শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৩

অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোর সফর: সাফল্য ও ব্যর্থতা


বাংলাদেশে সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচনের সহায়ক পরিবেশ তৈরী করতে সব পক্ষকে সংলাপে উসাহ জোগাতে গত ৬ ডিসেম্বর ঢাকায় আসেন জাতিসংঘের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোজাতিসংঘের মহাসচিবের দূত হিসেবে তারানকো গত এক বছরে এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো ঢাকা সফর করেন। তিনি এবারের সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয়
নেতা ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল (জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় পার্টি), প্রধান নির্বাচন কমিশনার, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্রসচিব, নাগরিক সমাজ ও ঢাকায় কর্মরত কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন।
জাতিসংঘের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো ৬ দিনের বাংলাদেশের সফর শেষ করে গতকাল সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, তাঁর এই সফরের সাফল্য তারা দুজোটকে সংলাপে বসাতে পেরেছেন। আর ব্যর্থতা হলো তারানকোর উপস্থিতিতে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির মধ্যে দুই দফা বৈঠক হলেও কোন পক্ষই তাদের পূর্বের অবস্থান থেকে একচুলও সরে আসেনি। এদিকে বর্তমান তফসিল অনুযায়ী আগামী ৫ জানুয়ারি ২০১৪ দশম জা্তীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার ব্যাপারে সরকার পক্ষ এখনও অনড়। অন্যদিকে এই তফসিল অনুযায়ী ১৮ দলীয় জোট নির্বাচনের অংশ গ্রহণের আর কোন সুযোগ নেই। তারানকোর উপস্থিতিতে দুজোটের মধ্যে দুদফা বৈঠক হওয়া সত্ত্বেও নির্বাচনের তফসিল পরিবর্তনের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত দিয়ে যেতে পারেনি।   
সফরের শেষ দিনে গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তারানকোর সাক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী সময় দেননি। তাই তাকে মুখ মলিন করে দেশ ত্যাগ করতে দেখলাম। কেন প্রধানমন্ত্রী এমনটি করলেন তা আমাদের জানা নেই। এটা আমাদের জন্য কতটুকু শুভ হলো তা জানা নেই।
পরিশেষে বলতে চাই এ সফরে তারানকো সফলতা দেখলেও জাতি কিন্তু এখনও সফলতার মুখ দেখতে পায়নি। সরকার যদি নির্বাচনের ব্যাপারে অনড় থাকে তাহলে অদৌ সমঝোতা হবে না। বরং সংহিসংতা দিন দিন বৃদ্ধি পাবে। যদি দুজোট সমঝোতায় পৌঁছতে না পারে তাহলে ভবিষ্য বাংলাদেশ কি হবে তা কেউ জানি না। আমরা এখনও আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগ নিয়ে সমঝোতায় এসে সংসদ নির্বাচন করবেন। দেশকে ভয়াবহ সংঘাত সংঘর্ষ থেকে মুক্তি দিবেন।  

কোন মন্তব্য নেই: