ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলাধীন বড়িকান্দি ইউনিয়নের ধরাভাঙ্গা, সোনাবালুয়া ও নুরজাহানপুর এই তিনটি গ্রাম মেঘনার করাল গ্রাসে ভেঙ্গে যাচ্ছে। ছবিটি সোনাবালুয়া গ্রাম থেকে তোলা। ছবি: কামাল উদ্দিন |
মেঘনার
করাল ভাঙ্গনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলাধীন বড়িকান্দি ইউনিয়নের ধরাভাঙ্গা, সোনাবালুয়া ও নুরজাহানপুর এই তিনটি গ্রাম মেঘনা নদীর ভাঙনে বিলীন হতে
বসেছে। নদী ভাঙনের তীব্রতায় উক্ত গ্রামগুলোর কয়েকশ পরিবার আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে। শত
শত বিঘা ফসলি জমি মেঘনার বুকে বিলীন হয়ে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়ছেন নদীপাড়ের
মানুষগুলো। গত কয়েক দশকে মেঘনার তীরবর্তী এইসব গ্রামের বহু কৃষিজমি, ঘরবাড়ি ও অসংখ্য গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
ধরাভাঙ্গা
গ্রামবাসী জানান, প্রায় ২০ বছর আগে মরহুম এডভোকেট
আব্দুল লতিফ সাহেব এমপি ধরাভাঙ্গা গ্রামের
পূর্ব প্রান্তে একটি বাঁধ নির্মাণ করেছিলো। সেই বাঁধেও এখন বড় ধরনের ভাঙ্গন
দেখা দিয়েছে এবং এটিও এখন নদীতে বিলীন হওয়া পথে। বর্ষাকালে নদীর শো শো স্রোত আর
কড়াল ভাঙ্গনে ধরাভাঙ্গা গ্রামের অনেক জমি বহু আগেই নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এডভোকেট
আব্দুল লতিফ সাহেব এমপির মৃত্যুর পর এখন আর তাদের খোঁজ খবর এমনভাবে কেউই নেয় না।
সোনাবালুয়া
ও নুরজাহানপুর এলাকাবাসীরা জানান তাদের গ্রামের নদীর তীরবর্তী অংশগুলো সারা বছরই
কমবেশী ভাঙ্গনের কবলে থাকে। তবে বর্ষাকালে এ সব এলাকায় নদী ভাঙ্গন ভয়াবহ রূপ লাভ
করে। সে সময় এসব এলাকার নদীর পাড়ের মানুষেরা অব্যাবহ নদী ভাঙ্গনের ভয়ে সর্বদাই
আতংকে থাকেন। তবে মেঘনার অব্যাহত নদী ভাঙ্গনের ফলে এলাকার বিত্তশালীরা ইতোমধ্যে
এলাকা ছেড়ে শহরে পাড়ি জমিয়েছেন।
সরেজমিনে
ঘুরে দেখা গেছে ধরাভাঙ্গার এমপি টিলা থেকে নূরজাহানপুর খাল পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার
এলাকায় নদী ভাঙ্গন চোখে পড়ার মতো। উপরোক্ত এলাকার শত শত মানুষ জীবনের ঝুকি নিয়ে
বসবাস করছেন। তাদেরকে দেখার মতো কেউ নেই।
২০১৫
সালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন। কিন্তু
এখনো ভাঙন রোধে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যাচ্ছে না। এ অবস্থায়, মেঘনার অব্যাবহত ভাঙ্গন রোধে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের কাছে বিনীত আবেদন জানাচ্ছে নদী ভাঙ্গন এলাবাসী।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন