রবিন ছোট এক কম্পিউটার ব্যবসায়ী। নরসিংদী সরকারি
কলেজের পিছনে একটি দোকান ভাড়া নিয়ে
কম্পিউটারের টাইপের কাজ করে। দিনে দুই তিনশত টাকার কাজ করে। এ থেকে দোকান খরচ বাদে যা আয় হয় তা দিয়ে কোন মতে তার
সংসার পরিচালনা করেন। তার সংসারে
স্ত্রী, এক কন্যা ও এক ছেলে আছে। তাদেরকে নিয়ে সে
ব্রাহ্মন্দীতে বাসা ভাড়া করে
থাকে।
শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৩
সেমুলী
আমি তখন ছোট। বয়স ছয় কি সাত হবে। মাঝে মাঝে স্কুলে যেতাম এবং দিনে
একটা করে বই ছিঁড়তাম। আমি ছিলাম নিন্মবিত্ত পরিবারের সন্তান। আমার জন্মের পর থেকেই
বাবার সংসারে অভাব অনটন দেখা দেয়। অথচ আমার জন্মের পূর্বে আমাদের সংসারে ছিল ঘোলা
ভরা ধান, গোয়াল ভরা গরু ও বালতি ভরা দুধ। দাদা যখন সংসার ছেড়ে দিলেন, তখন থেকেই
আমাদের সংসারে অবনতি ঘটতে থাকে। এখন বাবা একদম নিঃস্ব হয়ে গেছেন। আগের মত জমিজমা
নেই। সব বিক্রি করে দিয়েছেন। এখন বাবা পড়ের জমিতে কাছ করে। এই রোজগার দিয়ে কোন মতে
সংসার চালায়। আমরা পর পর চারটি ভাই ও একটি বোন জন্ম
শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৩
প্রথম বাবা হওয়ার আনন্দ
গত দীর্ঘ ৯ মাস ২ দিন আমার স্ত্রীর
গর্ভের ভেতর বেড়ে উঠছিল
একটি প্রাণের অস্তিত্ব। যা আমাকে বাবা হওয়ার স্বপ্ন দেখাচ্ছিল। আমি একটা নতুন
জগতের সাথে পরিচিত হচ্ছিলাম। দিন দিন আমি আমার স্ত্রীর পরিবর্তন কাছ থেকে লক্ষ্য
করেছিলাম। যা আমাকে একটি নতুন জগতের সাথে পরিচয় করে দিচ্ছিল। প্রতিদিন রাতে শুয়ে
অনাগত সন্তানের অপেক্ষায় দিন গুনতাম। আর ভাবতাম কেমন হবে আমার সন্তান। ছেলে না
মেয়ে। ছেলে-মেয়ে নিয়ে আমার কোন আক্ষেপ ছিল না। আল্লাহ যা দেন তাতে আমি সন্তুষ্ট
ছিলাম এবং অপেক্ষায় ছিলাম একটি সুস্থ্য সবল সন্তানের আশায়। শত কষ্টের মাঝেও আমার
স্ত্রীর চোখে-মুখে আনন্দের উচ্ছ্বল ঢেউ দেখতাম। তার চেহারা দেখে আমার চোখে মুখে
আনন্দের ঢেউ খেলে যেত।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)