আজ শুক্রবার। ছুটির দিন। যারা অবসর আছেন তারা চলে আসুন মুক্ত আলোচনার লাইভ আড্ডায়।
আজকের বিষয়: বিশ্বকাপ ফুটবল ফাইনাল
বিশ্বকাপ টপি
সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে 
সেরা দুটি দল ফাইনালে এসে পৌঁছেছে। প্রথম সেমিফাইনালে জার্মানি ৭-১ গোলে 
ব্রাজিলকে ইতিহাসের লজ্জাজনক হার উপহার দিয়ে ফাইনালে উঠলেন। অপর দিকে 
দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ১২০ মিনিটে খেলা গোলশূন্যভাবে শেষ হওয়ায় আর্জেন্টিনা 
ট্রাইবেকারে হল্যান্ডকে ৪-২ গোলে হারিয়ে ২৪ বছর পর স্বপ্নের ফাইনালে উঠলো। 
১৩ জুলাই রাত ১:০০টায় মারাকানায় জার্মানির সঙ্গে হবে তাদের শিরোপা লড়াই। এ
 যেন ১৯৯০বিশ্বকাপের পুনরাবৃত্তি। সেবার ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনা 
টাইব্রেকারে জিতেই দাঁড়িয়েছিল রোমের ফাইনালে। কাল মেসির আর্জেন্টিনাও 
জিতল টাইব্রেকারে। এবার সোনালি ট্রফিটা কাদের হাতে উঠবে? ২৮ বছর পর 
শিরোপা উঠবে আর্জেন্টিনার হাতে, নাকি ২৪ বছর পর আবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন 
হবেজার্মানি? আমরা এই নিয়ে আলোচনার ঝড় তুলে পারি এখানে।
আর্জেন্টিনা দল
জার্মানি দল
আহত নেইমার
আলোচনা হতে পারে আজের্ন্টিনার খেলোয়ার ডি মারিয়ার ইনজুরি নিয়ে। অধিনায়ক মেসিকে সাথেনিয়েদলকে এতদূর এনেছেন এইডি মারিয়া। কোয়ার্টার ফাইনালে বেলজিয়ামের বিপক্ষে শট নেয়ার সময় উরুতে ব্যাথা পানডি মারিয়া। এরপর চিকিৎসানিয়েমাঠে নামলেও খেলতে স্বচ্ছন্দবোধ করেননি। পরে তাকে মাঠ থেকে উঠিয়ে নেয়াহয়। খেলতে পারেননি সেমিফাইনালে।
কোয়ার্টার ফাইনালে বেলজিয়ামের বিপক্ষে শট নেয়ার সময় উরুতে ব্যাথা পেয়ে মাঠ ছাড়ছেন ডি মারিয়া
আলোচনা হতে পারে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ 
গোলদাতা জার্মানির মিরোস্লাভ ক্লোজাকে নিয়ে। ব্রাজিলের বিপক্ষে সেমিফাইনালে
 গোল করে মিরোস্লাভ ক্লোজা নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। বিশ্বকাপের 
ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলের মালিক এখন তিনি। ব্যক্তিগত ১৬তম গোল করে বিশ্বকাপে
 সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতার আসনটি দখল করে নিয়েছেন। ২১ জুন ঘানার 
বিপক্ষে গোল করে ‘দ্যফেনোমেনন’ খ্যাত ব্রাজিলিয়ান মহাতারকা রোনালদোর রেকর্ড
 স্পর্শ করেন মিরোস্লাভক্লোজা।  আর সেমিফাইনালে স্বাগতিক ব্রাজিলের বিপক্ষে
 ২৩ মিনিটে গোল করে বিশ্বকাপে ১৬ গোলের নতুন রেকর্ড করলেন ৩৬বছর বয়সী 
ক্লোজা। ক্লোজাই একমাত্র খেলোয়াড় যিনি চারটি ভিন্ন ভিন্ন বিশ্বকাপেই গোল 
করেছেন। বিশ্বকাপে ২৩ ম্যাচ খেলে ১৬ গোল করেছেন ক্লোজা। ২৩ ম্যাচ খেলাটাও 
ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ।শুধু বিশ্বকাপ নয়, জার্মানিরও সর্বোচ্চ গোলদাতা 
তিনি। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে ১৩৫ ম্যাচে ৭১ গোল করেছেন ক্লোজা।মজার বিষয় 
হল, ক্লোজা যে ম্যাচে গোল করেছে সে ম্যাচে কখনো হারেনি জার্মানি।
রেকর্ড গড়ার মূহূর্তে মিরোস্লাভ ক্লোজা
আলোচনা হতে পারে আর্জেন্টিনাকে ২৪ বছর পর 
ফাইনালে তোলার নায়ক সার্জিও রোমেরোকে নিয়ে। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে 
আর্জেন্টিনা ও হল্যান্ডে খেলা ৯০ মিনিট খেলার নির্ধারিত সময়ের পর অতিরিক্ত 
সময়েও গোলশূন্য ড্র। টাইব্রেকারে হল্যান্ডের দুটি শটঠেকিয়ে দিয়ে নায়ক 
সার্জিও রোমেরো। দলকে ২৪ বছর পর ফাইনালে তুলে দিয়েম্যাচের নায়ক হয়ে উঠেন 
তিনি।
আর্জেন্টিনাকে ২৪ বছর পর ফাইনালে তোলার নায়ক সার্জিও রোমেরোর বুনো উল্লাস
আলোচনা হতে পারে পাঁচবারের বিশ্ব 
চ্যাম্পিয়ান ব্রাজিলের শোচনীয় পরাজয় নিয়ে। জার্মানির কাছে গত মঙ্গলবার 
সেমিতে ৭-১ গোলে হেরে হেক্সা জয়ের মিশন থেকে ছিটকে গেছে ব্রাজিল। দলের এমন 
পরাজয়ে শোকাতুর গোটা বিশ্বের কোটি-কোটি ব্রাজিল-সমর্থক। দলের হারের পর 
থেকেই আলোচনার ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক,  টুইটার ও ব্লগে।
ব্রাজিলের অধিনায়ক থিয়েগো সিলভা ও ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক ডেভিড লুইস কান্নাভেজা কণ্ঠে একে অপরকে শান্ত্বনা দিচ্ছে
আলোচনা হতে পারে ফুটবল পাগল সুপারস্টার 
শাকিরাকে নিয়ে। তিনি ব্রাজিল বিশ্বকাপের সমাপনী অনুষ্ঠানে তার গাওয়া লালা 
লা গানের সঙ্গে পারফর্ম করবেন। ১৩ জুলাই সমাপনী অনুষ্ঠান হবে রিও 
ডিজেনিরোতে। শাকিরার এটি হবে বিশ্বকাপের সমাপনীতে হ্যাট্রিক পারফরমেন্স। 
কারণ তিনি ২০০৬ ও ২০১০ সালের বিশ্বকাপ সমাপনীতেও পারফর্ম করেন।
ফুটবল পাগল সুপারস্টার শাকিরা
আলোচনা হতে পারে গোল্ডেন বল নিয়ে। বিশ্ব 
ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসরের পর্দা নামছে আগামী রোববার। বিশ্বকাপট্রফিটা তো 
যাচ্ছে জার্মানি বা আর্জেন্টিনার ঘরে। কিন্তু, সেরা খেলোয়াড়েরপদক- গোল্ডেন 
বল যাচ্ছে কার হাতে? এ প্রশ্ন এখন সবার।
গোল্ডেন বল
আসুন আমরা উপরের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু 
করি। আলোচনার কোন নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। আজ থেকে পরবর্তী পোস্ট প্রকাশ 
হওয়ার আগ পর্যন্ত আপনারা আলোচনা করতে পারবেন। যে কেউ যে কোন সময় আলোচনা 
আড্ডায় যোগ দিতে পারবেন। প্রতিটা আলোচনা আড্ডা থেকে আমরা কিছু শিক্ষণীয় 
বিষয় বের করে নিব। আলোচনা আড্ডা হবে নির্মল আনন্দের খোরাক। সকল ব্লগাররা 
সবার প্রতি সম্মান রেখে কথা বলবেন। কোন অশ্লীল বা সহব্লগারকে বিব্রতকর 
অবস্থায় ফেলতে পারে এমন কথাবার্তা থেকে বিরত থাকবেন। যারা অবসর আছেন তারা 
চলে আসুন লাইভ মুক্ত আলোচনা আড্ডায়।
আজকে শুধুই বিষয় ভিত্তিক মুক্ত আলোচনা 
আড্ডা হবে। ভয়ের কিছুনাই, যারা আজকে মুক্ত আলোচনা আড্ডায় যোগ দিতে পারবেন 
না তারা হাজিরা দিয়ে চলে যান। কালকে, পরশু বা আরো পরে আসলেও কোন সমস্যা 
নেই। আপনার জন্য মুক্ত আলোচনার আয়োজন সবসময় খোলা থাকবে।তো আসুন মুক্ত 
আলোচনা আড্ডা দিয়ে মনকে ফ্রেস করি। একে অপরকে জানি। এ কে অপরের মতামত তু্লে
 ধরি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন