হঠাৎ করেই আবার দেশে এসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটছে। গত ১৫ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাজাধানীর বংশালের চানখারপুল এলাকায় শারমিন আক্তার আঁখি নামে ইডেন মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের এক ছাত্রীকে কুপিয়ে জখম ও এসিড নিক্ষেপ করে মনির উদ্দিন নামের কথিত এক প্রেমিক। জানা গেছে বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় কথিত প্রেমিক মনির উদ্দিন এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে। মনির উদ্দিন তাকে এলোপাতাড়িভাবে ছুরিকাঘাত করে এবং সব শেষে এসিড নিক্ষেপ করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এসিড নিক্ষেপের ফলে
মেয়েটির শরীর পুড়ে খসে পড়লো স্যালোয়ার-কামিজ। পুড়েছে শরীরের ১৫ শতাংশ অংশ। বাঁচও, বাঁচাও বলে চিৎকার করতে থাকে। এক সময় যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে জনবহুল রাস্তায় পড়ে গড়াগড়ি করতে লাগল। এই দৃশ্য কিশোর, তরুণ, যুবক, বৃদ্ধ, দোকানী আর পথচারী সবাই দেখলো; কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে এলো না। তারপর সাংবাদিকরা এসে রিপোর্ট লিখল। এরপর পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কি মর্মান্তিক ঘটনা যা ভাবলে গা শিহরিত হয়ে যায়। এত নির্মম ঘটনা আমাদের এই স্বাধীন দেশে ঘটতে পারে যা ভাবতে অবাক লাগে। আর এই ঘটনার পর সবাই নীরব দর্শক হয়ে উপভোগ করল কিন্তু কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে এলোনা এটা ভাবলে আরো আশ্চার্য লাগে। মানুষ এতোটা পাষাণ হয় কিভাবে? এর উত্তর আমার জানা নেই।
আজ আমরা যে নারীকে এসিড নিক্ষেপ করছি আমাদেরও তো মা বোন আছে। তাহলে আমরা কেন এতটা নির্মম হই। আমাদের বিবেক কি একবারের জন্যও নাড়া দেয় না? আজকে যাকে এসিড নিক্ষেপ করা হলো সে যদিও বেঁচে যায় তাহলে হয়তো এই ক্ষত নিয়ে সারা জীবন চলতে হবে। আমরা চাই কথিত মনির উদ্দিন দ্রুত গ্রেফতার হোক এবং তার সবোর্চ্চ শাস্তি হোক।
রচনাকালঃ ২২ জানুয়ারি ২০১৩ খ্রি:
আজ আমরা যে নারীকে এসিড নিক্ষেপ করছি আমাদেরও তো মা বোন আছে। তাহলে আমরা কেন এতটা নির্মম হই। আমাদের বিবেক কি একবারের জন্যও নাড়া দেয় না? আজকে যাকে এসিড নিক্ষেপ করা হলো সে যদিও বেঁচে যায় তাহলে হয়তো এই ক্ষত নিয়ে সারা জীবন চলতে হবে। আমরা চাই কথিত মনির উদ্দিন দ্রুত গ্রেফতার হোক এবং তার সবোর্চ্চ শাস্তি হোক।
রচনাকালঃ ২২ জানুয়ারি ২০১৩ খ্রি:
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন