কিছু দিন পর পর যে খবরটি আমাদেরকে চমকে দেয়, তা হলো ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এর হাতে বাংলাদেশী খুন। গত বুধবার পত্রিকায় খবর পেলাম চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বিভীষণ সীমান্তে গরু ব্যবসায়ী দুই বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এর আগের দিন মঙ্গলবার ভোরে ঠাকুরগাঁও সীমান্তে হত্যা করা হয়েছিল দুই গরু ব্যবসায়ীকে।
এ ছাড়াও গতকাল বিকেল সাড়ে চারটার দিকে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় বাংলাদেশে ঢুকে খেতে কর্মরত দুই কৃষককে ধরে নিয়ে গেছেন বিএসএফের সদস্যরা। মঙ্গলবার দিবাগত রাতেও লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী সীমান্ত থেকে এক বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল বিএসএফ।
বছরের শুরুতেই নববর্ষের শুভেচ্ছাস্বরূপ আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ৪টা লাশ পাঠিয়েছে বাংলাদেশকে এবং তিনজনকে ধরে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘ভারতের সঙ্গে সমঝোতা অনুযায়ী কেবল আত্মরক্ষার জন্যই গুলি চালানো যেতে পারে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথা শুনে মনে হল উনি যেন এদেশের মন্ত্রী নয়, ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। এই কথা বলে তিনি তাঁর কর্তব্য শেষ করেছেন। আর কোন পদক্ষেপ তিনি নিলেন না।
এই যদি হয় আমাদের দেশের সরকারের অবস্থান তাহলে আমরা সাধারণ জনগণ কোথায় যাব। বিএসএফ কেন এত ভয়ংকর হলো? এর কারণ আমরা ধরে নিতে পারি বর্তমান সরকারের ভারতপ্রীতি। এই ভারত প্রীতির কারণে আমাদের দেশের নিরীহ লোকদের বার বার হত্যা করছে কিন্তু সরকার এর প্রতিবাদ করতে পারছে না। সরকার যদি ইচ্ছে করে বিজিবির মাধ্যমে এর জবাব দিতে পারে কিন্তু বাংলাদেশ সরকার চায় না বলে সীমান্তে এত হত্যা। আমরা বাংলাদেশীরা ভারতের কাছে এখন মশায় রূপান্তরিত হয়েছি। তারা যখন খুশী তখন যেকোন অজুহাতে আমাদেরকে গুলি করে, থাপ্পর মেরে, পিষে মেরে ফেলতে পারে। তাই এ দেশের জনগণের কিছুই করার নেই। যেখানে সরকার নীরব যেখানে আমরা আর কি করব। আজীবন সহ্য করে যেতে হবে।
রচনাকালঃ ৫ জানুয়ারি ২০১৩ খ্রি:
বছরের শুরুতেই নববর্ষের শুভেচ্ছাস্বরূপ আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ৪টা লাশ পাঠিয়েছে বাংলাদেশকে এবং তিনজনকে ধরে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘ভারতের সঙ্গে সমঝোতা অনুযায়ী কেবল আত্মরক্ষার জন্যই গুলি চালানো যেতে পারে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথা শুনে মনে হল উনি যেন এদেশের মন্ত্রী নয়, ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। এই কথা বলে তিনি তাঁর কর্তব্য শেষ করেছেন। আর কোন পদক্ষেপ তিনি নিলেন না।
এই যদি হয় আমাদের দেশের সরকারের অবস্থান তাহলে আমরা সাধারণ জনগণ কোথায় যাব। বিএসএফ কেন এত ভয়ংকর হলো? এর কারণ আমরা ধরে নিতে পারি বর্তমান সরকারের ভারতপ্রীতি। এই ভারত প্রীতির কারণে আমাদের দেশের নিরীহ লোকদের বার বার হত্যা করছে কিন্তু সরকার এর প্রতিবাদ করতে পারছে না। সরকার যদি ইচ্ছে করে বিজিবির মাধ্যমে এর জবাব দিতে পারে কিন্তু বাংলাদেশ সরকার চায় না বলে সীমান্তে এত হত্যা। আমরা বাংলাদেশীরা ভারতের কাছে এখন মশায় রূপান্তরিত হয়েছি। তারা যখন খুশী তখন যেকোন অজুহাতে আমাদেরকে গুলি করে, থাপ্পর মেরে, পিষে মেরে ফেলতে পারে। তাই এ দেশের জনগণের কিছুই করার নেই। যেখানে সরকার নীরব যেখানে আমরা আর কি করব। আজীবন সহ্য করে যেতে হবে।
রচনাকালঃ ৫ জানুয়ারি ২০১৩ খ্রি:
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন