_shoud
[ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করা।]
স্মৃতিসৌধটি ৪৫ মিটার (১৫০.০০ ফুট)উঁচু এবং জাতীয় শহীদ সৃতিসৌধ প্রাঙ্গণের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিন্দুতে অবস্থিত। মিনার ঘিরে আছে কৃত্রিম হ্রদ এবং বাগান। সৃতিসৌধ চত্বরে আছে মাতৃভূমির জন্য আত্মোৎসর্গকারী অজ্ঞাতনামা শহীদের দশটি গণ কবর। বিদেশী রাষ্ট্রনায়করা বাংলাদেশে সরকারি সফরে আসলে এই স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবসে দেশের সকল স্তরের মানুষ এখানে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সৃতিসৌধপ্রাঙ্গণে আরও রয়েছে উন্মুক্ত মঞ্চ, অভ্যর্থনা কক্ষ, মসজিদ, হেলিপ্যাড, ক্যাফেটেরিয়া। চারদিকে গাছ গাছালি, লেক, লেকের পানিতে ভাসমান শাপলা, মনমাতানো পাখির কলতান সব মিলিয়ে চমৎকার মনোমুগ্ধকর পরিবেশ। এই সৌধের নিচে দাঁড়িয়ে মাথা ঘুরিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে এর সৌন্দর্য উপভোগ করছিলাম। আর তখন মনে করিয়ে দিল সব বীর বাঙালী শহীদদের কথা যারা অকাতরে দেশের জন্য জীবন বিলিয়ে দিল। স্মৃতিসৌধ এর বিশাল এলাকা চোখ জুড়ানো প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘেরা। দুই যুগ আগে লাগানো গাছগুলো এখন বিশাল বিশাল বৃক্ষে পরিণত হয়েছে।
স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণের সর্বমোট আয়তন ৮৪ একর। স্মৃতিস্তম্ভ পরিবেষ্টন করে রয়েছে ২৪ একর এলাকাব্যাপী বৃক্ষরাজিশোভিত একটি সবুজ বলয়। স্মৃতিসৌধটির উচ্চতা ১৫০ ফুট। এটি জ্যামিতিক ধারার ৯০ ডিগ্রী মাপে তৈরি করা হয়েছে। সৌধটি সাত জোড়া ত্রিভুজাকৃতির দেয়াল নিয়ে গঠিত। দেয়ালগুলো ছোট থেকে ক্রমশঃ বড়ক্রমে সাজানো হয়েছে। এই সাত জোড়া দেয়াল বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের সাতটি ধারাবাহিক পর্যায়কে নির্দেশ করে। ১৯৫২-র ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৫৬ শাসনতন্ত্র আন্দোলন, ১৯৬২ শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৬ ছয় দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ এর গণ-অভ্যূত্থান, ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ- এই সাতটি ঘটনাকে স্বাধীনতা আন্দোলনের পরিক্রমা হিসাবে বিবেচনা করে সৌধটি নির্মিত হয়েছে। এই সাতটি ফলক ৭১ এর যুদ্ধে আত্মদানকারী সাত বীর শ্রেষ্ঠের নামে উৎর্সকৃত। প্রথম তিনকোণা ফলকটি ১৫০ ফুট উঁচু এবং নিচের দিক থেকে আগায় গিয়ে সুচালো রূপ ধারণ করেছে। এর পরের ফলকটি প্রথমটির পিছনে তিন কোণাভাবে দাঁড়িয়ে আছে। প্রথমটির চেয়ে এর উচ্চতা একটু কম। এভাবে নীচু হতে হতে ৭ নম্বরটি সর্ব কনিষ্ঠ। সবগুলোর ফলকের ভূমির দুই বাহুর মাথা একই রেখায় সাজানো।
বাংলাদেশ সফরকারী বিদেশী রাষ্ট্র প্রধানগণের নিজ হাতে এখানে বৃক্ষরোপণ করে থাকেন। স্মৃতিস্তম্ভ দেখার পর আমরা বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র প্রধানদের লাগানো গাছগুলো দেখার জন্য গেলাম। এমন সময় হঠাৎ আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে গেল। কিছুক্ষণের মধ্যেই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হওয়ায় আমাদের শরীর তেমন ভিজেনি। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র প্রধান ও সরকার প্রধানদের লাগানো গাছগুলো এখন মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে। এগুলোর মধ্যে কামিনী, নাগেশ্বর, চাপা, কাঞ্চন, গ্যাসটোভা, উদয়পদ্ম, মিলিশেয়া, স্বর্গআশোক, অনিজন, সোনালু, নিম, নাগশিংগাম, সিলভার ওক, মহুয়া, আনহার্মিয়া, নোবলিঘ, পাইনাম কেরিবিয়া, যুসল, পলাশ, জ্যাকুইনিয়া, কাঁটালিচাপা, হৈমন্তী, অর্জুন, জাম, হরিতকি, বাহেরা প্রভৃতি গাছ।
তাছাড়া ঢাকায় অনুষ্ঠিত সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের প্রাক্কালে ৭ ডিসেম্বর ১৯৮৫ সালে সার্কভুক্ত ৭টি দেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপ্রধান ও ৭টি বোতল ব্রাশ গাছের চারা রোপন করেন। আজ সেই গাছগুলো এক সারিতে বড় হয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে ৭১ সালের বীর শহীদদেরকে।
national-monument_bd 
[ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করা।]
২:৩০ মিনিটে আমরা স্মৃতিসৌধ ভ্রমণ শেষ করে খাবারের জন্য হোটেলে প্রবেশ করলাম। খাবার শেষে আমরা নন্দনপার্ক দেখার উদ্দেশ্যে চলে গেলাম। সেখান থেকে ৫:৩০ মিনিটে আমরা গাড়িতে উঠি। গান আর নাচে আবার আমরা আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে উঠলাম। আনন্দ আর হৈ হুল্লোর এর মধ্যে দিয়ে কখন যে বাড়িতে এসে পৌঁছলাম তা টেরও পেলাম না। তখন ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি রাত ১০:০০ টা বাজে।
তথ্যসূত্র: বাংলা উইকিপিডিয়া, সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে তথ্য সংগ্রহ ও বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকা।
রচনাকাল: বধুবার ২৯ ডিসেম্বর ২০০৪ খ্রি:

কোন মন্তব্য নেই: