আজ শুক্রবার। ছুটির দিন। যারা অবসর আছেন তারা চলে আসুন মুক্ত আলোচনার লাইভ আড্ডায়।
আজকের বিষয়: দুর্ঘটনা
লঞ্চ দুর্ঘটনা
কিছুদিন পরপরই আমাদের দেশে লঞ্চ দুর্ঘটনা
ঘটছে। বর্ষা মৌসুম আসলেই লঞ্চ, নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটছে। অসংখ্য প্রাণ নিমিষেই
পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে। নৌ-নিরাপত্তা নিয়ে কারো কোন উদ্বেগ নেই। একের পর
এক শোচনীয় লঞ্চ দুর্ঘটনায় মায়ের বুক খালি হচ্ছে। একটি দুর্ঘটনা সারাজীবনের
কান্না। স্ত্রী
হারাচ্ছে পিতাকে, ভাই হারাচ্ছে বোনকে। এমনকি একই পরিবারের একাধিক লোক নিহত হচ্ছে লঞ্চডুবিতে। গত সোমবার সকাল ১১টার দিকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুটে আড়াইশ যাত্রী নিয়ে পিনাক-৬ নামের একটি লঞ্চ পদ্মায় ডুবে গেছে। যাত্র্রীবাহী লঞ্চটি মাওয়ার উদ্দেশে কাওরাকান্দি ঘাট ছাড়ার পর হঠাৎ লঞ্চটি ডুবে যায়। কি কারণে লঞ্চটি ডুবে গেল তা এখনও জানা যায়নি। ৫দিন অতিবাহিত হল এখনও লঞ্চটির সন্ধ্যান পাওয়া যায়নি। নিরাপদে বাড়ি গিয়ে ঈদ করার পর খুশিমনেই ঢাকায় ফিরছিলেন তাঁরা। যাত্রাপথও সামান্য। মাত্র ১৬ কিলোমিটার। মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাওড়াকান্দি ঘাট থেকে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া ঘাট। উত্তাল পদ্মা। দেড় তলা ছোট লঞ্চ। কিন্তু যাত্রী কানায় কানায় পূর্ণ। মাওয়া ঘাটের কাছাকাছি এসেও গিয়েছিল লঞ্চটি। কিন্তু তীরে ভেড়া হলো না। ঢেউ আর স্রোতের টান, সঙ্গে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ; ভারসাম্য হারিয়ে একদিকে কাত হয়ে ডুবে গেল লঞ্চটি। প্রশাসনের তদারকি আর অব্যবস্থাপনার ফল ভোগ করল নিরীহ যাত্রীরা।
হারাচ্ছে পিতাকে, ভাই হারাচ্ছে বোনকে। এমনকি একই পরিবারের একাধিক লোক নিহত হচ্ছে লঞ্চডুবিতে। গত সোমবার সকাল ১১টার দিকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুটে আড়াইশ যাত্রী নিয়ে পিনাক-৬ নামের একটি লঞ্চ পদ্মায় ডুবে গেছে। যাত্র্রীবাহী লঞ্চটি মাওয়ার উদ্দেশে কাওরাকান্দি ঘাট ছাড়ার পর হঠাৎ লঞ্চটি ডুবে যায়। কি কারণে লঞ্চটি ডুবে গেল তা এখনও জানা যায়নি। ৫দিন অতিবাহিত হল এখনও লঞ্চটির সন্ধ্যান পাওয়া যায়নি। নিরাপদে বাড়ি গিয়ে ঈদ করার পর খুশিমনেই ঢাকায় ফিরছিলেন তাঁরা। যাত্রাপথও সামান্য। মাত্র ১৬ কিলোমিটার। মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাওড়াকান্দি ঘাট থেকে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া ঘাট। উত্তাল পদ্মা। দেড় তলা ছোট লঞ্চ। কিন্তু যাত্রী কানায় কানায় পূর্ণ। মাওয়া ঘাটের কাছাকাছি এসেও গিয়েছিল লঞ্চটি। কিন্তু তীরে ভেড়া হলো না। ঢেউ আর স্রোতের টান, সঙ্গে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ; ভারসাম্য হারিয়ে একদিকে কাত হয়ে ডুবে গেল লঞ্চটি। প্রশাসনের তদারকি আর অব্যবস্থাপনার ফল ভোগ করল নিরীহ যাত্রীরা।
ডাকঢোল পিটিয়ে নৌ-মন্ত্রণালয়ে
‘নৌ-দুর্ঘটনা প্রতিরোধ প্রকল্প’ ঘোষণা দিলেও এখন পর্যন্ত এ প্রকল্পের
বাস্তবায়ন হয়নি। একটি দুর্ঘটনা ঘটলেই নৌ-মন্ত্রণালয়সহ প্রশাসন জেগে উঠে।
মিটিং মিছিল হয়। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তারপর কিছুদিন চলে গেলেই আগের
অবস্থায় ফিরে যায়। এ ব্যাপারে তাদের আর কোন মাথা ব্যথা নেই। প্রত্যেকটি
লঞ্চ দুর্ঘটনার পর নৌ- পরিবহন মন্ত্রী ত্রুটিপূর্ণ নৌযানগুলোর বিরুদ্ধে
হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন। কিন্তু বাস্তবে এ হুশিয়ারি উচ্চারণ কর্তৃপক্ষের
কানে প্রবেশ করে না। ফলে বার বার লঞ্চ দুর্ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। মালিক ও
চালকদের গাফিলতির কারণে প্রতি বছর বেশ কয়েকটি লঞ্চ দুর্ঘটনায় শত শত লোকের
করুণ মৃত্যু আমাদেরকে অসহায়দের মত চেয়ে দেখতে হয়। কি কারণে লঞ্চ দুর্ঘটনা ঘটে, এ দুর্ঘটনা থেকে বাঁচার উপায় কি তা নিয়ে আমরা এখানে আলোচনা করব।
আপনাদের আলোচনার সুবির্ধাতে বন্ধুব্লগে প্রকাশিত লঞ্চ দুর্ঘটনা নিয়ে আমার একটি লেখার লিংক দিলাম।
প্রতি বছর লঞ্চ দুর্ঘটনায় ঝরে যাচ্ছে শত প্রাণ
সড়ক দুর্ঘটনা
প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনা হচ্ছে। অকালে ঝড়ে
পড়ছে অনেক মানুষের জীবন। আবার কেউ বা পঙ্গুত্ববরণ করে অভিশপ্ত জীবন নিয়ে
বেঁচে থাকতে হচ্ছে। এই সড়ক দুর্ঘটনায় আমরা সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর
রহমানের মতো মানুষদেরকেও হারাতে হচ্ছে। হারাতে হচ্ছে গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব
মিশুক মুনির ও তারেক মাসুদকে। চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের ৪০ জন স্কুল ছাত্রের
নিহতের কথাতো আমরা কেউ ভুলতে পারিনা। গত এক সপ্তাহ দেশের বিভিন্ন স্থানে
অনেকগুলো সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। কি কারণে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে, এ দুর্ঘটনা থেকে বাঁচার উপায় কি তা নিয়ে আমরা এখানে আলোচনা করব।
ট্রেন দুর্ঘটনা
ট্রেন দুর্ঘটনা হচ্ছে। এতেও দেখা যাচ্ছে
অনেক মানুষের প্রাণহানী হচ্ছে। কয়েক বছর আগে নরসিংদীতে ঘটে গেল বিরাট ট্রেন
দুর্ঘটনা। গত শুক্রবার ভোররাত সাড়ে তিনটার দিকে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ
উপজেলার বারোবাজারে এ দূর্ঘটনা ঘটে। বরযাত্রীবাহী বাসের সাথে ট্রেনের
সংঘর্ষে ১১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৪০ জন। নিহতদের মধ্যে একই
পরিবারের তিন সদস্য রয়েছেন। মুহূর্তের মধ্যে বিয়ের আনন্দ বিলীন হয়ে গেল।
এভাবেই রেলক্রসিংগুলোতে বাস ট্রেনের ধাক্কায় বছরে অসংখ্য দুর্ঘটনা ঘটছে। কি কারণে ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে, এ দুর্ঘটনা থেকে বাঁচার উপায় কি তা নিয়ে আমরা এখানে আলোচনা করব।
সড়ক নৌ ও লঞ্চডুবি নিয়ে আমার একটি লেখা স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই পড়ুন।
আলোচনা করতে পারি আমরা কে কোথায় দুর্ঘটনার কবলে পড়েছি এবং কিভাবে বেঁচে রয়েছি।
আসুন আমরা উপরের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু
করি। আলোচনার কোন নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। আজ থেকে পরবর্তী পোস্ট প্রকাশ
হওয়ার আগ পর্যন্ত আপনারা আলোচনা করতে পারবেন। যে কেউ যে কোন সময় আলোচনা
আড্ডায় যোগ দিতে পারবেন। প্রতিটা আলোচনা আড্ডা থেকে আমরা কিছু শিক্ষণীয়
বিষয় বের করে নিব। সকল ব্লগাররা সবার প্রতি সম্মান রেখে কথা বলবেন। কোন
অশ্লীল বা সহব্লগারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতে পারে এমন কথাবার্তা থেকে বিরত
থাকবেন। যারা অবসর আছেন তারা চলে আসুন লাইভ মুক্ত আলোচনা আড্ডায়।
আজকে শুধুই বিষয় ভিত্তিক মুক্ত আলোচনা
আড্ডা হবে। ভয়ের কিছু নাই, যারা আজকে মুক্ত আলোচনা আড্ডায় যোগ দিতে পারবেন
না তারা হাজিরা দিয়ে চলে যান। কালকে, পরশু বা আরো পরে আসলেও কোন সমস্যা
নেই। আপনার জন্য মুক্ত আলোচনার আয়োজন সবসময় খোলা থাকবে। তো আসুন মুক্ত
আলোচনা আড্ডা দিয়ে মনকে ফ্রেস করি। একে অপরকে জানি। একে অপরের মতামত তু্লে
ধরি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন