- এই যে ভাই ভাড়া দেন।
কন্ট্রাক্টর ভাড়া চাইতেই প্যান্টের পকেটে হাত দিয়ে শক খেলাম। আমার মানিব্যাগ গায়েব হয়ে গেছে। পকেটে খুচরা টাকাসহ সব মিলিয়ে ৫০০/৬০০ টাকা ছিল। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ভোটার আইডিকার্ডসহ সবই পকেটমার নিয়ে গেছে, আমি টেরও পেলাম না।
- কী হলো ভাই ভাড়া দেন।
- কী হলো ভাই ভাড়া দেন।
আমি নম্র স্বরে বললাম, ভাই আমার মানিব্যাগ পকেটমার নিয়ে গেছে। তাই ভাড়ার টাকা দিতে পারছি না।
- মশকরা করেন ভাই। জলদি টাকা দেন। নইলে এখানেই নেমে যেতে হবে।
- বিশ্বাস না হলে নামিয়ে দিন।
কন্ট্রাক্টর আমার কথা বিশ্বাস করলেন না। তিনি মনে করলেন আমি সত্যিই মিথ্যা কথা বলছি। তাই ড্রাইভারকে গাড়ি থামাতে বলে আমাকে নামিয়ে দিলেন।
আজ মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ বনাম ভারত সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের খেলা হবে। সেই খেলা দেখার জন্য মিরপুর যাচ্ছিলাম বাসে করে। এমন সময় পকেটমারের খপ্পরে পড়ে সব কিছু হারালাম। এখন কীভাবে বাকি পথ পাড়ি দিয়ে স্টেডিয়ামে যাব সেই চিন্তায় অস্থির।
গাড়ি থেকে নেমে বেশ কয়েকজনের কাছে আমার পকেটমারের ঘটনা খুলে বলে কিছু টাকা ধার চাইলাম। পড়ে বিকাশ অথবা মোবাইলে পাঠিয়ে দিব। কেউ বিশ্বাস করল আবার কেউ বিশ্বাস করল না। এক ভদ্রলোক আমার কথায় বিশ্বাস করে আমাকে ১০০ টাকা দিয়ে বলেন, আপনার ইচ্ছে হলে সেটা ফেরত দিবেন। ইচ্ছে না হলে নাও দিতে পারেন আমার কোন আপত্তি নেই। ঐ ভদ্রলোকের মোবাইল নম্বর আমার মোবাইলে সেভ করে নিলাম। পরে আমি স্টেডিয়ামে আসলাম।
তিনটায় খেলা শুরু হবে। কিছুক্ষণ আগেই আমি স্টেডিয়ামে আসলাম। খুবই উত্তেজনাপূর্ণ এই ম্যাচ। কারণ প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ৭৯ রানে জয়ী হয়েছে। এই ম্যাচ জিততে পারলেই প্রথমবারের মতো ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জিতবে বাংলাদেশ। প্রচুর দর্শক। পিঁপড়া হাঁটার জায়গাটুকু নেই। কানায় কানায় পূর্ণ পুরো গ্যালারি। চার, ছক্কা ও ভারতের কোন উইকেট পড়লেই শুরু হয়ে যায় তুমুল হাত তালি ও চিৎকার চেচামেচি, লাফালাফি।
অবশেষে ৬ উইকেটে ভারতকে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। সেই আনন্দে ভাসছে বাংলাদেশ। এই উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ শেষে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়াম থেকে দর্শক ঠেলাঠেলি করে বের হচ্ছে। বাংলাদেশ জিতেছে, বাংলাদেশ জিতেছে শ্লোগানে মুখরিত পুরো স্টেডিয়াম এলাকা।
আমিও খেলা দেখে স্টেডিয়াম থেকে বের হচ্ছি। এত ভিড় ও লোকজনের গাদাগাদিতে আমি নিজেকে সামলাতে পারছি না। এই সুযোগে এক চোর আমার পাশের লোকের পকেটে হাত দিল মোবাইলটি নেয়ার জন্য। এত উত্তেজনার মুহূর্তেও চোরের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি চোরকে হাতে নাতে ধরে ফেললেন এবং চোর চোর বলে চিৎকার দিয়ে উঠলেন। এত ভিড়ের মধ্যে চোর পালানোর সুযোগ পেল না। আশে পাশের দুয়েকজন চোরকে ধরে কিল-ঘুষি ও থাপ্পর মারতে লাগল। চোরকে টেনে হেঁচড়ে ভিড় ঠেলে বাহিরে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং যে যেভাবে পারে তাকে মারতে লাগল। কেউ চোরকে বাঁচাতে এগিয়ে আসছে না।
চোরকে মারতে দেখে চোরের প্রতি আমার মায়া লেগে গেল। বয়স ২০/২১ হবে। এই বয়সে সে চুরি করছে। তাকে দেখেতো চুরের মতো মনে হয় না। নেহায়েত একটা নিরীহ মানুষ মনে হচ্ছে। কেন চুরি করছে তা জানা দরকার। তাই আর চুপ থাকতে পারলাম না। সবাইকে বললাম, এই যে ভাইয়েরা থামুন। আইন নিজের হাতে তুলে নিবেন না। বেশি মারলে সে হয়তো মরে যাবে। উল্টো আপনারা ফেঁসে যাবেন।
আমার কথায় কেউ কেউ চুপ হলেও অনেকে বলাবলি শুরু করে দিয়েছে আমিও মনে হয় চোরের সাথে আছি। তা না হলে চোরের জন্য এত দরদ কেন?
একজন বলেই ফেললেন, এই যে ভাই আপনি ওর হয়ে ওকালতি করছেন কেন? কী হয় আপনার?
- ভাই সে আমার কেউ হয় না। আপনি যেমন মানুষ, সেও একজন মানুষ। মানুষ মানুষকে এভাবে মারতে পারে না।
- ও মানুষ নয়, চোর।
- চোররাওতো মানুষ। সে কারো ভাই। কারো সন্তান।
- আপনি তাকে কী করতে চান?
- আমি তার সাথে কথা বলতে চাই।
- বলেন।
অন্য একজন বলল, তাকে পুলিশে দিয়ে দিন।
আমি তৎক্ষণাত বললাম, না ভাই তাকে পুলিশেও দেয়া যাবে না। মারাও যাবে না। তাকে পুলিশে দিলে পুলিশ টাকা খেয়ে ছেড়ে দিবে। কারণ এই চোরদের সাথে পুলিশের হাত থাকে। তাকে আমি জিজ্ঞাসাবাদ করব। কেন সে চুরি করে? তারপর আমরা তার অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নিব। পরে আমি চোরের হাত থেকে মোবাইলটি কেড়ে নিয়ে যার মোবাইল তাকে দিয়ে চোরকে নিয়ে বাড়ি ফিরলাম।
বাড়িতে এনে তাকে বললাম। আমি সাহায্য না করলে তোমার কপালে কি ছিল তা বলা মুশকিল। হয় জেলে যেতে না হয় মরে যেতে। আমি তোমাকে কিছু প্রশ্ন করব তার সঠিক উত্তর দিবে। আমি তোমাকে কিছু করব না।
চোর মাথা নিচু করে বলল, আপনি আমাকে বাঁচাইছেন। আপনি যা বলবেন আমি তাই করব। বলেন কি করতে হবে।
- তোমার নাম কি?
- আমার নাম মতিন
- তোমার বাবা কি করেন?
- ব্যবসা।
- বাড়ি কোথায়?
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
- বাসা কোথায়?
- কোন বাসা নেই।
- বাসা নেই তাহলে থাক কোথায়?
- এতদিন জেলে ছিলাম। আজই জেল থেকে বের হলাম। রাতে ঠিক করব কোথায় থাকব।
- জেলে কেন ছিলে?
- শুনবেন সে কাহিনী?
- অবশ্যই শুনব। বল।
- তাহলে শুনেন।
আজ থেকে তিন বছর আগের ঘটনা। আমি তখন এইচ.এস.সি পরীক্ষা দিয়েছি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ট্রেনে করে কমলাপুর আসি। ট্রেন স্টেশনে আসতেই সবাই নামার জন্য ঠেলাঠেলি শুরু করে দিল । হঠাৎ করে বুঝতে পারলাম আমার পিছনে কেউ একজন প্যান্টের পকেটে হাত দিয়ে মানিব্যাগ চুরি করার চেষ্টা করছে। প্যান্ট শার্ট পড়া ভদ্রটাইপের এক লোক আমার পিছনে দাঁড়িয়ে আছে। তাকে হাতে নাতে ধরার জন্য নড়াচড়া না করে চুপ করে সামনের দিকে আস্তে আস্তে এগিয়ে যাচ্ছি। চোর আমার মানিব্যাগ টান দিয়ে যেই মাত্র বের করল, ঠিক তখন পকেটমারের পিছন ফিরে তার দিকে তাকালাম। পকেটমার সাথে সাথে আমার মানিব্যাগটি ফেলে আমার কাছ থেকে চোখ ফিরিয়ে পিছন দিকে চলে যাচ্ছে। আমি তখন মানিব্যাগটি হাতে নিয়ে পকেটমারকে ধরার চেষ্টা করলাম। সে তখন এক ঝটকা দিয়ে আমার কাছ থেকে ছুটে পালানোর চেষ্টা করল এবং সবাইকে ধাক্কিয়ে ট্রেন থেকে নেমে পড়ল। আমি তাড়াতাড়ি নামলাম এবং পিছন থেকে চোর চোর ধর ধর বলে চিৎকার করছিলাম। এত ভিড়ের মধ্যে লোকজন বুঝতে পারছে না কে প্রকৃত চোর আর কার মানিব্যাগ চুরি হলো। আসল চোর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে উল্টো আমাকে দেখিয়ে বলতে লাগল, ঐ ছেলেটিকে ধরেন সে আমার মানিব্যাগ চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। দেখেন তার হাতে আমার মানিব্যাগ।
চোরের কথায় তৎক্ষনাৎ লোকজন উল্টো আমাকে ফলো করে ধরার চেষ্টা করল। এখন আমি কিভাবে প্রমাণ দিব যে আমি চোর নয় বরং সেই চোর। চিন্তায় পড়ে গেলাম। এতক্ষণে ঐ চোর আমাকে ধরার জন্য আমার দিকে এগিয়ে আসল এবং আমাকে ঝাপটে ধরে চোর চোর বলে ঘুষি মারতে লাগল। লোকজন আমাকে চোর ভেবে বৃষ্টির মতো কিল-ঘুষি মারতে লাগল। চারপাশ থেকে লোকজন আমাকে ঘিরে রাখছে। আমি তখন চিৎকার করে বলছি, ভাই আমি চোর নয়। ওনি চোর। ওনি আমাকে ফাসানোর জন্য আমাকে মারছেন।
জনগণের মধ্য থেকে একজন বলে উঠল, তুর কাছে মানিব্যাগ পাওয়া গেল, আর তুই বলছিস তুই চোর না। এই বলে আরো কিছু কিল-ঘুষি মারলো। জনগণের মাইর খেয়ে আমি একসময় মাটিতে পড়ে গেলাম। আমার মানিব্যাগ ও অন্যান্য জিনিপত্র ঐ চোর নিয়ে গেল।
কিছুক্ষণ পর পুলিশ এসে আমাকে চোরের অপবাদে থানায় নিয়ে গেল। চোর না হয়েও চোর হয়ে গেলাম।
এই বলেই মতিন চোর থামল।
- তারপর কি হলো?
মতিন চোর একটু জিরিয়ে আবার বলতে লাগল।
আমাকে থানায় আনার পর পুলিশ কোর্টে চালান করে দিল। আমার নামে চোরাচালান মামলা হল। এই মামলায় আমি তিন বছর জেল খাটি। এই তিন বছরে অনেক দাগী আসামীর সাথে আমার পরিচয় হয়। অনেক বড় বড় চোর ডাকাতের সাথে পরিচয় হয়। চুরি না করেও অপরাধী হয়ে জেল খেটেছি। এই জন্য আমার লেখাপড়া শেষ হলো। এতদিনে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করতাম। এই ঘটনায় আমি পরিবারের কাছে মুখ দেখাতে পারছি না। পরিবারের কেউ আমাকে জেলে দেখতে আসে নাই। তাই জেল খানায় থেকেই সিদ্ধান্ত নিলাম এই মুখ আর পরিবারের কাউকে দেখাব না। জেল থেকে বের হয়েই আমি চুরি করব। জেলে বসেই আমার অপরাধী সঙ্গীদের কাছ থেকে চুরি বিদ্যা শিখলাম। বিশেষ করে পকেটমার কিভাবে করতে হয় তার কলাকৌশল শিখলাম। জেল থেকে বের হয়েই প্রথমে একটি বাসে উঠলাম। সেটা ছিল সদরঘাট থেকে মীরপুরগামী একটি বাস। সেখানে এক ভদ্রলোকের পকেট থেকে মানিব্যাগ চুরি করি। এটা ছিল আমার প্রথম চুরির ঘটনা।
এই কথা শুনে আমার মনে খটকা লেগে গেল। আজ দুপুরে স্টেডিয়ামে আসার পথে আমার ম্যানিব্যাগ চুরি হয়েছে। এই থাম। এই চুরিটা কবে করেছ?
- আজই।
- মানিব্যাগটি তোমার কাছে আছে?
- হ্যাঁ আছে।
- দেখাওতো।
মতিন চোর অমনি তার প্যান্ট থেকে মানিব্যাগটি বের করে আমাকে দেখাল। আমি এই ব্যাগ দেখে হতবাক হয়ে গেলাম।
- এটাতো আমার মানিব্যাগ। তাহলে তুমিই আমার মানিব্যাগ চুরি করেছ?
- বলেন কি? এটা আপনার মানিব্যাগ?
- হ্যাঁ।
- আমিতো পেছন থেকে চুরি করেছি তাই আপনাকে চিনতে পারিনি। তাহলে প্রথম চুরিটা আপনার কাছ থেকেই করেছি। আর দ্বিতীয় চুরিটায় ধরা পড়লাম।
- হ্যাঁ।
- যাক ভাই তোমাকে পাওয়ায় আমার অনেক উপকার হয়েছে? আমার অনেক প্রয়োজনীয় জিনিস এই মানিব্যাগে ছিল তা পাওয়া গেল।
- আমারে মাফ করে দেন ভাই।
- মাফ তোমাকে করব। তার আগে তোমার সর্ম্পকে আরো জেনে নেই।
- বলেন কি জানতে চান।
- স্টেডিয়ামে আসলে কেন?
- ভাবলাম এখানে অনেক মানুষের ভিড় থাকবে। পকেট মারতে সুবিধা হবে তাই।
- কিন্তু একবারও কি ভাবলে না ধরা পড়লে আবার জেলে যেতে হবে?
- ভাবছি। এও ভাবছি যে অপরাধ না করে যখন জেলে যেতে হয়েছে তাহলে অপরাধ করেই জেলে গেলে কোন সমস্যা হবে না। পুলিশকে টাকা দিয়ে বের হওয়ার পদ্ধতিও আমি জেল খানা থেকে শিখে এসেছি।
- তাই বলে এভাবে তোমাকে অপরাধ করতে হবে? তুমি একজন ভদ্র ঘরের সন্তান হয়েও কেন এভাবে একটা অনাকাঙ্খিত ঘটনার জের ধরে আবার অপরাধে জড়িয়ে পড়বে। এই জন্য কি অনুতপ্ত হও না?
- হ্যাঁ হই। কিন্তু কি করব স্যার। আমি নিরুপায়। আমি এ মুখ আমার বাবা মাকে দেখাতে পারব না। কোনদিন আমি কোন অপরাধ করিনি। আজ অপরাধ না করেও যখন অপরাধী হয়েছি, তখন এছাড়া আর কিছু করার উপায় ছিল না স্যার। বলেই মতিন কাঁদতে লাগল।
আমাকে বাঁচান। আমি এই পথে যেতে চাইনি। এ সমাজ আমাকে এ পথে যেতে বাধ্য করেছে। এই বলেই ফুফিয়ে কাদঁতে লাগল মতিন।
- কেদোনা শান্ত হও। আমি তোমাকে একটি রাস্তা দেখিয়ে দিচ্ছি।
- কি রাস্তা বলেন?
- আজ থেকে শপথ নিবে তুমি আর চুরি করবে না। আর এখন থেকে আমার দোকানে তুমি কাজ করবে।
- ঠিক আছে স্যার আমি শপথ নিলাম আর কোনদিন চুরি করব না। আজ থেকে আপনার দোকানে কাজ করব।
- আর প্রতি বুধবার রাত ১১.২০ মিনিটে এবিসি রেডিওতে ‘যাহা বলিব সত্য বলিব’ শিরোনামে একটি অনুষ্ঠান হয়। সেই অনুষ্ঠানটি শুনবে। সেই অনুষ্ঠানটি তোমার মতো অপরাধীদের নিয়ে তৈরি হয়। সেখানে গিয়ে একদিন তোমার জীবনের অপ্রিয় সত্য কথাটি লাখো শ্রোতার সামনে বলবে। পারবে?
- পারব স্যার। আপনি আমাকে আলোর পথ দেখিয়েছেন। আপনি আমার জীবনের মোর গুড়িয়ে দিয়েছেন।
সেদিনের সেই ঘটনার পর থেকে মতিন আর চুরি করে না। আমার দোকানে চাকুরী করে। মাস শেষে যে বেতন পায় তাতেই সে সন্তুষ্ট। কয়েক মাস পর পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া গিয়ে বাবা মায়ের সাথে দেখা করে আসে। একদিন এবিসি রেডিও থেকে মতিনকে কল করা হল। মতিন অফিসে এসে তার জীবনের সব অপ্রিয় সত্য কথাগুলো রেকর্ড করেন। তারপর সেটা প্রচার করা হয় লাখো শ্রোতার সামনে।
রচনাকাল-৩১/০৭/২০১৫খ্রি:
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন