বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১৪

মিষ্টি প্রেমের দুষ্টু চিঠি

প্রাণের প্রিয়তম আশিক, চিঠির শুরুতে তোমার প্রতি রইলো আমার প্রাণডালা শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা। হবু শাশুড়ির প্রতি রইলো সালাম। প্রবাসী শ্বশুরের জন্যে রইলো আমার দোয়া। দেবর ও ননদের জন্যে রইলো একটি করে আদর। আর তোমার জন্যে রইলো ১০১ টি চুমো।
আশিক, তুমি বলেছো তোমার কিছুই নেই। তুমি আমার যোগ্য নও। না আশিক এ তুমি মিথ্যে বলছো। বরং বলতে পারো আমি তোমার যোগ্য নই। তোমার মতো সুন্দর মনের একটি ছেলেকে ভালোবাসতে পেরে আমি ধন্য। আমার তো রূপ, যৌবন, মন, কিছুই নেই। অথচো তোমার সবই আছে। আছে টগবগে যৌবন ও সুন্দর একটি মন। যা দিয়ে তুমি আমাকে ভালোবাসো। তুমি একদিন বলেছিলে যে, কলেজের ছেলে মেয়েরা হাত ধরাধরি করে আড্ডা দেয়। মজার মজার রোমান্টিক প্রেমালোচনা করে। সেগুলো দেখে তোমার খুব ইচ্ছে হয় তাদের মতো আমাকে নিয়ে আড্ডা দিতে। ইচ্ছে মতো প্রেম করতে। তাই না?
আশিক লক্ষ্মীটি আমার। প্লিজ তুমি তাদের এসব দৃশ্য দেখোনা। আমাদের এখন তাদের মতো প্রেম করার সময় নয়। এখন তোমাকে ভালো করে লেখাপড়া করতে হবে। দেখো আশিক আমি তোমার সাথে অভদ্র প্রেম করবোনা। এভাবে সবার চোখের সামনে যারা প্রেম করে বেড়ায় তাদেরকে লোকে অভদ্র বলে। আমরা এমন প্রেম করবো যা দেখে কেউ ছিঃ বলতে না পারে। লোকে আমাদের প্রেমের কথা শুনে যেনো খোদার কাছে প্রার্থনা করে, ‘হে খোদা তুমি তাদের মিলন ঘটিয়ে দাও।আশিক তুমি হয়তো আমার সাথে একমত হয়ে বলবে, আমরা এমন প্রেম করবোনা যা আমাদের বিপদ ডেকে আনে।
জানো আশিক, গত কাল রাতে তোমাকে নিয়ে একটা রোমান্টিক স্বপ্ন দেখিছি। এ পর্যন্ত এমন স্বপ্ন আর কখনো দেখিনি। আমার কিন্তু স্বপ্নের কথা বলতে লজ্জা করছে। নাহ্ এখন বলবোনা। একি! তুমি দেখি রাগ করে আছো। ঠিক আছে বাবা রাগ করোনা। এখনই বলছি শোন।
একদিন আমরা দুজন পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করলাম। বাসর রাত কাটানোর জন্যে দুজনেই চিন্তায় পড়ে গেলাম। কিছুক্ষণ পর তুমি বললে, চলো আবাসিক হোটেলে যাই। সেখানে রাত কাটানো যাবে। তোমার কথানুযায়ী ঢাকা এসে আমরা এক হোটেলে উঠলাম। তুমি খাবার নিয়ে এলে তা দুজনে ভাগ করে খেলাম। কিছুক্ষণ টিভি দেখার পর দুজনে এক বিছানায় শুয়ে পড়লাম। তখন তুমি লাইট নিভিয়ে দিয়ে ডিম লাইট জ্বালালে। কিছুক্ষণ দুজনে দুপাশে শুয়ে রইলাম। কিন্তু কেউ কাউকে স্পর্শ করিনি। অনেক্ষণ পর তোমার ডান হাত আমার বুকের উপর পড়লো। এই প্রথম তোমার হাতের পরশ পেয়ে আমার শরীর শির শির করে উঠলো। আমার কিন্তু খুব ভালো লাগছিলো। জানিনা তোমার কেমন লাগছিলো। তারপরও লজ্জায় তোমার হাত খানা সরিয়ে দিলাম। কিছুক্ষণ পর আবার তোমার হাতখানা আমার বুকের উপর রাখলে। তখন আমার সারা শরীর রোমঞ্চিত হয়ে উঠলো। দেহের প্রতিটি ভাজে ভাজে অদ্ভুদ এক শিহরণ জেগে উঠলো।... না আশিক আজ আর লিখতে পারবোনা। লজ্জায় আমার মুখ লাল হয়ে যাচ্ছে। আজ আসি। পরে আবার কথা হবে। লক্ষ্মীটি ভালো থেকো।

ইতি
তোমার প্রাণের প্রিয়তমা খাদিজা

কোন মন্তব্য নেই: