আমাদের ছোট্টবেলার শৈশবের দিনগুলো
ছিলো খুব মধুর। আমরা যারা শৈশব, কৈশোর পেরিয়ে এখন যৌবনে হাজির হয়েছি আমাদের সবার
মনে এখন উঁকি দেয় শৈশবের সেই স্মৃতিমধুর সোনালি দিনগুলো। আমরা সবাই একবাক্যে স্বীকার করব যে, শৈশবের সেই দিনগুলো সত্যিই
খুব মধুর ছিলো। শৈশবের কথা পড়ে অনেকে হয়তো স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ছেন।
স্মৃতির পাতায় হাতড়াতে শুরু করেছেন ফেলে আসা সোনালি দিনগুলোর কথা। আবার অনেকে হয়তো এতোটাই স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ছেন যে, এ
মুহূর্তে শৈশবের দুরন্তপনার সহযোগী সেই বন্ধুদের কথা মনে পড়ছে।
শৈশবের ফেলে আসা কিছু খেলা আজো আমার
মনে দোলা দিয়ে যায়।
সেসব খেলা যেমন ছিল জনপ্রিয় তেমনি ছিলো স্মৃতিমধুর। তখনকার শৈশবের
দুরন্তপনা ছিল শারীরিক ও মানসিক বিকাশের মাধ্যম। গ্রামীণ খেলা আমাদের আদি ক্রীড়া
সংস্কৃতি। এক সময় গ্রামীণ খেলাধুলা আমাদের সংস্কৃতির ঐতিহ্য বহন করতো। গ্রামীণ
খেলা বিলুপ্ত হতে হতে আজ তার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়াই কঠিন। ছেলেবেলার সেইসব খেলাগুলোর
কথা মনে হলে অবশ্যই আপনাকে স্মৃতিকাতর করবে।
আমরা বাড়ির বাইরে গিয়ে গোল্লাছুট,হা-ডু-ডু(কাবাডি),দারিয়াবান্দা,ডাংগুলি,ফুটবল,লাটিম,
ইচিংবিচিং খুতখুত, গুলতি, সুপারি পাতার গাড়িতে চড়া, কানামাছি, দোকানপাট তৈরি করে
কেনাবেচা করা, দলবেধে খালভার্ট বা ব্রিজ থেকে পানিতে ঝাঁপ দেওয়া, চড়ুইবাতি
(জুলাবাতি), ঘুড়ি উড়ানো, দোলনায় ঝোলা, গাছে উঠে ফল পেড়ে খাওয়া,ওপেন-টু-বায়োস্কোপ, মোরগ
লড়াই, জামাই বউ খেলা খেলে পার করতাম।
বর্ষাকালে কলার ভেলায় চড়া, নৌকায়
চড়ে শাপলা উঠানো, পানিতে ডুবিয়ে শালুক তোলা, সাঁতার খেলা ও মাছ ধরে দিন পার করতাম।
বৃষ্টির দিনের বাসায় বসে লুডু,সাপ-লুডু, ছক্কাকডি,ষোলকডি, চোর পুলিশ ও
মার্বেল খেলা খেলতাম। জোসনা রাতে সমবয়সী ছেলে-মেয়ে মিলে বিভিন্ন খেলা খেলতাম যার
নাম গুলো এখন সবগুলো মনে করতে পারছি না।
আমাদের
সময়ের সেই শৈশবগুলো কি ফিরে পাব?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন