শনিবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০১৩

লাঞ্ছিত শিক্ষক!

গত কয়েকদিন যাবত আমরা দেখছি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা আন্দোলন করছেন। আন্দোলনের পদে পদে তাঁরা বাঁধার সম্মুখিন হচ্ছেন। গত ১১ জানুয়ারি শুক্রবার তারা শান্তিপূর্ণ ভাবে শহীদ মিনারে অনশন করতে চাইছে যেখানেও সরকার তাদেরকে বাঁধা দিচ্ছে। পুলিশ তাদের উপর মরিচের গুড়া ছিটিয়ে তাদের অনশন পন্ড করে দেয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কেন সরকার তাদের এই যৌক্তিক আন্দোলনে
বাঁধা দিচ্ছে? শিক্ষকদেরকে বলা হয় জাতি গঠনের কারিগর। এই শিক্ষকদের উপর কেন এই রকম আচরন? তারা কি কোন রাজনৈতিক দলের কর্মী ছিল? তারাতো পেঠের জন্য আন্দোলন করছে। এতে বাঁধা দেওয়ার কি আছে? অনশনের মতো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী আর কি আছে? ঢাকায় একদিকে ছাত্র গড়ার কারিগরদের উপর পুলিশ কাদানে তরল গ্যাস ছুড়ছে অন্য দিকে রংপুরে ছাত্র শিক্ষকদের উপর এসিড ছুড়ছে। এইভাবেই আমরা শিক্ষকদেরকে সম্মান দিচ্ছি। যারা আমাদেরকে শিক্ষা দিয়ে মানুষ বানায় তাদেরকেই আমরা এভাবে অপমানিত করছি। এটা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য লজ্জাজনক কাজ। এর আগেও আমরা দেখছি পুলিশ এক শিক্ষককে পিঠিয়ে মেরেছে। যাঁদের ইশারায় পুলিশ আজ বেপরোয়াভাবে এইসব জাতি গঠনের কারিগরদেরকে লাঞ্ছিত করছে তারাওতো একদিন তাঁদের কাছ থেকে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেছিল। যার ফলে আজকে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমপি, জজ, ব্যারিস্টার, পুলিশ হতে পেরেছে। আবার তাঁদের সন্তানদেরকে এই সব শিক্ষকদের কাছে শিক্ষা অর্জনের জন্য পাঠাবে।
এখন জনগণের মনে প্রশ্ন তাদেরকে এমপিওভুক্তি করলে কত কোটি টাকা লাগবে? আজকে দেশের সম্পদ লুট করে দুর্নীতিবাজরা ভাগ করে খাচ্ছে। তার কিছু সম্পদ যদি এই সব অসহায় গরিব শিক্ষকদেরকে সরকার দেয় তাহলে কিইবা এমন ক্ষতি হবে দেশের? এটা আমার জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন রইল।

রচনাকালঃ ১৭ জানুয়ারি ২০১৩ খ্রি:

কোন মন্তব্য নেই: