রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

গ্রন্থ পর্যালোচনা: ‘অপরাজিতা’



“এই অবাক হওয়া মানুষগুলোর কাছে চিরদিনই এটা রহস্য থেকে যাবে, কেনো দু’জন ভিনদেশি যুবক-যুবতি এমন ব্যাকুল হয়ে কাঁদছে তাদের দেশে এসে। কে জানে কিছু রহস্য থাকা হয়ত ভালোই। কারণ প্রকৃতি রহস্য পছন্দ করে!”

রবিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

অদ্ভুত ভালোবাসা

এক
শীতের সকাল। গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন রিয়াজ। মোবাইল বেজে উঠল। ঘুমের ঘোরে তাড়াহুড়া করে মোবাইলটি রিসিভ করতেই অপর প্রান্ত থেকে বন্ধু রুবেল বলে উঠল, আজ আমার গায়ে হলুদ আর তুই এখনও ঘুমাচ্ছিস। জলদি ক্যামেরা নিয়ে চলে আয়।
রিয়াজ ঘুমের চোখে বললো, ঠিক আছে দোস্ত আমি আসছি।
ঘুম থেকে উঠেই রিয়াজ দ্রুত ওয়াশরুমে গেল। সেভ হয়ে গোসল করে নিল। সুটপ্যান্ট পড়ে রুবেলদের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হল। সাথে তার প্রিয় ক্যামেরাটা নিয়ে আসল।

শনিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

টুনি ও প্রজাপতি


টুনি তার নাম। বাবা মায়ের একমাত্র আদরের মেয়ে। সে কেবল অ আ ক খ পড়ে। তার একটা বর্ণমালার বই আছে। বইটি খুবই সুন্দর। ছড়ায় ছড়ায় বর্ণমালা দিয়ে বইটি সাজানো। রঙিন সব ছবি। প্রজাপতির ছবি। পাখির ছবি। ফলের ছবি। ফুলের ছবি। প্রতিদিন জানালার পাশে বসে টুনি বর্ণমালার বই পড়ে।
জানালার পাশেই টুনির বাবা একটি ফুলের বাগান করেছে। সেই বাগানে বিভিন্ন জাতের ফুলের চারা লাগানো হয়েছে। নানা জাতের ফুল ফুটেছে। টুনি প্রতিদিন সেই বাগানের যতœ করে। বাগানে পানি দেয়।
একদিন টুনি দেখলো, ফুলবাগানে একটি প্রজাপতি আসল। হায়! কি অপরূপ!। এমন সুন্দর প্রজাপতি টুনি আগে দেখেনি। কিন্তু এখন দেখামাত্রই সে চিনে ফেলল। কারণ সে তার বর্ণমালা বইয়ে এমন একটি প্রজাপতির ছবি দেখেছে এবং পড়েছে প-তে প্রজাপতি। লাল, নীল, হলুদ, কালো, মেরুনের চমৎকার ছোপ ছোপ সাজের প্রজাপতিটা উড়ছে। ফুল গাছের এ পাতা থেকে ও পাতায় বসছে। উড়ে উড়ে অপরূপ বর্ণচ্ছটাই বিকিরিত করছে দৃষ্টির তরঙ্গে।
হঠাৎ করে প্রজাপতিটা উড়াল দিল। টুনি তাকিয়ে থাকে প্রজাপতি চলে যাওয়া পথের দিকে। ওই তো রঙ্গিন প্রজাপতিটা উড়ে চলে যায় টুনির মাথার উপর দিয়ে অনন্ত পথের পানে। আর তখন টুনি এক দৃষ্টিতে সেদিকে তাকিয়ে রইল।

শুক্রবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

সৃজনশীল ব্লগিং প্রতিযোগিতার প্রথম পর্বের ফলাফল প্রকাশ ও বিজয়ীদের অভিনন্দন

সুপ্রিয় ব্লগার বৃন্দ
নক্ষত্র ব্লগের পক্ষ থেকে শুভেচছা ও অভিনন্দন গ্রহণ করুন। আপনারা জানেননক্ষত্র ব্লগে চলছে ব্লগিং প্রতিযোগিতা. যা গত তিনবছর যাবত নিয়মিত আয়োজিতহয়ে আসছে। বিভিন্ন ব্লগ ও অনলাইনে যারা নিয়মিত লেখালেখি করেন তাদের জন্যএটা নিসন্দেহে আশাব্যঞ্জক লেখকের জন্য পাঠক প্রিয়তাই সত্যিকারেরপুরস্কারতাই এই লেখা লেখির চর্চাকে আরও গতিশীল রাখতে এই ধরনের আয়োজন খুবইগুরুত্বপূর্ণ কে কি পুরস্কার পেল তাহা বড় কথা নয় বরং লেখা লেখিকে গতিশীলকরাই বড় বিষয় পাঠকের সাথে যোগাযোগ হওয়া এবং নিজের লেখাটিকে সর্বোচ্চসংখ্যক পাঠকের কাছে পৌঁছে দেওয়াই অন্যতম বিষয় নক্ষত্র ব্লগ এই বিষটিকে বিবেচনাকরে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে।এরই পরিপ্রেক্ষিতে সকল লেখক পাঠকের প্রতি আহ্বান নক্ষত্র ব্লগ প্রতিযোগিতায়লিখুন। লেখালেখির চর্চাটা অব্যাহত রাখুন।

মায়ের স্বপ্ন

খোদেজা বেগমের দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন তার সন্তান শাকিল এদেশের একজন নামকরা ডাক্তার হবে। গরিব দু:খী মানুষের সেবা করবে। অভাবের সংসারে কত কষ্ট করে খোদেজা তার সংসার চালাচ্ছেন তা শুধু আল্লাই ভালো জানেন। তার সম্পদ বলতে কিছু নেই। রেললাইনের পাশেই এক বস্তিতে তিনি তার সন্তানকে নিয়ে বসবাস করছেন। তিনি অন্যের বাড়িতে কাজ করে নিজে না খেয়ে শাকিলের লেখাপড়ার খরচ যোগাচ্ছেন।