যারা ভ্রমণ কাহিনী লেখেন তাদের ভ্রমণে যাওয়ার প্রস্তুতিই থাকে ভিন্ন রকম।
সাথে রাখেন ডায়েরি অথবা নোটবুক ও কলম। যা দেখেন তা ঐ ডায়েরিতে সাংকেতিক ভাষায় লিখে
রাখেন। আর যারা প্রখর স্মৃতিশক্তির অধিকারী তারা অনায়াসেই হৃদয়ের হার্ডডিস্কে জমা
করে রাখতে পারেন। আমি অবশ্য ভ্রমণ কাহিনী লিখতে পারি না, তবুও লেখার চেষ্টা করছি।
চট্টগ্রাম শহর হতে ১০৭ কিলোমিটার দক্ষিণে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের
পূর্বপার্শ্বে চকোরিয়া উপজেলা হতে মাত্র ৫ কিলোমিটার দক্ষিণে ‘ডুলাহাজারা সাফারী
পার্ক।’ এখান থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার। কক্সবাজার জেলার ডুলাহাজারা
এলাকায় এক সময় গগণচুম্বি গর্জন, বৈলাম, তৈলসুর, ঝিভিট, চাপালিশ ইত্যাদি সমৃদ্ধ
চিরসবুজ বনাঞ্চল দেখা যেত। আরো দেখা যেত হাতী, বাঘ, হরিণসহ অসংখ্য প্রজাতির পাখি। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপে এবং অবৈধ শিকারের
ফলে এ বনাঞ্চালের অসংখ্য বন্যপ্রাণী ও উদ্ভিদ প্রজাতির উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়ার
সৃষ্টি হয়। ফলে অনেক বন্যপ্রাণী প্রকৃতি হতে হারিয়ে যেতে থাকে। বন্যপ্রাণী
প্রাকৃতিক পরিবেশ, খাদ্যচক্র ও জীব বৈচিত্র্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আর তাই
মানুষের অস্তিত্বের জন্য বন্যপ্রাণীর ভূমিকা অপরিসীম। উঁচু-নিচু টিলা সমৃদ্ধ
চিরসবুজ বনাঞ্চলের জীব বৈচিত্র্য ও বন্যপ্রাণীর আবাস্থল উন্নয়নের লক্ষে শিক্ষা,
গবেষণা, ইকো-ট্যুরিজম ও চিত্ত বিনোদনের জন্য ২০০০-২০০১ সালে প্রথম পর্যায়ে ডুলাহাজারা
সাফারী পার্ক প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষে ২০০৩-২০০৪ সাল হতে
২০০৫-২০০৬ সাল পর্যন্ত তিন বছর মেয়াদী দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়।
[ডুলাহাজারা সাফারী পার্কের প্রবেশ পথ।]
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত পরিদর্শন শেষে ১৯ নভেম্বর সকাল ১০:৩০ মিনিটে রওয়ানা
হলাম সেই নয়নকাড়া ‘ডুলাহাজারা সাফারী পার্ক’ দেখতে। ১১:১৫ মিনিটে আমরা সাফারী
পার্কে চলে আসলাম। মহাসড়ক হতে প্রবেশ পথে যাত্রী ছাউনী ও অভ্যর্থনা গেইটে আসতেই
দু’পাশে দুটি হাতির মূর্তি দেখতে পেলাম। এ হাতি দেখে নূরুল হুদা স্যারের ছেলে হাতি
হাতি বলে চিৎকার করতে লাগল। তার দেখাদেখি আকরাম ভাই হ্যান্ড মাইক
দিয়ে হাতি হাতি বলে শ্লোগান দিতে লাগল। সাফারী পার্কের মূল ফটকের নিকট এসে মান্নান
স্যার ও নূরুল হুদা স্যার আমাদেরকে গুণে গুণে ভেতরে প্রবেশ করালেন। তারপর টিকেট
কাটলেন। এখানে প্রাপ্ত বয়স্কদের ১০ টাকা টিকেট। পনের বয়সের নিচে হলে ৫ টাকা টিকেট।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা সফরে আগত শিক্ষার্থী গ্রুপ ৩০-১০০ জনের মধ্যে হলে
১০০ টাকা দিতে হয়। বিদেশী পর্যটক আসলে ৫ ইউ,এস ডলার বা সমপরিমাণ বাংলাদেশী টাকা
দিতে হয়। মিনিবাসে চড়ে বাঘ, সিংহ, হরিণ ও হাতির বেষ্টনীতে পরিভ্রমণ জনপ্রতি ২০
টাকা। প্রকৃতি বীক্ষণ কেন্দ্র পরিদর্শন ১০ টাকা। ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম পরিদর্শন
৫ টাকা। ব্যক্তিগত কার/ জীপ/ মাইক্রোবাস নিয়ে পার্ক পরিদর্শন (বাঘ ও সিংহ বেষ্টনী
ব্যতিত) করলে ৫০ টাকা দিতে হয়। গাড়ি পার্কিং ফি বাস হলে ২৫ টাকা আর মাইক্রোবাস হলে
১৫ টাকা দিতে হয়।
সাফারী পার্ক ও চিড়িয়াখানার মধ্যে প্রার্থক্য হচ্ছে, চিড়িয়াখানায় জীবজন্তুসমূহ
আবদ্ধ অবস্থায় থাকে এবং দর্শনার্থীগণ মুক্ত অবস্থায় জীবজন্তু পরিদর্শন করেন।
কিন্তু সাফারী পার্কে বন্যপ্রাণী সমূহ উম্মুক্ত অবস্থায় বনজঙ্গলে বিচরণ করে এবং
মানুষ সর্তকতার সহিত চলমান যানবাহনে আবদ্ধ অবস্থায় জীবজন্তুসমূহ পরিদর্শন করে
থাকেন।
ডুলাহাজারা সাফারী পার্কটি সরকার ঘোষিত এলাকা যার চারদিকে স্থায়ীভাবে বেড়া
দেয়া হয়েছে। এখানে দেশী বিদেশী সকল বন্যপ্রাণী অবাধে বিচরণ করছে। এর আয়তন ৯০০
হেক্টর। সাফারী পার্কে প্রবেশ করতেই বাম পাশে দেখতে পেলাম ১টি ডরমেটরী, প্রকৃতি
বীক্ষণ কেন্দ্র, তথ্য ও শিক্ষা কেন্দ্র, ন্যাচারেল হিস্ট্রি মিউজিয়াম এবং মডেল
ডাইনোইসর ইত্যাদি। ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামে প্রায় ২০০০ প্রাণীর দেহবশেষ
স্পেসিমেন ও স্টাফিং সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে। এছাড়া প্রাকৃতিক বনাঞ্চলে রয়েছে
অসংখ্য গাছপালা, প্রায় ৩০০ প্রজাতির গাছ-পালার হারবেরিয়াম সিট তৈরী করে মিউজিয়ামে
সংরক্ষণ করা হয়েছে। প্রকৃতি বীক্ষণ কেন্দ্রে বাংলাদেশের প্রায় সব ধরনের বনাঞ্চলের
গাছপালা ও বন্যপ্রাণীর মডেল, মুড়েল ও স্টাফিং তৈরী করে আলো ও শব্দ প্রবাহের
মাধ্যমে বন্যপ্রাণী ও বনাঞ্চল সম্পর্কে দর্শকদেরকে সম্যক ধারণা প্রদান করা হয়। এ
প্রকৃতিবীক্ষণ কেন্দ্রে প্রায় ১০০ ধরনের বন্যপ্রাণী ও অসংখ্য গাছ-পালার মডেল তৈরী
করা হয়েছে। প্রায় ২৫ মিনিটের দীর্ঘ একটি স্বব্যাখ্যায়িত অডিও ও ভিস্যুয়াল
প্রোগ্রামের মাধ্যমে দর্শকগণ আনন্দ লাভ করতে পারেন।
আমরা সবাই দলভেদে হাঁটতে থাকি। উঁচু-নিচু টিলা সমৃদ্ধ চিরসবুজ বনাঞ্চলের
জীবজন্তু দেখতে দেখতে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আকরাম ভাই হ্যান্ড মাইক দিয়ে
কোথায় কি প্রাণী আছে তার বর্ণনা দিয়ে যাচ্ছেন। হরিণ প্রজনন কেন্দ্র পার হয়ে আমরা
পাখি শালায় চলে আসলাম। এখানে অনেক জাতের পাখি দেখলাম। আমি, মোশারফ স্যার, জুবায়ের,
নিশিথ ও হাফিজ আমরা আগে আগে হাঁটতে গিয়ে হাতের বাম পাশে একটি কাঠের সাকু দেখতে
পাই। সেটি দেখার জন্য চলে গেলাম। আর এদিকে আমাদের দল ডানদিকের রাস্তা দিয়ে বাঘ ও
সিংহ শালার দিকে চলে যায়। আমরা কাঠের সাকুতে স্যারকে নিয়ে ছবি তুললাম। এ সেতু পার
হয়ে আমরা ভল্লুক বেষ্টনির দিকে চলে যাই। তখন আকরাম ভাই মোশারফ স্যারকে ফোন করলেন
আমরা বাঘ শালার দিকে যাওয়ার জন্য।
[কাঠের সাকুতে লেখক ও তার বন্ধুরা।]
আমরা তখন কাঠের সাকু পার হয়ে ডানপাশের রাস্তা দিয়ে বাঘ ও সিংহশালার দিকে
যাই। স্বচক্ষে বাঘ ও সিংহকে দেখতে পেলাম। বাঘ মামা ঘুমাচ্ছে। অনেকে চেচামেচি করল
কিন্তু বাঘ সাহেব কিছুতেই উঠে দাঁড়ালেন না। আমরা এখানে বাঘকে সামনে নিয়ে ছবি
তুললাম। এখানের রাস্তার পাশের মোড়ে ছিল খোলা আকাশের নিচে একটি রেস্টুরেন্ট।
চারপাশে মুলির বেড়া মাঝে বড় বড় কয়েকটি ছাতা দেয়া। ছাতার নিচে টেবিল ও চেয়ার বসানো।
আমরা এখানে বসে রেস্ট নিলাম। তখন বাজে দুপুর ১২টা। আকরাম ভাইয়ের সৌজন্যে সবাইকে চা
খাওয়ানো হয়। কিছুক্ষণ রেস্ট নেয়ার পর আবার এখান থেকে ফেরত রওয়ানা হলাম। ফারুক ভাই
ও শ্যামল ভাইয়ের হাতে ছিল ডিজিটাল ক্যামেরা। তারা ধীরে ধীরে সব কিছুই ভিডিও করে নিলেন।
আমরা দলবদ্ধভাবে হাঁটছি। যেপথ দিয়ে এখানে আসছি সে পথ দিয়েই আবার মূল গেইটে চলে
আসলাম। সেখানে ডাইনোসরকে সামনে নিয়ে নূরুল হুদা স্যারসহ আরো অনেকের সাথে ছবি
তুললাম। বেলা ১:০০টায় আমরা বাসে উঠি। ৯০০ হেক্টর এলাকা মাত্র ১ঘন্টা ৪৫ মিনিটে
দেখা সম্ভব না। আমার মনে হয় ১০ ভাগের এক ভাগও দেখতে পারিনি।
এখানে আছে অসংখ্য প্রাণী ও গাছপালা। স্বল্প সময়ে সবগুলো দেখা সম্ভব হয়নি।
গুটি কয়েক গাছপালা ও প্রাণী দেখতে পেরেছি। সাফারী পার্কে যেসব বণ্যপ্রাণী আছে তার
মধ্যে বাঘ, সিংহ, হাতী, চিতা বাঘ, ইস্পালা, মায়া হরিণ, বাঁদুর, সজারু, পারা হরিণ,
হনুমান, বাঁশ ভল্লুক, খরগোশ, টুডি বিড়াল, বন্যশুকর, ছোট নখের উদবিড়াল, ভারতীয় বন
রুই, বন গরু, বাঘদাসা, বনবিড়াল, মার্বেল বিড়াল, মসৃন উদবিড়াল, চিতা বিড়াল,
উদবিড়াল, লাল সাদ, উড়ন্ত কাঠ বিড়ালী, মেছো বাঘ, কাঠ বিড়ালী, খেকশিয়াল, শিয়াল,
বার্মিস খরগোশ, সাম্বার ভল্লুক, কালো ভল্লুক, আসামী বাদর, রেসাস বানর, লজ্জাবতী
বানর, কুদু, স্পীং বক, পিটিষ্টোলা, বাদুর, লাম চিতা, উড়ন্ত কাঠবিড়ালী, বড় বেজী,
সাদা লেজু ছুচো, নেংটি ইঁদুর, গেঁছো ইঁদুর, কালো ইঁদুর ইত্যাদি।
সরিসৃপ প্রাণীদের মধ্যে আছে ঘড়িয়াল, নুনা পানির কুমিড়, মিঠা পানির কুমিড়, সবুজ দারাজ, অজগর, দারাজ,
উড়ন্ত টিকটিকি, টিকটিকি, তকখক, ঢোঁড়া সাপ, ধূসর গুই, মেটে সাপ, গোখরা, তিলালেজী
কুকরী সাপ, কাল কেউটে, মংখিনী, শীলা কচ্ছপ, সুন্দী কাছিম, তারকা কচ্ছপ, বোস্তামী
কাছিম, ছিম কাছিম, পানি সাপ, কালো গুই, মাঝারী কাইট্টা, আনজন, কড়ি কাইট্টা, রাজ
চোষা, কালি কাইট্টা ইত্যাদি।
উভয়চর প্রাণীদের মধ্যে আছে সোনা ব্যাঙ, গেছো ব্যাঙ, কুনো ব্যাঙ, চীনা ব্যাঙ,
বেলুন ব্যাঙ, লালা চীনা ব্যাঙ ইত্যাদি।
পাখিদের মধ্যে আছে মুনিয়া, লালমোহন তোতা, গ্রেট, শ্লেষ্টি কাঠ ঠুকরা, বার্ড,
নিপ ফিজেন্ট, হিরামন, তোতা, তোতা রঙ্গিলা বটের, কালিজ, ফিজেন্ট, জল, মুরগি,
চন্দনা, ময়ুর, রাজ ধনেশ, কোকিল, চিনা বটের, খয়েরি ঈগল, কাঠ ঠোকরা, কাকাতুয়া, ধনেশ,
কালেম, লালচে কাঠ ঠোকরা, বড় ভীমরাজ, তিলা মুনিয়া, ডাহুক, চড়ুই কেশরাজ, বাবুই, বন
মোরগ, কালো ফিঙে, বেগুনী মৌটুসী, হলদে পাখি, সাদা ঈগল, হলদে খঞ্জন, গেছো পিপিট,
কমলা মাথা মেঠো থ্রাস, দোয়েল, ফুটফুটি, ছোট সরালী, ভুবন চিল, শংখ চিল, টুনটুনি,
বৃহৎ ওয়ার্বলার, জাঙ্গল বাবলার, কালো বুলবুলি, পিঙ্গর, মথা
সুইচোরা, ভার্টার, সিপাহী বুলবুলি, রেড ভেনটেট বুলবুলি, সবুজ বুলবুলি, নিশি বক,
টিয়া, সবুজ বক, গো-বক, দুসর বক, কানা বক, ফটিক জল, সাদা বুক মাছরাঙ্গা, সবুজ ঘুঘু,
কালো মাথা ময়না, তিলা ঘুঘু, দাড় কাক, কাঠমৌর, গুশালিক, ক্ষুদে মাছরাঙ্গা, কালো
মাথা মাছরাঙ্গা, পানকৌড়ি, মাথুরা, ভূতুম পেঁচা, বাদামী কাঠ পেঁচা, লক্ষী পেঁচা,
ডুবুরী সাদা ঘুঘু, ভুবন চিল, চখাচখী, এমারেলড ঘুঘু, কানাকোকা তার্কিস ফিজেন্ট,
ভারতীয় গ্রিফন শকুন, লেজার ফামিংগু, সারস পাখি, সাদা পিলিকন, হাড়গিলা, রঙ্গিলা বক,
পান্তামুখী, নীল শির ইত্যাদি।
বটবৃক্ষের মধ্যে আছে কালি গর্জন, ধলি গর্জন, শীল করই, চাপালিশ, বট চম্পাফুল,
পিটালী, গুট গুটিয়া, চাকুয়া, শিমুল, বহেরা, বান্দরহোলা ইত্যাদি।
মাঝারী ও ছোট বৃক্ষের মধ্যে আছে পিতরাজ, ঢাকিজাম, ডুমুর, বর্তা, ধারামারা,
ক্ষুদিজাম, কালো করই, সোনালু, তেতুইয়া করই, মেহগনি, আশোক, গাব, শেওড়া, হারগাজা,
তুন, কাটালাল বাটনা, আমলকী, চালতা, চিকরাশি, শিলভাদী, হরিতকি, জারুল, জৈগ্য ডুমুর,
কালোজাম, গামার ইত্যাদি। গুল্ম জাতীয় গাছের মধ্যে আছে আসামলতা, জংলী আদা, লতা
বাবুল, গিলা গাছ, জংলী কলা, দাত মাজন, মনকাটা, বন ওকারা, কাঞ্চন, বড় লজ্জাবতী
ভাঁট, নলখাগড়া ইত্যাদি।
আরো আছে ঝুম আলু, ঈশ্বরমূল, বড় কুমারীলতা, পাতাপিপুল, রাশনা, পরগাছা, মুলি,
কালিশেরি, ওড়া, জালি বেত, ভুদুমবেত, কেরাত বেত, গোলক বেত, ধুনঘাস, কুলঝাড়, কাশ,
জীবন্তী, কেটলেইয়া, রাসনা ইত্যাদি।
[মডেল ডাইনোসর]
তাছাড়া সাফারী পার্কের প্রধান ফটকের বামপাশেই রয়েছে ডিসপ্লে ম্যাপ। যার
মাধ্যমে একজন পর্যটন অতি অল্প সময়ে এক পলকে সাফারী পার্কের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান
সর্ম্পকে ধারণা পেতে পারে। আরো আছে কৃত্রিম হ্রদ, পর্যবেক্ষণ টাওয়ার হাতিতে চড়ার
সু-ব্যবস্থা। ২০ টাকার বিনিময়ে যে কোন পর্যটক হাতিতে চড়ে আনন্দ উপভোগ করতে পারে।
প্রতিদিন বিকেল তিনটা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হাতিতে চড়ে গভীর বনে পরিভ্রমণ করা
যায়। আমরা দুপুর বেলা যাওয়ার কারণে কেউ হাতিতে চড়তে পারিনি।
সাফারী পার্কের পর্যটকদের জন্য অনুসরণীয় কতিপয় বিষয় হলো-পলিথিন ও অপচনশীল
পদার্থ যত্রতত্র না ফেলে ডাস্টবীনে রাখতে হবে। সিগারেটের প্যাকেট, পরিত্যক্ত কাগজ,
নষ্ট ব্যাটারী, লাইটার ও বিস্কুট, চানাচুর প্রভৃতির প্লাস্টিকের মোড়ক যেখানে
সেখানে না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে। প্রাণীর খাঁচার নিরাপত্তা বেষ্টনীর
ভেতর প্রবেশ করা যাবে না। প্রাণীদের ঢিল ছোড়া যাবে না। প্রাণীকে কোন খাবার দেয়া
যাবে না। মাইক বাজানো যাবে না। কোমল ও বিশুদ্ধ পানীয় বোতল জঙ্গলে ফেলা যাবে না।
বাঘ ও সিংহের বেস্টনীতে চলন্ত গাড়ী হতে নামা যাবে না। কিন্তু কে শুনে এসব কথা।
সবাই যেখানে সেখানে কাগজ ও ময়লা ফেলছে। সাফারী পার্ক পরিদর্শন প্রতিদিন সূর্যোদয়
থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন