জসীম উদ্দীন মুহম্মদের জন্ম ১৯৭৩ সালে কিশোরগঞ্জ
জেলায়। বাবা মো: আবদুল হামিদ ও মা আয়েশা হামিদ। লেখালেখি ছোটবেলা থেকেই। অনলাইন
সাহিত্য ম্যাগাজিনের জন্মলগ্ন থেকেই তিনি নিয়মিত লিখছেন জলছবির অনলাইন সংস্করণ ও
প্রিন্ট প্রকাশনায়। এ ছাড়াও অনলাইনের বিভিন্ন সাইটে নিয়মিত লিখে ইতিমধ্যেই ব্যাপক
জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন তিনি। ২০০৯ সালে তার প্রথম কবিতার বই প্রকাশিত হয় অংকুর প্রকাশনী
থেকে। আগামী একুশে বইমেলায় তার দু’টি বই প্রকাশের কথা রয়েছে। পেশায় তিনি একজন শিক্ষক। তিন সন্তানের
জনক কবি জসীম উদ্দীন মুহম্মদের কবিতায় প্রকৃতি ও প্রেম প্রাধান্য পায়। প্রজাপতি
সাহিত্য আসরের জন্য তার এই সাক্ষাতকারটি গ্রহণ করেছেন আমির ইশতিয়াক।
জলছবি বাতায়তনঃ জলছবি বাতায়নের পক্ষ থেকে আপনাকে স্বাগতম। কেমন আছেন আপনি?
কেমন লাগছে এখানে আসতে পেরে?
জসীম উদ্দীন মুহম্মদঃ আপনাকে এবং প্রিয় জলছবি বাতায়নের প্রতি
অশেষ ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। দেশের একজন সাধারণ মানুষ হিসাবে আমি ভাল আছি।
এখানে আসতে পেরে আমি ভীষণভাবে আনন্দিত এবং উৎফুল্ল।
জলছবি বাতায়তনঃ কতদিন যাবৎ লেখালেখি করছেন?
জসীম উদ্দীন মুহম্মদঃ সে অনেকদিন আগের কথা। যতদূর মনে পড়ে, আমি যখন চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ি, তখন প্রথম কবিতা লিখেছিলাম। অবশ্য মাঝে একটা দীর্ঘ বিরতি ছিলো। এখন
আবার নিয়মিত লেখার চেষ্টা করছি।
জলছবি বাতায়তনঃ লেখালেখির শুরুটা কীভাবে?
জসীম উদ্দীন মুহম্মদঃ আমার পরম শ্রদ্ধেয় বাবা মোঃ আব্দুল হামিদ।
তিনি মনে প্রাণে একজন শিক্ষক, সেই সাথে একজন একনিষ্ঠ পাঠক। আর আমার শ্রদ্ধেয় বড় ভাই জালাল উদ্দিন
মুহম্মদ একজন কবি এবং কথা সাহিত্যিক। মূলত উনাদের সংস্পর্শেই আমার লেখালেখির
হাতেখড়ি। আমি শৈশবে দেখেছি জালাল ভাই একটা কবিতা লিখে আমাদের পারিবারিক সভায় পাঠ
করতেন; সবাই আমরা করতালি দিয়ে উনাকে উৎসাহিত করতাম। তখন
আমারও কবিতা লিখতে, গল্প লিখতে, উপন্যাস
লিখতে খুব খুব ইচ্ছা হতো। এভাবেই এক সময় লেখালেখির সাথে যুক্ত হয়ে পড়ি।
জলছবি বাতায়তনঃ এখন পর্যন্ত কোনো বই প্রকাশ পেয়েছে কি?
যদি পেয়ে থাকে কয়টি ও কী কী?
জসীম উদ্দীন মুহম্মদঃ এখন পর্যন্ত আমার ৩টি বই প্রকাশিত হয়েছে।
এরমধ্যে একটি বই একক। নামঃ খুঁজে চলে যারে(কাব্য গ্রন্থ)। বইটি ২০০৯ ইং সালে অংকুর
প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়। এরপরে একটা বেশ লম্বা বিরতি আছে। তারপর ২০১৩ সালের
একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয় ২য় কাব্য গ্রন্থ “তের কবির পঙক্তিমালা” (যৌথ) । এরপর ২০১৫ সালে আমার প্রিয় জলছবি
প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয় ৩য় কাব্যগ্রন্থ “ কোমলগান্ধার”। এটিও একটি যৌথ প্রকাশনা। এ বছর একুশে বই
মেলায় দুইটি গ্রন্থ প্রকাশের আশা রাখছি। একটি কাব্য গ্রন্থ। নামঃ ভালোবাসার ১০০
কবিতা এবং ২য় টি ছোট গল্পের। নামঃ অপরাজিতা।
জলছবি বাতায়তনঃ আপনার লেখালেখিতে উৎসাহ পান কার কাছ থেকে?
জসীম উদ্দীন মুহম্মদঃ এই যে বললাম, সবার আগে আমার বাবা। তারপর আমার পরম
শ্রদ্ধেয় মা আয়েশা হামিদ। তারপর আমার বড় ভাই মোঃ গিয়াস উদ্দিন এবং জালাল উদ্দিন
মুহম্মদ। তবে ইদানিং আমাকে বেশ উৎসাহ যুগিয়ে চলেছেন আমার স্ত্রী মোহসিনা বেগম এবং
আমার চতুর্থ শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে ইউশা হামিদ ও ২য় শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে আয়েশা হামিদ ঐশী।
তাছাড়া আমার একটা নিজস্ব পাঠক শ্রেণি আছেন। তাঁরাও আমাকে নিরন্তর উৎসাহ যুগিয়ে
চলেছেন। তাঁদের সকলের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।
জলছবি বাতায়তনঃ কোন ধরনের লেখা লিখে আনন্দ পান?ধর্মীয়/সামাজিক/রোমান্টিক?
জসীম উদ্দীন মুহম্মদঃ আমি প্রবন্ধ, ছোট গল্প, ছড়া
এবং কবিতা লিখি। তবে কোন্ ধরণের লেখাতে আমি আনন্দ পাই, এই
প্রশ্নের উত্তরে আমি কবিতার কথাই বলব। কবিতার সাথে আমার সম্পর্ক অনেকটা নাড়ীর মতো।
কবিতা আমার পৃথিবী। কবিতা আমার ঘর, বাড়ি, উঠোন। কবিতা ছাড়া আমার কোনোভাবেই চলে না। সাহিত্য সমাজের দর্পণ। তাই
সমাজের প্রতি কবি এবং সাহিত্যিকগণের দায়ভার সবচেয়ে বেশি। এদিক বিবেচনায় সামাজিক
লেখাই আমার সবচেয়ে পছন্দ। এরপরই আছে রোমান্টিক লেখা।
জলছবি বাতায়তনঃ বাংলাসাহিত্যের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে আপনার মতামত জানতে
চাই?
জসীম উদ্দীন মুহম্মদঃ চমৎকার একটি প্রশ্ন! অনেক ব্যাখ্যার দাবী
রাখে। আমার মতে, সাহিত্য
একটি গতিশীল বিষয়। সমাজ যেমন কালের চক্রে পরিবর্তিত হয়, তেমনি
সাহিত্যও এক জায়গায় স্থির থাকে না। সমাজ পরিবর্তনের সাথে সাথে সাহিত্যিকগণের চিন্তা-ভাবনা
এবং প্রকাশে পরিবর্তন ঘটে। আর এমনটি হওয়াই স্বাভাবিক এবং কাম্য। আমি আরও মনে করি,
বাংলা সাহিত্যের বর্তমান অবস্থা সমাজ পরিবর্তনের গতির সাথে সাথে
ততটা তাল মিলিয়ে চলতে পারছে না। বর্তমানে এক ধরণের স্থবিরতা সাহিত্য অঙ্গনে বিরাজ
করছে। আশংকাজনক হারে পাঠক যেমন কমে গেছে, তেমনি পাঠককে
ফিরিয়ে আনার মতো কোনো কবি, সাহিত্যিক সমকালীন সাহিত্য
জগতে উঠে আসছেন না।
জলছবি বাতায়তনঃ পত্রিকায় এবং অনলাইনে নতুন যারা লিখছেন তাদের উদ্দেশ্যে কিছু
বলুন?
জসীম উদ্দীন মুহম্মদঃ আজকের শিশু যেমন কালকের পিতা তেমনি এখন
যারা পত্রিকা এবং অনলাইনে লিখছেন; তারাই একদিন সাহিত্যের দিকপাল। একথা আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি। তবে
অবশ্যই তাদেরকে সাহিত্যের প্রতি নিষ্ঠাবান হতে হবে। সাহিত্য সাধনার বিষয়। জন্ম না
নিয়ে যেমন কেউ শিশু হয় না, তেমনি সাহিত্যিক হয়েও কেউ
জন্মায় না। নিঃসন্দেহে সাহিত্য কর্মই সাহিত্যিককে বাঁচিয়ে রাখে। আর সাহিত্যিকের
বেঁচে থাকার বড় অনুষঙ্গ হলো পাঠক। সুতরাং জীবন ঘনিষ্ঠ এবং সৃজনশীল সাহিত্য রচনার
মাধ্যমে পাঠকের কাছে পৌঁছতে হবে। পাঠকের মাঝেই সাহিত্যিক লোকান্তরেও বেঁচে থাকবেন।
জলছবি বাতায়তনঃ যিনি লিখেন তিনিই লেখক। কিন্তু ব্লগে যারা লিখেন তাদেরকে
ব্লগার বলা হয় কেন? তাদেরকে লেখক বলতে অসুবিধা
কোথায়?
জসীম উদ্দীন মুহম্মদঃ উত্তরটি তো আপনিই দিয়ে দিয়েছেন। যিনি
লিখেন তিনিই লেখক; আর
ব্লগে যারা লিখেন তারাই ব্লগার। হা হা হা ---। মূলত ব্লগিং একটি ফ্লাটফরম। অনলাইন
মিডিয়ায় যারা লেখালেখি করেন, তাদেরকে ব্লগার বলা হয়।
তাদের প্রত্যেকেই সাহিত্যের কোন না কোন ধারাকে প্রতিনিয়ত সমৃদ্ধ করে চলেছেন;
তাই তাদেরকে লেখক বা কবি বলতে আমি তো কোনো অসুবিধা দেখছি না।
জলছবি বাতায়তনঃ অনলাইন সাহিত্য সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কী?
জসীম উদ্দীন মুহম্মদঃ অনলাইন সাহিত্য - সাহিত্য চর্চার সবচেয়ে
আধুনিক এবং জনপ্রিয় মাধ্যম। এখানে সহজেই যেমন লেখা প্রকাশ করা যায়, তেমনি পাঠকের কাছেও অতি সহজেই পৌঁছানো
যায়। পাঠকের প্রতিক্রিয়া জানা যায়। সরাসরি গঠনমূলক সমালোচনার মাধ্যমের লেখার উৎকর্ষ
বৃদ্ধি পায়। যা প্রিন্ট মিডিয়ায় অনেকটা অসাধ্য। এদিক বিবেচনায় বর্তমানে অনলাইন
সাহিত্যের কোনো বিকল্প নেই।
জলছবি বাতায়তনঃ আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে বলুন?
জসীম উদ্দীন মুহম্মদঃ চমৎকার কঠিন একটি প্রশ্ন। বাস্তবতা অনেক
সময়ই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। তবুও আমি বিশ্বাস করি, একটি যথার্থ পরিকল্পনার কোন বিকল্প নেই।
আমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হলো, পাঠকের হৃদয়ে বেঁচে থাকা
হাজার বছর ধরে। সেটা ছড়া দিয়ে, কবিতা দিয়ে, গল্প দিয়ে, প্রবন্ধ দিয়ে কিংবা উপন্যাস দিয়ে।
এখন থেকে প্রতিবছর নিয়মিত বই প্রকাশ করে যেতে চাই। বর্তমানে আমার লেখা কবিতার
সংখ্যা হাজারের অধিক। এছাড়া অনন্যা লেখা তো আছেই।
জলছবি বাতায়তনঃ অনেকেই ছদ্মনামে লিখেন। এটাকে আপনি কোন দৃষ্টিতে দেখেন?
জসীম উদ্দীন মুহম্মদঃ আগেও অনেকে ছদ্মনামে লিখতেন, এখনও অনেকে ছদ্মনামে লিখেন এবং ভবিষ্যতেও
অনেকে ছদ্মনামে লিখবেন। এতে আমি সমস্যার কিছু দেখি না। তবে মনে রাখতে হবে, নামটি যেন শালীন হয়, সার্থক হয়। আরও মনে রাখতে
হবে, নাম মানুষকে বড় করে না, মানুষই
নামকে বড় করে। ইদানিং এ প্রশ্নটি সামনে এসেছে, কারণ
অনেকেই অরুচিকর নিক ব্যবহার করেন; যা কোনভাবেই কাম্য নয়।
জলছবি বাতায়তনঃ অনলাইনে সাহিত্য চুরি সম্পর্কে কিছু বলুন। কীভাবে তা ঠেকানো
যায়?
জসীম উদ্দীন মুহম্মদঃ সমসাময়িক প্রশ্ন। জঘন্য অপরাধ। আমার তো
মনে হয় সিঁধেল চোর এবং অনলাইনে সাহিত্য চোর অনেকটা একই কথা। দুই জনের যদি তুলনা
করি, তাহলে আমার দৃষ্টিতে অনেকাংশে
সিঁধেল চোর ভালো। কারণ সে জীবিকার তাগিদে, জীবন বাঁচানোর
তাগিদে চুরি করে। আর সাহিত্য চোর একজন জঘন্য প্রকৃতির এবং হীন মনোবৃত্তির মানুষ।
আমারও অনেক লেখা চুরি হয়ে যায়। অনেকরই এমন হয়। আমি এমন কয়েকজনকে জানি, যারা এই লেখা চুরির জন্য অনলাইনে সাহিত্য চর্চা ছেড়ে দিয়েছেন। এটি
ঠেকানো অত্যন্ত কঠিন কাজ। দরকার নৈতিক বোধের জাগরণ এবং সচেতনতা বৃদ্ধি। সেই সাথে
প্রতিবাদ।
জলছবি বাতায়তনঃ জলছবি বাতায়ন সর্ম্পকে কিছু মতামত ও পরামর্শ বলুন?
জসীম উদ্দীন মুহম্মদঃ জলছবি বাতায়ন আমার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ জন।
আমার আত্মার আত্নীয়। শ্রদ্ধেয় নাসির আহমেদ কাবুল ভাইয়ের নির্দেশনায় জলছবি বাতায়ন
এগিয়ে যাচ্ছে সাবলীল গতিতে। কাবুল ভাই নিজে একজন সাহিত্য অন্তঃপ্রাণ মানুষ।
সাহিত্য এবং সাহিত্যিককে তিনি সম্মান করেন,
ভালোবাসেন। জলছবির লেখকদের জন্য একটি বাড়তি পাওয়া হলো, জলছবি প্রকাশনা; যা একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান।
জলছবি প্রকাশনীতে আমরা অন্যান্য প্রকাশনী থেকে অনেক স্বল্প মূল্যে বই প্রকাশ করতে
পারি। জলছবির সম্মানিত লেখক এবং পাঠকের কাছে আমার অনুরোধ, আসুন আমরা, আমাদের প্রিয় জলছবিকে আরও এগিয়ে
নিয়ে যাই। জলছবি বাতায়নে লিখি, অন্যের লেখায় গঠনমূলক
মন্তব্য করি এবং জলছবি প্রকাশনী থেকে বই প্রকাশ করি। সেই সাথে জলছবির প্রতি অনুরোধ
থাকবে, সেরা কবি এবং লেখককে পুরষ্কার প্রদানের ধারাটি যেন
অব্যাহত থাকে।
জলছবি বাতায়তনঃ এমন একটি ঘটনা বলুন যেটি মনে হলে এখনও হাসি পায়?
জসীম উদ্দীন মুহম্মদঃ আমি তখন অনেক ছোট; ২য় শ্রেণিতে পড়ি। আমার শ্রদ্ধেয় বড় ভাই গিয়াস
উদ্দিন আমাকে পুকুরে গোসল দিচ্ছিলেন। ভাইয়া যখন আমাকে সাবান দিয়ে ঢলাঢলি করছেন,
তখন আমি ভাইয়াকে বলেছিলাম, ভাইয়া আল্লাহ
মানুষকে কী দিয়ে তৈরি করেছেন? উত্তরে ভাইয়া বললেন,
কেন মাটি দিয়ে! এই কথা শুনে আমি নাকি বলেছিলাম, তাহলে তুমি আমাকে যতোই সাবান দিয়ে ঢলাঢলি কর, ততই
তো কেবল মাটি বের হবে!! এই কথা শুনে ভাইয়া হাসলেন। আমি বোকা হয়ে গেলাম। ভাইয়া এখনও
আমাদের পরিবারের সবাই একত্রিত হলে(বিশেষ করে ঈদে) এই গল্পটি বলেন। তখন সবাই হাসে।
মজা পায়। এই ঘটনাটি মনে হলে আমি এখনও একা একা হাসি ——- !! ধন্যবাদ আপনাকে। আবার হাসলাম।
জলছবি বাতায়তনঃ এমন একটি দুঃখের স্মৃতি বলুন যেটি মনে হলে এখনও কষ্ট পান?
জসীম উদ্দীন মুহম্মদঃ বছর দুয়েক আগে আমার বাবা একবার অসুস্থ
হয়েছিলেন। সংজ্ঞাহীন বাবাকে নিয়ে আমি হাসপাতালে বারদিন ছিলাম। এই বারটি দিনের
প্রতিটি মুহূর্তের স্মৃতি আমাকে কাঁদায় ---- অতঃপর দীর্ঘ বার দিন পরে যখন আমার
বাবার জ্ঞান আল্লাহ ফিরিয়ে দেন, তখন আমার আনন্দ আর ধরে না। আপনাদের সকলের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহর অশেষ
কৃপায় আমার বাবা এখনও আমাদের মাঝে বেঁচে আছেন। আমার বাবা মায়ের জন্য সকলের কাছে
দোয়া চাইছি।
জলছবি বাতায়তনঃ আপনার প্রিয় লেখক/কবি কে? কেন
তাকে আপনি প্রিয় মনে করেন?
জসীম উদ্দীন মুহম্মদঃ আমার প্রিয় লেখক শ্রী শরৎচন্দ্র এবং
প্রিয়কবি হলেন পল্লীকবি জসীম উদদীন। আমি বিশ্বাস করি, তাঁদের দু’জনেই পাঠক হৃদয়ের গভীরে সফল প্রবেশ করতে
পেরেছেন।
জলছবি বাতায়তনঃ প্রতি বছর বাংলা একাডেমীর বই মেলায় যান কি?
মেলার কোন অভিজ্ঞতা থাকলে শেয়ার করুন।
জসীম উদ্দীন মুহম্মদঃ প্রতিবছরই যাওয়া হয় না। তবে অধিকাংশ বারই
যাওয়া হয়। মেলায় ঘুরাফেরার পাশাপাশি যে কাজটি আমার সবচেয়ে প্রিয় তা হলো, বাংলা একাডেমী চত্বরে আয়োজিত কবিতা
আবৃত্তি শোনা।
জলছবি বাতায়তনঃ এখানে এসে আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সাক্ষাৎকার দেয়ায়
আপনাকে ধন্যবাদ।
জসীম উদ্দীন মুহম্মদঃ আপনাকেও অশেষ ধন্যবাদ। সেই সাথে প্রিয়
জলছবির প্রতিও নিরন্তর কৃতজ্ঞতা জানাই।
সাক্ষাতকার
গ্রহণে আমির ইশতিয়াক
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন