গত ২৫ তারিখ প্রধান নির্বাচন কমিশনার একতরফা নির্বাচনী
তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন নিয়ে সংঘাত সংঘর্ষ আরো ঘনীভূত হয়েছে। সরকার মনে প্রাণে
চাইছে বিএনপিসহ আঠারদলীয়জোট যেন নির্বাচনে আসতে না পারে। কারণ যেনতেন ভাবে একটি
নির্বাচন করে সরকার যাতে আবার ক্ষমতায় আসতে পারে সেদিকে এগিয়ে যাচ্ছে। নির্বাচনের
তফসিল ঘোষণার পর আওয়ামীলীগ ও তাদের অঙ্গ সংগঠনের আনন্দ মিছিলই প্রমাণ করে তারা
আবার ক্ষমতায় আসছে। অন্য দিকে বিএনপির
দলীয় কার্যালয়ে পুলিশ প্রহরা দেওয়া হচ্ছে। নির্বাচন তফসিল ঘোষণা হওয়ার পর পর এই তফসিল প্রত্যাখান করে ১৮ দলীয়জোট ৪৮ ঘন্টার অবরোধ ডাক দেয়। পরে তা বর্ধিত হয়ে ৭১ ঘন্টায় রূপান্তর করা হয়। এই অবরোধে এই পর্যন্ত ১৬ জনের প্রাণহানী হয়। আরো কত প্রাণহানী ঘটে তা আমরা জানি না। এর দায় দায়িত্ব কে নিবে? অবশ্যই সরকার এ থেকে পরিত্রাণ পেতে পারে না। কারণ মূল সমস্যাটা হলো বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে। তিনি জনগণের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন। ৫ বছর শাসন করেছেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করার ম্যান্ডেট জনগণ তাঁকে দেয়নি। কিন্তু সেই জনগণের জনমতকে উপেক্ষা করে একদলীয় সরকার ব্যবস্থা কায়েম করার জন্য আদালতের দোহাই দিয়ে তত্ত্ববধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে সরকার। এখন সংবিধানের দোহাই দিয়ে নিজের অধীনে একদলীয় নির্বাচন করার পায়ঁতারা করছেন। সংবিধান কার জন্য তৈরি হয়েছে? নিশ্চয় কোন দলকে ক্ষমতায় পাঠানোর জন্য সংবিধান তৈরি হয়নি। সংবিধান মানুষের মঙ্গলের জন্য। যে সংবিধান মানুষের মঙ্গল বয়ে আনে না সে সংবিধান দিয়ে আমরা কি করব? পঞ্চদশ সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে আজকে যে দেশে নৈরাজ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে এর জন্য জনগণের কাছে একদিন সরকারকে জবাবদিহি করতে হবে। জনগণের মৌলিক অধিকার ভোটাধিকার প্রয়োগ করা। সেই ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে একদলীয় নির্বাচন জনগণ কেন মেনে নিবে? যেখানে বিএনপির গন্ধ থাকায় কে.এম হাসানকে জনগণ মেনে নেয়নি, সেখানে কেন সর্বময় ক্ষমতার অধীকারী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জনগণ মেনে নিবে?
দলীয় কার্যালয়ে পুলিশ প্রহরা দেওয়া হচ্ছে। নির্বাচন তফসিল ঘোষণা হওয়ার পর পর এই তফসিল প্রত্যাখান করে ১৮ দলীয়জোট ৪৮ ঘন্টার অবরোধ ডাক দেয়। পরে তা বর্ধিত হয়ে ৭১ ঘন্টায় রূপান্তর করা হয়। এই অবরোধে এই পর্যন্ত ১৬ জনের প্রাণহানী হয়। আরো কত প্রাণহানী ঘটে তা আমরা জানি না। এর দায় দায়িত্ব কে নিবে? অবশ্যই সরকার এ থেকে পরিত্রাণ পেতে পারে না। কারণ মূল সমস্যাটা হলো বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে। তিনি জনগণের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন। ৫ বছর শাসন করেছেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করার ম্যান্ডেট জনগণ তাঁকে দেয়নি। কিন্তু সেই জনগণের জনমতকে উপেক্ষা করে একদলীয় সরকার ব্যবস্থা কায়েম করার জন্য আদালতের দোহাই দিয়ে তত্ত্ববধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে সরকার। এখন সংবিধানের দোহাই দিয়ে নিজের অধীনে একদলীয় নির্বাচন করার পায়ঁতারা করছেন। সংবিধান কার জন্য তৈরি হয়েছে? নিশ্চয় কোন দলকে ক্ষমতায় পাঠানোর জন্য সংবিধান তৈরি হয়নি। সংবিধান মানুষের মঙ্গলের জন্য। যে সংবিধান মানুষের মঙ্গল বয়ে আনে না সে সংবিধান দিয়ে আমরা কি করব? পঞ্চদশ সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে আজকে যে দেশে নৈরাজ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে এর জন্য জনগণের কাছে একদিন সরকারকে জবাবদিহি করতে হবে। জনগণের মৌলিক অধিকার ভোটাধিকার প্রয়োগ করা। সেই ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে একদলীয় নির্বাচন জনগণ কেন মেনে নিবে? যেখানে বিএনপির গন্ধ থাকায় কে.এম হাসানকে জনগণ মেনে নেয়নি, সেখানে কেন সর্বময় ক্ষমতার অধীকারী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জনগণ মেনে নিবে?
বর্তমান এই অচলাবস্থার মূল সমস্যা হচ্ছে নির্বাচনকালীন
সরকারের প্রধান কে হবে তা নিয়ে। বিরোধীদলের কোন চাওয়াই আজ পর্যন্ত সরকার মেনে
নেয়নি। বিরোধীদলের পিঠ এখন দেয়ালে ঠেকে গেছে। তাই তাদের সামনে আর কোন বিকল্প নেই। বাধ্য
হয়ে তারা হরতাল অবরোধ দিচ্ছে। এতে করে সরকার ও বিরোধীদলেরতো কোন ক্ষতি হচ্ছে না।
ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি আমরা সাধারণ জনগণ। বিরোধীদল ইতোমধ্যে তাদের মূল দাবী
তত্ত্ববধায়ক সরকার পূর্ণবহালের দাবি থেকে সরে এসে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের
দাবিতে মাঠে নামছে। আলোচনার পরিবেশ সৃষ্টি হলে হয়তো তারা আরো ছাড় দিবে কিন্তু
সরকার দলের পক্ষে আজ পর্যন্ত কোন ছাড় দেয়ার মানসিকতা দেখছিনা। সরকারের মন্ত্রীদের
দুয়েকজনের কথা শুনলে মনে হয় তারা আজীবনের জন্য ক্ষমতায় বসে গেছে। কেয়ামত হলেও তারা
ক্ষমতা ছাড়বে না। আকাশ জমিন এক হলেও ক্ষমতায় আকঁড়ে থাকবে। এই যদি হয় সরকারের
মনমানসিকতা তাহলে দেশ আরো সংঘাত সংঘর্ষের দিকে এগিয়ে যাবে তাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ
নেই।
তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের সাধারণ নাগরিকদের প্রশ্ন
আর কত রক্ত ঝরলে আপনী আপনার অবস্থান থেকে সরে এসে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ,
নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন? আপনি
৫ বছর শাসন করেছেন। আপনি যদি জনগণের মন জয় করে থাকেন। দেশকে উন্নয়নের জোয়ারে
ভাসিয়ে দিয়ে থাকেন। তাহলে জনগণ আপনাকে পূর্ণরায় নির্বাচন করবে এতে ভয়ের কিছু নেই।
লেখক- উপন্যাসিক, কলামিষ্ট
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন