রবিবার, ২৬ জুন, ২০১৬

বিলুপ্তির পথে গ্রামের বাঁশ শিল্প



বাঁশ এমন একটি উদ্ভিদ যা আমাদের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত নানা কাজে দরকার পড়ে। অনাদিকাল থেকে বাঁশের ব্যবহার বহুমাত্রিক। বাঁশবিহীন সমাজ পৃথিবীতে কখনো ছিল না, আজও নেই। গ্রামীণ জনপদে একসময় বাঁশঝাড় ছিল না এমনটা কল্পনাও করা যেতো না। যেখানে গ্রাম সেখানে বাঁশঝাড় এমনটিই ছিল স্বাভাবিক। মানুষের জীবনে বাঁশের প্রয়োজনীয়তা যে কতটা, তা লিখে তো নয়ই, বলেও শেষ করা যাবে না। বাড়ির পাশে বাঁশঝাড় ঐতিহ্য গ্রাম বাংলার চিরায়ত রূপ। কিন্তু বনাঞ্চলের বাইরেও এখন যেভাবে গ্রামীণ বৃক্ষরাজি উজাড় হচ্ছে তাতে হারিয়ে যাচ্ছে এ জাতীয় অজস্র গাছপালা। বাংলাদেশের জনজীবন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী বাঁশ ও বেত শিল্প। 

মঙ্গলবার, ২১ জুন, ২০১৬

কোরআন নাজিলের মাস রমজান


‘রমজান’ শব্দটি আরবি। এটি রামিদা আর রামাদান থেকে এসেছে। যা বিভিন্ন অর্থে ব্যবহার হয়ে থাকে। কিন্তু মূলত এর অর্থ হচ্ছে ভস্ম করে দেয়া, ঝলসে দেয়া। ব্যাপক অর্থে রমজান বলতে, একজন রোজাদার রোজা রাখার ফলে, তার পাকস্থলীতে পিপাসার কারনে যে প্রখর তাপের সৃষ্টি হয়, সেটাকে বুঝানো হয়েছে। রমজানের আরেকটি অর্থ হল, রমজান মুসলিমের ভাল কাজের কারন ও এটি মুসলিমের সকল গুনাহকে পুড়িয়ে দেয়।

শনিবার, ১৮ জুন, ২০১৬

যাকাত ফরজ হওয়ার শর্ত ও বণ্টনের খাতসমূহ


যাকাত শব্দটি আরবি। অর্থ পবিত্রতা বা বৃদ্ধি। শরীয়তের পরিভাষায় আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে শরিয়ত নির্ধারিত পরিমাণ সম্পদের নির্দিষ্ট অংশ কুরআনে বর্ণিত আট প্রকারের কোন এক প্রকার লোক অথবা প্রত্যেককে দান করে মালিক বানিয়ে দেয়াকে যাকাত বলে। এ স্থলে দাতা গ্রহীতা থেকে বিনিময় স্বরূপ কোন ফায়দা হাছিল করতে পারবে না। কোন ফায়দা হাছিল করলে বা হাছিলের আশা রাখলে তার যাকাত আদায় হবে না।
ইসলামের বুনিয়াদ যে পঞ্চস্তম্ভের উপর প্রতিষ্ঠিত, তন্মধ্যে নামাজের পর সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হচ্ছে যাকাত। কোরআনে পাকে যেখানে নামাজের কথা বলা হয়েছে সেখানেই যাকাতের কথা বলা হয়েছে। বারবার এ নির্দেশ দেয়ার কারণ হল নামাজ দ্বারা ব্যক্তি ও পরিবারের সংশোধন হয়। যাকাত দ্বারা সমাজ ও রাষ্ট্র সংশোধিত হয়। নামাজ এবং যাকাত উভয় ইসলামের প্রধান স্তম্ভ যা বিধ্বস্ত হয়ে গেলে ইসলামের প্রাসাদ-ও ধ্বংস হয়ে যাবে। এ ব্যাপারে কোরআন শরীফে এসেছে-
وَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ وَآتُوا الزَّكَاةَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ

রবিবার, ১২ জুন, ২০১৬

তারাবি নামাজের ফজিলত


সালাতুত তারাবি পবিত্র রমজান মাসের বিশেষ একটি ইবাদত। মাহে রমজানে রাতের বেলায় এশার নামাজের চার রাকাত ফরজ ও দুই রাকাত সুন্নতের পর এবং তিন রাকাত বিতর নামাজের আগে দুই রাকাত করে ১০ সালামে যে ২০ রাকাত নামাজ আদায় করা হয়, তাকে ‘তারাবি নামাজ’ বলা হয়। আরবি ‘তারাবিহ’ শব্দটির মূল ধাতু ‘রাহাতুন’ অর্থ আরাম বা বিশ্রাম করা। তারাবি নামাজ পড়াকালে প্রতি দুই রাকাত বা চার রাকাত পরপর বিশ্রাম করার জন্য একটু বসার নামই ‘তারাবি’। দীর্ঘ নামাজের কঠোর পরিশ্রম লাঘবের জন্য প্রতি দুই রাকাত, বিশেষ করে প্রতি চার রাকাত পর একটু বসে বিশ্রাম করে দোয়া ও তসবিহ পাঠ করতে হয় বলে এ নামাজকে ‘সালাতুত তারাবিহ’ বা তারাবি নামাজ বলা হয়।

শনিবার, ১১ জুন, ২০১৬

রোজার গুরুত্ব ও ফজিলত


রহমত, মাগফিরাত এবং নাজাতের মাস মাহে রমজান। পবিত্র রমজান মাস মহান আল্লাহর সঙ্গে প্রিয় বান্দার প্রেম বিনিময়ের সবচেয়ে উত্তম সময়। এই মাসে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছে। তাই এ মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত বেড়ে গেছে বহুগুণ। রমজানের গুরুত্ব ও ফজিলত নিয়ে বিভিন্ন সাহাবী হাদীস বর্ণনা করেছেন।

সূরা ইয়াসীন


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
১. ইয়া-ছীন্।
২. অল্ কুরআন-নিল্ হাকীম।
৩. ইন্নাকা লামিনাল্ র্মুছালীন।
৪. আ’লা-ছিরাত্বিম মুছ্তাক্বীম।
৫. তান্যীলাল আ’যীর্যি রাহীম।

প্রশিক্ষণ, ধৈর্য্য ও আত্মসংযমের মাধ্যম হচ্ছে রোজা


রোজা শব্দটি ফারসী, আরবি ভাষায় বলা হয় সাওম। ইহা এক বচন, বহুবচন সিয়াম। এর আভিধানিক অর্থ বিরত থাকা, পোড়ানো বা দহন করা। সোনা যেমন আগুনে পুড়িয়ে খাঁটি করা হয়, তেমনি রোজা মানুষকে তার পাপ প্রবণতাকে দহন করে ঈমানের পথে আনয়ন করে। আর তার পারিভাষিক অর্থ হলো, রোজার নিয়তে সুবহে সাদিক হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত মহান আল্লাহর নির্দেশ পালন ও তাঁরই সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে যাবতীয় পানাহার ও যৌন সম্ভোগ হতে বিরত থাকার নাম হল রোজা। হালাল রিজিক ও হালাল স্ত্রী রোজা অবস্থায় দিনের বেলায় হারাম হয়ে যায়। তবে পানাহার ও স্ত্রী সহবাস থেকে শুধু শুধু বিরত থাকার নাম কিন্তু রোজা নয়। কেননা রসুল (সাঃ) বলেছেন, ‘এমন অনেক রোজাদার আছে যাদের রোজা ক্ষুৎপিপাসা থেকে বিরত থাকা ছাড়া আর কিছু নয়।’ বরং দেহ ও মনে সর্বদা আল্লাহর ভয়-ভীতির মাধ্যমে আল্লাহর নির্দেশ পালনের নামই হল রোজা।

ইয়াতীমদেরকে ভালোবাসুন

ইয়াতীম শব্দের অর্থ অনেক। বিভিন্ন জন বিভিন্ন অর্থ করেছেন। ইমাম রাগিব ইয়াতীম শব্দের অর্থ লিখেছেন। ‘‘ইয়াতীম বাচ্চার পূর্ণ বয়স্ক হওয়ার পূর্বেই তার পিতা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া।’’
সাইয়্যেদ আবদুল দায়েম আল জালালী বলেন, ‘‘ইয়াতীম অর্থ দু:খ, দুশ্চিন্তা, নাবালেগ, বাচ্চাদের বাপহীন হয়ে পড়া।’’   
তবে এর আরো অনেক অর্থ আছে। যেমন- সংকীর্ণ হওয়া, প্রায় অচল হওয়া, অক্ষম হওয়া, একলা হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। মোট কথা ইয়াতীম হচ্ছে অপ্রাপ্ত বয়স্ক পিতৃহীন বালক-বালিকা। আর এই ইয়াতীমের সময়সীমা শেষ হয়ে যায় প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পর। মহাগ্রন্থ পবিত্র আল কোরআনে মোট ১০টি সূরার ২০টি আয়াতে ইয়াতীমদের সর্ম্পকে বলা হয়েছে। এখানে মাত্র কয়েকটি আয়াতের অর্থ প্রকাশ করা হলো।