আজ শুক্রবার। ছুটির দিন। যারা অবসর আছেন তারা চলে আসুন মুক্ত আলোচনার লাইভ আড্ডায়।
আজকের বিষয়: বর্ষাকাল
আসুন আমরা বর্ষাকাল নিয়ে নিজেদের মতামত তুলে ধরি।
প্রকৃতিতে চলছে এখন বর্ষাকাল। বর্ষাকালে কোন সুখ স্মৃতি নিয়ে একটা আলোচনা হতে পারে।
আলোচনা হতে পারে বর্ষার কবিতা নিয়ে। বর্ষা নিয়ে অনেক কবি কবিতা লিখছেন। নিম্নে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আষাঢ় কবিতাটি দিলাম।
আষাঢ়
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
নীল নবঘনে আষাঢ় গগনে তিল ঠাঁই আর নাহিরে।
ওগো, আজ তোরা যাস নে ঘরের বাহিরে।
বাদলের ধারা ঝরে ঝরঝর,
আউশের খেত জলে ভরভর,
কালি-মাখা মেঘে ও পারে আঁধার ঘনিয়েছে দেখ্ চাহিরে।
ওগো, আজ তোরা যাস নে ঘরের বাহিরে॥
ওই ডাকে শোনো ধেনু ঘনঘন, ধবলীরে আনো গোহালে।
এখনি আঁধার হবে বেলাটুকু পোহালে।
দুয়ারে দাঁড়ায়ে ওগো দেখ্ দেখি
মাঠে গেছে যারা তারা ফিরেছি কি?
রাখারবালক কী জানি কোথায় সারা দিন আজি খোয়ালে।
এখনি আঁধার হবে বেলাটুকু পোহালে॥
শোনো শোনো ওই পারে যাবে বলে কে ডাহিছেবুঝি মাঝিরে।
খেয়া-পারাপার বন্ধহয়েছে আজি রে।
পুবে হাওয়া বয়, কূলে নেই কেউ,
দু কূল বাহিয়া উঠে পড়ে ঢেউ,
দরদর বেগে জলে পড়ি জল ছলছল উঠে বাজি রে।
খেয়া-পারাপার বন্ধহয়েছে আজি রে॥
ওগো, আজ তোরা যাস নে গো, তোরা যাসনে ঘরের বাহিরে।
আকাশ আঁধার, বেলা বেশী আর নাহিরে।
ঝরঝর ধারে ভিজিবে নিচোল,
ঘাটে যেতে পথ হয়েছে পিছল,
ওই বেণুবন দুলে ঘনঘন পথ পাশে দেখ্ চাহিরে।
ওগো, আজ তোরা যাস নে ঘরের বাহিরে॥
শিলাইদহ
২০, জৈষ্ঠ্য ১৩০৭
আপনার কোন কবিতা, ছড়া বা স্মৃতিচারণমূলক কোন লেখা থাকলে এখানে দিতে পারেন। আমরা এর বিশ্লেষণ করব।
আলোচনা হতে পারে বর্ষার ফুল নিয়ে। বর্ষাকালে ফুটে কদম, শাপলা।
লাল শাপলা ফুল
কদম ফুল
আলোচনা হতে পারে বর্ষার রূপ নিয়ে। বর্ষায় ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি হয়। মূষলধারে বৃষ্টি হয়। পথঘাট ভিজে পিচল হয়ে যায়।
বর্ষাকালে বৃষ্টি পড়ার দৃশ্য
আলোচনা হতে পারে শৈশবে বর্ষার কোন স্মৃতি নিয়ে। যেমন শাপলা শালুক উঠানো, নৌকা ভ্রমণ, কলার বেলায় ভ্রমণ।
শৈশবে শাপলা উঠাচ্ছে দুই শিশু
বর্ষায় নৌকা ভ্রমণ
কলার বেলা
বর্ষার বৃষ্টিতে ভেজার অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারেন।
একদল দুষ্টু ছেলে বৃষ্টিতে ভিজছে
আলোচনা হতে পারে শৈশবে বর্ষায় মাছ ধরা নিয়ে।
পুকুর সেচে মাছ ধরা
পল দিয়ে মাছ ধরা
বেড় জাল দিয়ে মাছ ধরা
আসুন
আমরা উপরের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু করি। আলোচনার কোন নির্দিষ্ট সময়সীমা
নেই। আজ থেকে পরবর্তী পোস্ট প্রকাশ হওয়ার আগ পর্যন্ত আপনারা আলোচনা করতে
পারবেন। যে কেউ যে কোন সময় আলোচনা আড্ডায় যোগ দিতে পারবেন। প্রতিটা আলোচনা
আড্ডা থেকে আমরা কিছু শিক্ষণীয় বিষয় বের করে নিব। আলোচনা আড্ডা হবে নির্মল
আনন্দের খোরাক। সকল ব্লগাররা সবার প্রতি সম্মান রেখে কথা বলবেন। কোন
অশ্লীল বা সহব্লগারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতে পারে এমন কথাবার্তা থেকে বিরত
থাকবেন। যারা অবসর আছেন তারা চলে আসুন লাইভ মুক্ত আলোচনা আড্ডায়।
আজকে
শুধুই বিষয় ভিত্তিক মুক্ত আলোচনা আড্ডা হবে। ভয়ের কিছুনাই, যারা আজকে
মুক্ত আলোচনা আড্ডায় যোগ দিতে পারবেন না তারা হাজিরা দিয়ে চলে যান। কালকে,
পরশু বা আরো পরে আসলেও কোন সমস্যা নেই। আপনার জন্য মুক্ত আলোচনার আয়োজন
সবসময় খোলা থাকবে। তো আসুন মুক্ত আলোচনা আড্ডা দিয়ে মনকে ফ্রেস করি। একে
অপরকে জানি। একে অপরের মতামত তু্লে ধরি।
[সূত্র: ছবিগুলো নেট থেকে সংগ্রহ করা]
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন