গত ১২ মার্চ সারাদেশে ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সী সব শিশুকে ভিটামিন
‘এ’ ক্যাপসুল এবং দুই থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুকে ভিটামিনের
সঙ্গে একটি করে কৃমিনাশক বড়ি খাওয়ানো হয়। কিন্তু এই ভিটামিন খেয়ে শিশু মারা গেছে, ‘শিশুরা
অসুস্থ হয়ে পড়ছে, ‘ক্যাপসুল মেয়াদোত্তীর্ণ,
ক্যাপসুলে বিষ আছে ইত্যাদি নানা ধরনের প্রচার ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়া, সংবাদপত্রের খরব, মুঠোফোন, ফেসবুক ও ব্লগে প্রকাশ পায়। এতে আমরা জানতে পারলাম যে, ভিটামিন
‘এ’ ক্যাপসুল ও কৃমিনাশক বড়ি খাওয়ানোর ফলে এ পর্যন্ত দুইজন শিশু মারা গেছে। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন জেলায় অসংখ্য শিশু হাসপাতালে
আছে। কোনো কোনো জেলায় কিছু শিশুর বমি, জ্বর ও পাতলা
পায়খানা হয়। তাৎক্ষণিক তাদের
নেওয়া হয় হাসপাতালে। যাদের শিশুর এখনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি তারা এখনও আতঙ্কগ্রস্থ আছে কখন জানি তার শিশু রোগে আক্রান্ত হয়। টিভিতে আমরা আক্রান্ত শিশুর অভিভাবকের সাক্ষাৎকার দেখে যা বুঝলাম সত্যি নিম্নমানের বড়ি খাওয়ানোর ফলে এ পরিস্থিতি হয়েছে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে এটি গুজব। গুজবে কান না দেওয়ার জন্য। এ গুজব নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মজিবুর রহমান ফকির বলেন, একটি কুচক্রী মহল ভিটামিন
‘এ’ ক্যাপসুল নিয়ে অপপ্রচার ও গুজব ছড়িয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত
করার চেষ্টা করছে।
ইতিমেধ্য
ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল ও কৃমিনাশক বড়ি খাওয়ানোকে
কেন্দ্র করে সারা দেশে গুজব ও আতঙ্ক ছড়ানোর পেছনে কে বা কারা জড়িত আছে, তা তদন্তে চার সদস্যের কমিটি করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। কমিটি এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে।
আমরা জানি না কোনটি গুজব আর কোনটি সত্যি। যারা আক্রান্ত তারা যেমন চিন্তিত যারা আক্রান্ত হয়নি তারাও তেমনি চিন্তিত। আমরা জানি না শিশুর জীবন নিয়ে কোন রাজনীতি হচ্ছে কিনা। কারণ আমাদের দেশে সবকিছুতেই এখন রাজনীতি হচ্ছে।
পরিশেষে বলব যদি এটা গুজব হয়ে থাকে তাহলে সরকার দোষী ব্যক্তিকে সনাক্ত করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করবে। আর যদি সত্যি সত্যি ভিটামিন
‘এ’ ক্যাপসুল ও কৃমিনাশক বড়ি খাওয়ানোর ফলে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি হয় তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা
নিয়ে সরকার যেন দেশবাসীকে আতঙ্কমুক্ত করে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন