
অভিযান শুরু হয় । প্রায় ১ ঘণ্টা রুদ্ধশ্বাস অভিযানের পর বিকেল ৪টা ২৭ মিনিটে ধ্বংসস্তুপ থেকে রেশমাকে বের করে নিয়ে আসা হয়। ফায়ার সার্ভিসের সদস্য জামির ও মেজর মোয়াজ্জেম তাকে বের করে নিয়ে আসেন। উদ্ধার করার পর তাৎক্ষণিকভাবে তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) এ নিয়ে যাওয়া হয়। উদ্ধারকর্মীরা জানায় রেশমা ভালো আছে। তিনি সেখানে বেজমেন্টের অস্থায়ী মসজিদে আটকা পড়েছিলেন। মরনফাঁদ রানা প্লাজার দুই নম্বর ফ্লোরের মার্কেটে অবস্থান করছিলেন রেশমা আক্তার। ভবন ধসের সময় তিনি তার কর্মস্থল চতুর্থ তলা থেকে দুই নম্বর ফ্লোরে নেমে আসতে পেরেছিলেন। ১৭ দিনের অনিদ্রা, অনাহার ও দুর্গন্ধের কারণে একেক সময় বাঁচার আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন। পরক্ষণেই আবার জীবন যুদ্ধ শুরু করেছেন। কথায় আছে না রাখে আল্লাহ মারে কে। পরিশেষে তার জীবন যুদ্ধ সফল হয়। আমরা তার দীর্ঘ জীবন কামনা করি। ইতি মধ্যে রেশমাকে নিয়ে বিশ্ব গণমাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
হাইতিতে ভূমিকম্পের ভবন ধসে আটকা পড়ে ১১ দিন বেঁচে থাকার রেকর্ড ছিলো একজনের। বর্তমানে বাংলাদেশের রেশমা আক্তার সাভারের রানা প্লাজা ভবন ধসের ১৭ দিনের মাথায় সবাইকে হতবাক করে প্রাণের স্পন্দন জানান দিয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে মৃত্যুঞ্জয়ী রেশমা হিসেবে চিরস্বরণীয় হয়ে থাকবে।
রচনাকালঃ ১১ মে ২০১৩ খ্রি:
রচনাকালঃ ১১ মে ২০১৩ খ্রি:
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন