শনিবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৪

বাংলাদেশের বন্যার কারণ ও প্রতিকার

বাংলাদেশ পলিবাহিত বিস্তীর্ণ এক সমতল ব-দ্বীপ। ভূমি বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে এটি পাহাড়, সমতল থেকে সামান্য উঁচু ভূমি ও সমতল প্লাবন ভূমি, এই তিনটি অঞ্চলে বিভক্ত। বাংলাদেশের আয়তন ১,৪৭,৫৭০ বর্গকিলোমিটার। পদ্মা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা এই তিন নদী অববাহিকার নিম্নাঞ্চলে ৪,৬৮৫ কিলোমিটার দীর্ঘ অনন্য বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ভৌগোলিক অঞ্চল গঠন করেছে বাংলাদেশ। এদেশের অর্থনীতি মূলত: কৃষিনির্ভর এবং সামগ্রিকভাবে মৌসুমী জলবায়ুর ওপর নির্ভরশীল। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে এদেশকে প্রায়ই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে হয়।
প্রকৃতির দুই রূপ- সৃষ্টি ও ধ্বংস। প্রকৃতি একদিকে গঠন করছে, অন্যদিকে বিনাশ করছে। বিভিন্ন কারণে প্রকৃতি ধবংস হচ্ছে। এসব ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে রয়েছে বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড়, টর্ণেডো, নদীভাঙ্গন, খরা, ভূমিকম্প ইত্যাদি। তবে সব প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে বন্যার আঘাতই সবচেয়ে বেশি। অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ সাধারণত: কিছু কিছু এলাকায় আঘাত এনে ক্ষতিসাধন করে থাকে এবং এর স্থায়ীত্বকাল অল্প সময় হয় কিন্তু বন্যা প্রায় সমগ্র দেশে আঘাত এনে প্লাবিত করে থাকে। এর স্থায়ীত্ব বেশিদিন থাকে। তখন অসহায় হয়ে পড়ে গোটা জাতি। বন্যার কারণে জনজীবনে নেমে আসে ভয়াবহ দু:খ, কষ্ট। বন্যা যেন এখন নিয়মিত বার্ষিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায় প্রতি বছরই বন্যা হচ্ছে। এর কারণে এদেশে ব্যাপক জানমালের ক্ষতি হচ্ছে। এ জন্য বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম প্রধান প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ দেশ হিসেবে পরিগণিত।
বাংলাদেশে বন্যার সংজ্ঞা স্বতন্ত্র। বর্ষাকালে যখন নদী-নালা, খাল-বিল, হাওর-বাওড় ও নিচু এলাকা ছাড়িয়ে সমস্ত জনপদ পানিতে ভেসে যায় এবং ফলস, ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয় তখন তাকে বন্যা বলে আখ্যায়িত করা হয়। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে প্রতিবছর বাংলাদেশের প্রায় ২৬,০০০ বর্গ কিমি অঞ্চল অর্থাৎ ১৮ শতাংশ ভূখন্ড বন্যা কবলিত হয়। ব্যাপকভাবে বন্যা হলে সমগ্র দেশের ৫৫ শতাংশের অধিক ভূখন্ড বন্যার প্রকোপে পড়ে। প্রতি বছর বাংলাদেশে তিনটি প্রধান নদীপথে মে থেকে অক্টোবর পর্যন্ত আর্দ্র মৌসুমে ৮৪৪,০০০ মিলিয়ন কিউবিক মিটার পানি প্রবাহিত হয়।
আয়তনের দিক দিয়ে বাংলাদেশ পৃথিবীর মধ্যে অতি ক্ষুদ্র একটি দেশ। কিন্তু জনসংখ্যার দিক দিয়ে বাংলাদেশ পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম একটি দেশ। আজ জনবহুল ও দরিদ্র বাংলাদেশের উন্নয়নের বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বন্যা। বন্যার কারণে প্রায় প্রতি বছর উন্নয়ন কর্মকান্ডের একটা বিরাট অংশ নষ্ট হয়ে যায়। বন্যাকালীন দুর্দশার চিত্র অবর্ণনীয়। সামগ্রিক জীবনযাত্রা মারাত্মক রূপে ব্যাহত হয়। সারা দেশে ধ্বংসের চিহ্ন দেখা যায়। আপনজনদের হারানোর হাহাকার গভীর দাগ কাটে। প্রকৃতির এই খেয়ালীপনার কাছে মানুষ আজ অসহায়। বন্যার সর্বনাশী টানে ঘর-বাড়ি ভেসে যায়। কৃষকের স্বপ্ন ভেঙ্গে খান খান হয়ে যায়। শস্যের ক্ষতি হয় ব্যাপক। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়। বিমানবন্দর, স্থলপথ, রেলপথ বন্যার পানিতে ভেসে যায়। যে মহাসড়কে গাড়ী চলে সেখানে চালাতে হয় নৌকা। ব্যবসা-বাণিজ্য বিঘ্নিত হয়। গবাদি পশুর মৃত্যু হয়। উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। আর তখন মানুষের একমাত্র আশ্রয় হয় ঘরের চালে বা গাছের ডালে। বন্যা পরবর্তী দৃশ্যও করুণ। নানা প্রকার ব্যাধিতে মানুষ আক্রান্ত হয়। পেটের পীড়া, আমাশা, সর্দি, জ্বর, কাশি ইত্যাদি হয়। বন্যার সময় তুলনামূলকভাবে পানির উচ্চ প্রবাহ, যা কোন নদীর প্রাকৃতিক বা কৃত্রিম তীর অতিক্রম করে ধাবিত হয়। নদীর তীর ছাড়িয়ে পানি আশপাশের সমভূমি প্লাবিত করলে সাধারণত জনগণের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায় বন্যা। প্লাবনভূমি যেহেতু মানুষের কাঙ্খিত ও কৃষিকাজের সহায়ক, তাই বন্যাকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা ও এর ক্ষয়-ক্ষতির সীমা যাতে ছাড়িয়ে না যায় তা লক্ষ্য করা আমাদের জরুরী। বাংলাদেশে সংঘটিত বন্যাকে তিনটি শ্রেণিতে বিভক্ত করা যায়। যেমন-
(১) মৌসুমি বন্যা: এই বন্যা ঋতুগত, নদনদীর পানি ধীরে ধীরে উঠানামা করে এবং বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত করে জানমালের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে।
(২) আকস্মিক বন্যা: আকস্মিক পাহাড়ী ঢল অথবা স্বল্প সময়ে সংঘটিত প্রবল বৃষ্টিপাত থেকে কিংবা প্রাকৃতিক অথবা মানবসৃষ্ট বাঁধ ভেঙে সংঘটিত হয় আকস্মিক বন্যা। এতে করে জানমালের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয় এবং মানুষ ও পশুপাখি চরম দুর্ভোগে পড়ে।
(৩) জোয়ার সৃষ্ট বন্যা: সংক্ষিপ্ত স্থিতিকাল বিশিষ্ট এই বন্যার উচ্চতা সাধারণত ২ থেকে ৬ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে এবং ভূভাগের নিষ্কাশন প্রণালীকে আবদ্ধ করে ফেলে। এই বন্যা জানমালের তেমন ক্ষতি হয় না।
এছাড়াও আমরা বন্যাকে আরো চারটি ভাগে ভাগ করতে পারি।
(১) সাধারণ বন্যা: যা প্রতিবছরই আমাদের দেশে সংঘটিত হয়।
(২) তীব্র বন্যা: কয়েক বছর পর পর সংঘটিত হয়।
(৩) মারাত্মক বন্যা: গড়ে প্রতি ৫ বছর অন্তর হয়।
(৪) প্রলয়ংকরী বন্যা: গড়ে প্রতি ১০ বছর অন্তর হয়ে থাকে।
এক হিসাবানুযায়ী দেখা গেছে প্রতি ১০ বছর অন্তর অন্তর প্রলয়ংকরী বন্যা দেখা দেয়। গত ১৯৮৮, ১৯৯৮, ২০০৪ সালে এদেশে প্রলয়ংকরী বন্যা হয়ে গেছে। স্মরনকালের ভয়াবহ বন্যা ছিল ২০০৪ সালের বন্যা। ঐতিহাসিক তথ্যানুযায় পেছনের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই এদেশে গত ১০৪ বছরে ১৯১০, ৩১, ৫৪, ৫৬, ৬২, ৬৬, ৬৮, ৬৯, ৭০, ৭৪, ৮০, ৮৪, ৮৭, ৮৮, ৯৮, ২০০০, ২০০৪, ২০০৭ ও বর্তমান ২০১৪ সহ ১৯ বার বন্যা হয়েছে। গড়ে প্রায় ছয় বছর অন্তর অন্তর একবার বন্যা হয়েছে। তাছাড়া ছোট খাট বন্যা প্রতি বছরই হচ্ছে। এভাবে যদি বন্যা হয় তাহলে আমাদের দেশ কিভাবে উন্নত হবে?
এ বছর হঠাৎ করেই যেন বন্যার আলামত দেখা দিয়েছে। দেশের বেশ কয়েকটি জেলা বন্যাকবলিত হয়েছে। তবে বন্যার প্রকোপ সবচাইতে বেশি দেখা দিয়েছে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে। জেলাগুলো হচ্ছে- সুনামগঞ্জ, বগুড়া, কুড়িগ্রাম, সিরাজগঞ্জ, গাইবান্দা, মুন্সিগঞ্জ প্রভৃতি। প্রাকৃতিক নিয়মানুযায়ী যদি এভাবে বাংলাদেশে বন্যা হতে থাকে তাহলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের অবস্থা কি হবে? তাকে কি নিয়ন্ত্রণ করার কোন উপায় নেই?

বন্যার কারণ: বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশে বন্যা সংঘটিত হয়। বন্যা সংঘটনের জন্য দায়ী কারণগুলি হচ্ছে-
(১) অতিবর্ষণ বন্যার অন্যতম একটি কারণ। পৃথিবীর সর্বাধিক বৃষ্টি বহুল এলাকা চেরাপুঞ্জি মেঘনা নদীর অববাহিকায় অবস্থিত। তাই এ অঞ্চলে অধিক বৃষ্টি হয়। ফলে বন্যা দেখা দেয়। 
(২) সাধারণভাবে নিম্ন উচ্চতাবিশিষ্ট ভূসংস্থানের কারণে বন্যা দেখা দেয়। যার উপর দিয়ে এদেশের প্রধান প্রধান নদী প্রবাহিত হয়ে গেছে। নদীগুলি তাদের শাখা-প্রশাখা এবং উপনদীর সমন্বয়ে ঘন বিন্যাস নিষ্কাশন জালিকা গড়ে তুলেছে। ফলে ঘন ঘন বন্যা হচ্ছে।
(৩) ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বন্যা দেখা দেয়। এদেশে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা এ প্রধান তিনটি নদীর মিলনস্থলে অবস্থিত পৃথিবীর বৃহত্তম বদ্বীপ বাংলাদেশ। যা সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে মাত্র ৬-৭ মিটার উঁচু। ফলে বর্ষাকালে যখন তিনটি নদীর বিশাল অববাহিকায় পানি এক সঙ্গে এসে পড়ে তখন বাংলাদেশে পানির প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। ফলে তা থেকে বন্যার সৃষ্টি হয়।
(৪) দেশের বাইরে নদনদীর উজান এলাকায় এবং দেশের অভ্যন্তরে ভারি বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে এদেশে বেশী বন্যা দেখা দেয়।
(৫) দেশের প্রায় নিম্নাঞ্চল ভরাটের ফলে নদীগুলোর পানি ধারণ ক্ষমতা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। ফলে বর্ষা মৌসুমে পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পেলে তা থেকে প্রতি বছরই বন্যা দেখা দেয়।
(৬) হিমালয় পর্বতে তুষার গলন এবং প্রাকৃতিকভাবে হিমবাহের স্থানান্তর সংঘটন বন্যার আরেকটি কারণ। পৃথিবীর সর্ববৃহৎ পর্বতমালা হিমালয় আমাদের দেশে অবস্থিত। গ্রীষ্মকালে তাপে বরফ গলে কোটি কোটি কিউসেট পানি গঙ্গা, যমুনা, মেঘনা দিয়ে প্রবাহিত হয়। ফলে বাংলাদেশে বন্যা দেখা দেয়।
(৭) প্রধান প্রধান নদীসমূহে একসঙ্গে পানি বৃদ্ধি এবং এক নদীর ওপর অন্য নদীর প্রভাব বিস্তারের কারণে বন্যা দেখা দেয়।
(৮) গাছপালা কেটে অরণ্য নিধন করা হচ্ছে। গাছপালার শিকড়ে বাধা পেয়ে অনেক বৃষ্টির পানি ভূ-গর্ভে চলে যায়। কিন্তু গাছপালাও বনাঞ্চল উজাড় করার ফলে বর্ষাকালে বৃষ্টিপাতের পানি সরাসরি নদীতে চলে যায়। ফলে বন্যার সৃষ্টি হয়।
(৯) পলি সঞ্চালনের ফলে নদ-নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়া, নদীর পার্শ্বদেশ দখল হয়ে যাওয়া, ভূমিধ্বস হয়ে যাওয়ার কারণে বন্যা হয়।
(১০) ভারত প্রতিবছর শুকনো মৌসুমে ফারাক্কার পানি আটকে রাখে এবং বর্ষা মৌসুমে সকল গেট খুলে দিয়ে বাংলাদেশকে ডুবিয়ে দেয়ার সন্ত্রাসী প্রয়াস চালায়। যার ফলে বাংলাদেশের বন্যার আকার ভয়াবহ ধারণ করে।
(১১) প্রকৃতির ওপর মানবীয় হস্তক্ষেপ বন্যার সংঘটনের অন্যতম একটি কারণ।
(১২) আমাদের দেশের নদীগুলোর গভীরতা দিন দিন কমে যাচ্ছে। তাই নদী কেটে এর গভীরতা বৃদ্ধি করতে হবে।
(১৩) জোয়ার ভাটা এবং বায়ু প্রবাহের বিপরীতমুখী ক্রিয়ার ফলে নদনদীর সমুদ্রমুখী প্রবাহ ধীরগতি প্রাপ্ত হয়ে বন্যা দেখা দেয়।
(১৪) সমুদ্রপৃষ্ঠের পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়া বন্যার আরেকটি কারণ।
(১৫) সম্ভাব্য গ্রীন হাউজ প্রতিক্রিয়া ফলেও বন্যা হচ্ছে।
(১৬) ভূ-গাঠনিক বিশৃঙ্খলা (ভূমিকম্প, নদীর প্রবাহ ও ভূরূপতত্ত্বে পরিবর্তন) আমাদের দেশের বন্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বন্যার প্রতিকার: বন্যার প্রতিকার কিভাবে করা যাবে তা নিয়ে হয়তো আমরা অনেকে চিন্তা করি না। আমরা বন্যা সমস্যার প্রতিকার গুলো জেনে নিই।
(১) বন্যা সর্ম্পকে তাৎক্ষণিক ভাবে প্রাক-সতর্কীকরণ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
(২) ত্রাণ সামগ্রী মজবুত রাখতে হবে।
(৩) প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে বহুতল আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করতে হবে।
(৪) উজান এলাকায় জলাধার নির্মাণ করে বর্ষাকালে নদীর উদ্বৃত্ত পানি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
(৫) নদীর উপচানো পানি প্রতিরোধে সারাদেশে বাঁধ নির্মাণ করতে হবে।
(৬) বর্তমানে যেসব বেড়িবাধ আছে সেগুলো উচু করতে হবে।
(৭) পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বিস্তুৃত করে দিতে হবে।
(৮) রাস্তাঘাটের মাঝে মাঝে পর্যাপ্ত পরিমাণ কালভার্টসহ পানি সরবরাহ পথের সৃষ্টি করতে হবে।
(৯) ভরাট নদী-নালা সংস্কারের মাধ্যমে পানি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে।
(১০) বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে।
(১১) আর্ন্তজাতিক সহযোগিতা গ্রহণের মাধ্যমে বৃহৎ নদ-নদীর পানি নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে হবে।
(১২) নদীর পাড়সহ সারাদেশে প্রচুর গাছ লাগাতে হবে।
(১৩) পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে।
(১৪) বন্যাদুর্গতদের জন্য আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করতে হবে যাতে তারা দুর্যোগের সময় এখানে আশ্রয় নিতে পারে।
(১৫) খাল-বিল, নদী-নালা, পুকুর-দিঘী ও হাওর-বাঁওড় খনন/পুনঃখনন বা সংষ্কার করে জলাশয়ের গভীরতা বৃদ্ধি করতে হবে।

বন্যা সমস্যার প্রতিকারের উপরই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। বন্যার স্থায়ী সমাধানের ওপর নির্ভর করছে এ দেশের মানুষের স্বস্থি ও শান্তি। পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতের অসহনশীল মনোভাবকে রাজনৈতিবভাবে মোকাবেলা করে মরণ ফাঁদ ফারাক্কাকে রুখতে হবে। সে জন্য চাই জাতীয় উদ্যোগ ও সুষ্ঠু পরিকল্পনা সরকারের পাশাপাশি জনগণেরও।

রচনাকালঃ ২৭ আগস্ট ২০১৪ খ্রি:

কোন মন্তব্য নেই: