বিবিধ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
বিবিধ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

মঙ্গলবার, ২৯ মে, ২০১৮

পতাকার সম্মান রক্ষা করুন

বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা আসলেই ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার পতাকা নিয়ে বাংলাদেশের একদল লোক ফেসবুকে বিভিন্ন ছবি এডিটিং করে প্রচার করে। আবার অনেকেই রাস্তায় বিভিন্ন দেশের পতাকা এঁকে রাখে। এগুলো কেন মানুষ প্রচার করে? কবে কোন এলাকার মানুষ আর্জেন্টিনার পতাকার আদলে সামিয়াআনা কোন ডেকোরেটর এর কাছ থেকে এনে মিলাদ পড়ছেন আর এটাকে আর্জেন্টিনার জন্য দোয়া করছেন বলে ফেসবুকে চালাচ্ছে! দু:খ লাগে তখন যখন দেখি কিছু শিক্ষিত লোক তা প্রচার করে।

শুক্রবার, ৩ মার্চ, ২০১৭

শিক্ষার্থীদের থালা-বাটি না দিয়ে বই পুরস্কার দিন


আমাদের দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রতি বছরই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবসক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এসব অনুষ্ঠানমালায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারকারীদের পুরস্কৃত করা হয়। পুরস্কার হিসেবে তাদেরকে দেয়া হয় থালা-বাটি বা সিরামিকের অন্য কিছু। এটা আমার কাছে কেমন জানি বেমানান লাগে। আমরা কি পারি না শিক্ষার উপকরণ হিসেবে অন্তত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে থালা-বাটি বা সিরামিকের পরিবর্তে পুরস্কার হিসেবে শিক্ষার্থীদের বয়স অনুযায়ী বই দিতে?

বুধবার, ৩ আগস্ট, ২০১৬

মেঘনার করাল গ্রাসে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের ৩টি গ্রাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলাধীন বড়িকান্দি ইউনিয়নের ধরাভাঙ্গা, সোনাবালুয়া ও নুরজাহানপুর এই তিনটি গ্রাম মেঘনার করাল গ্রাসে ভেঙ্গে যাচ্ছে। ছবিটি সোনাবালুয়া গ্রাম থেকে তোলা। ছবি: কামাল উদ্দিন
মেঘনার করাল ভাঙ্গনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলাধীন বড়িকান্দি ইউনিয়নের ধরাভাঙ্গা, সোনাবালুয়া ও নুরজাহানপুর এই তিনটি গ্রাম মেঘনা নদীর ভাঙনে বিলীন হতে বসেছে। নদী ভাঙনের তীব্রতায় উক্ত গ্রামগুলোর কয়েকশ পরিবার আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে। শত শত বিঘা ফসলি জমি মেঘনার বুকে বিলীন হয়ে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়ছেন নদীপাড়ের মানুষগুলো। গত কয়েক দশকে মেঘনার তীরবর্তী এইসব গ্রামের বহু কৃষিজমি, ঘরবাড়ি ও অসংখ্য গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

বুধবার, ২৭ জুলাই, ২০১৬

নবীন লেখকদের উদ্দেশ্যে

যারা লেখালেখি করেন তারা নিশ্চয় জানেন একটা লেখা শুরু করা কতটা কঠিন। আপনার মাথায় হয়ত পুরোটা কাহিনী এসে বসে আছেঅথচ প্রথম লাইনটা কলমের আগায় আসছেই না। সেই কঠিন সময়কে জয় করেই আপনাকে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। আসলে লিখতে শুরু না করে লিখবলিখব চিন্তা করে সময় কাটানো অনেক সহজ। তাই যত তাড়াতাড়ি পারেন লেখার উদ্দ্যেশ নিয়ে খাতা বা কম্পিউটারের সামনে বসে পড়বেন। তাহলে দেখবেন আপনা আপনিই আপনার কলমে বা কী-বোর্ডে লেখা চলে আসছে।
লেখাকে সাবলীল করতেও দরকার নিয়মিত লেখা,তা সে যত ছাইপাশই হোক। প্রতিদিন অন্তত একশত শব্দও লিখতে চেষ্টা করতে হবে। সেগুলো হতে পারে কুখাদ্য বা অখাদ্যলিখলেই যে সব নোবেল প্রাইজ লেখা আসবে সে চিন্তা মাথা থেকে বাদ দিতে হবে। লিখতে হবে অবিরত। কোন কাহিনী মাথায় না থাকলে যা খুশি লিখা যেতে পারেমোটকথা প্রতিদিন নিয়ম করে লিখতে হবে। এবং সেটা যেমন মানেরই হোক। 

সোমবার, ১৮ জুলাই, ২০১৬

ভিক্ষাবৃত্তি

সমাজে যত ধরনের পেশা আছে তাদের মধ্যে সবচেয়ে অর্মযাদাকর ও অসম্মানজনক পেশা হচ্ছে ভিক্ষা করা। যারা ভিক্ষা করে তাদেরকে সমাজে ভালো চোখে দেখে না। সমাজে তাদের গৌরবজনক কোন ভূমিকা নেই বললেই চলে। তবে ভিক্ষা একটি নিকৃষ্ট ঘৃণ্য পেশা হলেও এটি একটি স্বাধীন পেশা। এই পেশা খুবই লাভজনক। এই পেশায় কোন পুঁজি খাটাতে হয় না। তাই এই পেশায় লাভ ছাড়া কোন লোকসান হয় না। অলস প্রকৃতির লোকদের জন্য এই পেশা খুবই ভাল। তবে এই পেশায় আত্মসম্মানবোধ বলে কিছু থাকে না। যাদের আত্মসম্মানবোধ নেই তারাই এই পেশায় জড়িয়ে পড়ে। আমাদের দেশের অধিকাংশ অলস পুরুষ মহিলা আছে যারা এই পেশার সাথে জড়িত। তাদের হাত, পা ও চোখ সবই আছে। তারা ইচ্ছে করলে কর্ম করে খেতে পারে কিন্তু অলসতার কারণে কর্ম না করে এই পেশায় চলে আসে।ভিক্ষাবৃত্তিকে ইসলাম ধর্মও সমর্থন করে না। ছোট বেলায় পড়েছিলাম,নবীর শিক্ষা করো না ভিক্ষা, মেহনত করো সবে এই ছিল মহানবী (স) এর বাণী। কিন্তু আমরা সেটা না মেনে কারণে অকারণে ভিক্ষার মতো ঘৃণ্য একটি পেশায় জড়িয়ে যায়।

রবিবার, ২৬ জুন, ২০১৬

বিলুপ্তির পথে গ্রামের বাঁশ শিল্প



বাঁশ এমন একটি উদ্ভিদ যা আমাদের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত নানা কাজে দরকার পড়ে। অনাদিকাল থেকে বাঁশের ব্যবহার বহুমাত্রিক। বাঁশবিহীন সমাজ পৃথিবীতে কখনো ছিল না, আজও নেই। গ্রামীণ জনপদে একসময় বাঁশঝাড় ছিল না এমনটা কল্পনাও করা যেতো না। যেখানে গ্রাম সেখানে বাঁশঝাড় এমনটিই ছিল স্বাভাবিক। মানুষের জীবনে বাঁশের প্রয়োজনীয়তা যে কতটা, তা লিখে তো নয়ই, বলেও শেষ করা যাবে না। বাড়ির পাশে বাঁশঝাড় ঐতিহ্য গ্রাম বাংলার চিরায়ত রূপ। কিন্তু বনাঞ্চলের বাইরেও এখন যেভাবে গ্রামীণ বৃক্ষরাজি উজাড় হচ্ছে তাতে হারিয়ে যাচ্ছে এ জাতীয় অজস্র গাছপালা। বাংলাদেশের জনজীবন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী বাঁশ ও বেত শিল্প। 

রবিবার, ৮ মে, ২০১৬

মাকে ভালোবাসার জন্য দিবসের কোন প্রয়োজন নেই


জন্মদাত্রী হিসেবে আমার, আপনার সকলের জীবনে মায়ের স্থান সবার ওপরে। যে মা দশ মাস দশ দিন গর্ভে ধারণ করে, দুই বছর স্তন্য দান করে, আমার আপনার জন্মের পর থেকে আজ পর্যন্ত ক্রমাগত ত্যাগ স্বীকার করে তিলে তিলে আমাকে আপনাকে বড় করেছে এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তাই করে যাবেন। যে মায়ের পায়ের নীচে আমার আপনার জান্নাত। যেই মায়ের জন্য আমরা কখনো কোথাও আঘাত পেলেই ‘মাগো’ বলে চিৎকার করি, সেই মাকে সম্মান দেখানোর জন্য বছরে একটি মাত্র দিন!

বুধবার, ২০ এপ্রিল, ২০১৬

একজন ডাক্তারের কত টাকা চাই?

আমরা জানি ডাক্তারি পেশা একটি সেবামূলক পেশা। এই পেশাকে কুলষিত করছে কতিপয় ডাক্তার। তারা একজন রোগীকে সবোর্চ্চ পাঁচ মিনিট সময় দিয়ে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। আমরা এও জানি টাকার চেয়ে একজন মানুষের জীবনের মূল্য অনেক বেশি সেটা আমরা সাধারণ জনগণ বুঝলেও কতিপয় ডাক্তাররা বুঝেন না। তাদের অমানুষিক আচরণের কারণে অনেক গরিব মানুষ বিনা চিকি‍সায় মারা যাচ্ছে।

রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৩

সৃজনশীল পদ্ধতিতে সিলেবাস জাতিকে মেধাশূন্য করছে

এ বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে দেশের প্রায় এসএসসিতে ৯০ শতাংশ ও এইচএসসিতে ৭১.১৩ শতাংশ পরিবার আনন্দে আত্মহারা। তাদের ছেলে-মেয়েরা পরীক্ষায় পাশ করেছে, অনেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে। এর চেয়ে বেশী খুশী আর কি হতে পারে। তারা সাংবাদিকদের সামনে এর কারণ হিসেবে ব্যাখ্যা করেন। শিক্ষক, অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল হচ্ছে এ অভুতপূর্ব রেজাল্ট। সর্বোপরি সৃজনশীল শিক্ষা ব্যবস্থা ও গ্রেটিং পদ্ধতিরও

মঙ্গলবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০১৩

ভারতের সংস্কৃতির প্রভাবে আমাদের সংস্কৃতি আজ হারিয়ে যাচ্ছে


ভারতীয় স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলো আমাদের দেশে উম্মুক্ত করে দেয়ায় দর্শক এখন ভারত মুখী হয়ে যাচ্ছে। ফলে আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতিকে ভারতের সংস্কৃতি গ্রাস করে ফেলছে। স্যাটেলাইট টিভির কল্যাণে বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে এখন ভারতের চ্যানেলগুলো দেখা যাচ্ছে। বাংলা হিন্দি উভয় চ্যানেলই তারা দেখছে। চ্যানেলগুলোর মধ্যে স্টার জলসা, জি বাংলা, জি বাংলা