বুধবার, ২৭ জুলাই, ২০১৬

নবীন লেখকদের উদ্দেশ্যে

যারা লেখালেখি করেন তারা নিশ্চয় জানেন একটা লেখা শুরু করা কতটা কঠিন। আপনার মাথায় হয়ত পুরোটা কাহিনী এসে বসে আছেঅথচ প্রথম লাইনটা কলমের আগায় আসছেই না। সেই কঠিন সময়কে জয় করেই আপনাকে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। আসলে লিখতে শুরু না করে লিখবলিখব চিন্তা করে সময় কাটানো অনেক সহজ। তাই যত তাড়াতাড়ি পারেন লেখার উদ্দ্যেশ নিয়ে খাতা বা কম্পিউটারের সামনে বসে পড়বেন। তাহলে দেখবেন আপনা আপনিই আপনার কলমে বা কী-বোর্ডে লেখা চলে আসছে।
লেখাকে সাবলীল করতেও দরকার নিয়মিত লেখা,তা সে যত ছাইপাশই হোক। প্রতিদিন অন্তত একশত শব্দও লিখতে চেষ্টা করতে হবে। সেগুলো হতে পারে কুখাদ্য বা অখাদ্যলিখলেই যে সব নোবেল প্রাইজ লেখা আসবে সে চিন্তা মাথা থেকে বাদ দিতে হবে। লিখতে হবে অবিরত। কোন কাহিনী মাথায় না থাকলে যা খুশি লিখা যেতে পারেমোটকথা প্রতিদিন নিয়ম করে লিখতে হবে। এবং সেটা যেমন মানেরই হোক। 

সোমবার, ১৮ জুলাই, ২০১৬

ভিক্ষাবৃত্তি

সমাজে যত ধরনের পেশা আছে তাদের মধ্যে সবচেয়ে অর্মযাদাকর ও অসম্মানজনক পেশা হচ্ছে ভিক্ষা করা। যারা ভিক্ষা করে তাদেরকে সমাজে ভালো চোখে দেখে না। সমাজে তাদের গৌরবজনক কোন ভূমিকা নেই বললেই চলে। তবে ভিক্ষা একটি নিকৃষ্ট ঘৃণ্য পেশা হলেও এটি একটি স্বাধীন পেশা। এই পেশা খুবই লাভজনক। এই পেশায় কোন পুঁজি খাটাতে হয় না। তাই এই পেশায় লাভ ছাড়া কোন লোকসান হয় না। অলস প্রকৃতির লোকদের জন্য এই পেশা খুবই ভাল। তবে এই পেশায় আত্মসম্মানবোধ বলে কিছু থাকে না। যাদের আত্মসম্মানবোধ নেই তারাই এই পেশায় জড়িয়ে পড়ে। আমাদের দেশের অধিকাংশ অলস পুরুষ মহিলা আছে যারা এই পেশার সাথে জড়িত। তাদের হাত, পা ও চোখ সবই আছে। তারা ইচ্ছে করলে কর্ম করে খেতে পারে কিন্তু অলসতার কারণে কর্ম না করে এই পেশায় চলে আসে।ভিক্ষাবৃত্তিকে ইসলাম ধর্মও সমর্থন করে না। ছোট বেলায় পড়েছিলাম,নবীর শিক্ষা করো না ভিক্ষা, মেহনত করো সবে এই ছিল মহানবী (স) এর বাণী। কিন্তু আমরা সেটা না মেনে কারণে অকারণে ভিক্ষার মতো ঘৃণ্য একটি পেশায় জড়িয়ে যায়।