শনিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৪

মুক্ত আলোচনা (পর্ব-১০) আজকের বিষয়: বিবাহবিচ্ছেদ

আজ শুক্রবার। ছুটির দিন। যারা অবসর আছেন তারা চলে আসুন মুক্ত আলোচনার লাইভ আড্ডায়।

আজকের বিষয়: বিবাহবিচ্ছেদ

বিবাহবিচ্ছেদের সাথেসাথে একটি দাম্পত্যসর্ম্পকের অবসান ঘটে। এর মাধ্যমে শুধু স্বামী-স্ত্রীর সর্ম্পকেরই অবসান ঘটে না, দুটি পরিবারের আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে সর্ম্পকের অবসান ঘটে। আমাদের সমাজে বিবাহবিচ্ছেদ যদিও কোন অপরাধমূলক কাজ নয় এবং এর পেছনে ধর্মীয় সমর্থন আছে তথাপি এটা একটা নিকৃষ্ট বৈধ কাজ। তাই যতটা সম্ভব এই নিকৃষ্ট বৈধকাজ থেকে বিরত থাকা উচিত। বিবাহবিচ্ছেদ হওয়ার পর দ্বিতীয় বিয়ের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ
উভয়েই সমস্যার সম্মুখীন হয়। তবে বিবাহবিচ্ছেদের ফলে পুরুষের চেয়ে নারী সবচেয়ে বেশি অসহায় হয়ে পড়ে। কেননা যে নারী স্বামীর আয়ের ওপর নির্ভরশীল, সে নারী যখন তালাকপ্রাপ্ত হয় তখন সে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? হয়তো বা তার বাবা-মা এখন বেঁচে নেই বা বৃদ্ধ। আর অনেকের হয়তো ভাই নেই বা যাদের ভাই আছে তারা যারযার সংসার নিয়ে ব্যস্ত। এ মূহূর্তে যদি ভাইয়েরা তাকে আশ্রয় দেয় তাহলে তাদের করুণার ওপর বেঁচে থাকতে হবে। বাবা-মা, ভাইয়েরা তার অন্যত্র বিয়ে দিতে গিয়েও সমস্যার সম্মুখীন হয়। এমন অবস্থায় একজন তালাকপ্রাপ্ত নারী কত যে অসহায় তাভুক্তভোগী ছাড়া কেউ বুঝবে না। অন্যদিকে পুরুষ কিন্তু তেমন সমস্যার সম্মুখীন হয় না। তারা ইচ্ছে করলে অন্য জায়গায় বিয়ে করতে পারে। আবার না করেও সারাজীবন কাটিয়ে দিতে পারে। কেননা পুরুষ কারো ওপর নির্ভরশীল নয়। বিবাহবিচ্ছেদ ঘটলে সমাজ স্বামী-স্ত্রী উভয়কে সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখে। বিশেষ করে নারীরা হয় সমাজের উপহাসের পাত্র। অনেক তালাকপ্রাপ্ত নারীকে কটুক্তি করে বলে, কপালপোড়া, কুলক্ষ্মী, পোড়ামুখী ইত্যাদি। খুব কমক্ষেত্রেই পুরুষকে দোষারুপ করতে দেখা যায়। বিবাহবিচ্ছেদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যাটি হচ্ছে- সন্তান-সন্তুতি লালন-পালন, অভিভাবকত্ব, সম্পত্তির উত্তরাধিকার নিয়ে। অনেক সময় এসব পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য আলাদলতের শরণাপন্ন হতে হয়। যার ফলে সন্তানরা অবহেলিত হয়। তারা মাতা-পিতার আদর, স্নেহ, ভালোবাসা ও জন্মগত অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। এ কারণে এসব অবহেলিত সন্তানরা সামাজিকীকরণপ্রক্রিয়ায় স্বাভাবিক ব্যক্তিত্ব গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়। বিস্তারিত…
 Divorce-law-india
যৌতুক, যৌন অসামঞ্জস্যতা, পরকীয়া প্রেম, নেশা, বহুবিবাহ ইত্যাদি কারণে বিচ্ছেদ ঘটতে পারে। এই কারণগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করতে পারি।
043012_2258_4
আসুন আমরা বিবাহবিচ্ছেদের প্রতিকার ও আইনকানুন নিয়ে আলোচনা করি।
court_verdict_21199
তালাক ও ডিভোর্স সর্ম্পকে ইসলাম কি বলছে তা নিয়ে আমরা আলোচনা করতে পারি।
Talak+devorce
অনেক শিল্পীসাহিত্যিকরা বিচ্ছেদের কবলে পড়ে খুব দ্রুতই মানুষের মাঝে আলোচনায় চলে আসেন। অনেকে হয়ে ওঠেন অনেকবেশি আলোচিত-সমালোচিত। এর মধ্যে আমাদের দেশে আলোচিত বিবাহবিচ্ছেদ হচ্ছে প্রখ্যাত উপন্যাসিক হুমায়ূন আহমেদ ও গুলতেকিন এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ও বিদিশা দম্পতি। ২৮ বছরের বিবাহিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে হুমায়ূন আহমেদ তার জনপ্রিয়তায় কিছুট হলেও ধস নামিয়েছেন। অনেক শিল্পীসাহিত্যিকরা বিচ্ছেদের কবলে পড়ে খুব দ্রুতই মানুষের মাঝে আলোচনায় চলে আসেন। অনেকে হয়ে ওঠেন অনেকবেশি আলোচিত-সমালোচিত । শুধু শাওনকে ভালবেসে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন বলে প্রথমস্ত্রীর সঙ্গে দূরত্বটা এমনিতেই তৈরি হয়ে গেছে হুমায়ূন আহমেদের। শুধু তিনি নন, বিয়েবিচ্ছেদের তালিকায় আরও অনেকশিল্পী-সাহিত্যিক রয়েছেন। তারা হলেন বিশিষ্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী ও গবেষক সানজিদা খাতুন, বির্তকিত লেখিকা তাসলিমা নাসরিন, কবি রফিক আজাদ, নির্মলেন্দ গুন, সাযযাদ কাদির, অভিনেতা হুমায়ুন ফরিদী, পীযুষ বন্দোপাধ্যায়, নায়িকা ববিতা, রোজী আফসারী, সুচরিতা, তারানা হালিম, শমী কায়সার, তানিয়া আহমেদ, রোজী সিদ্দিকী, তারিন, অভিনেতা সোহেল আরমান, আফসানা মিমি, তমালিকা কর্মকার, নৃত্যুশিল্পী শামিম আরা নিপা, অভিনেতা শাকিল খান, অভিনেতা আলমগীর, অভিনেত্রী পপি, রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমীন, ডলি সায়ন্তনী, রবি চৌধুরী, সামিনা চৌধুরী, গায়িকা রিজিয়া পারভীন ও গীতিকার আব্দুল খালেক প্রমুখ। তাদের বিবাহবিচ্ছেদের কারণ নিয়ে আমরা এখানে আলোচনা করতে পারি।
35712_1_7361
আসুন আমরা ওপরের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু করি। আলোচনার কোন নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। আজ থেকে পরবর্তী পোস্টপ্রকাশ হওয়ার আগ পর্যন্ত আপনারা আলোচনা করতে পারবেন। যেকেউ যেকোন সময় আলোচনা আড্ডায় যোগ দিতে পারবেন। প্রতিটা আলোচনা-আড্ডা থেকে আমরা কিছু শিক্ষণীয় বিষয় বের করে নিব। সকল ব্লগার সবার প্রতি সম্মান রেখে কথা বলবেন। কোন অশ্লীল বা সহব্লগারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতে পারে এমন কথাবার্তা থেকে বিরত থাকবেন। যারা অবসর আছেন তারা চলে আসুন লাইভ মুক্তআলোচনার আড্ডায়।
আজ শুধুই বিষয়ভিত্তিক মুক্তআলোচনার আড্ডা হবে। ভয়ের কিছু নেই, যারা আজকে মুক্তআলোচনায় যোগ দিতে পারবেন না, তারা হাজিরা দিয়ে চলে যান। কালকে, পরশু বা আরো পরে আসলেও কোন সমস্যা নেই। আপনার জন্য মুক্তআলোচনার আয়োজন সবসময় খোলা থাকবে। তো আসুন মুক্তআলোচনায় মনকে ফ্রেস করি। একে অপরকে জানি। একে অপরের মতামত তু্লে ধরি।

কোন মন্তব্য নেই: